আমাদের সবার সাথে মনে হয় এমন কিছু ঘটে কখনো না কখনো। সাডেনলি মন কেমন হয়ে যায় মন খারাপ লাগে আবার নিজেকে একা ও মনে হয়। তো এমন মন খারাপ হলে বিরক্ত লাগলে ইন্সাল্ট ফিল করলে মানুষ কি করে ? আপনি নিজে কি করেন ? এই যে বললাম আমাদের মনের তাৎক্ষনিক অবস্থার কথা এগুলি কেনো হয় বা কখন হয় ?
বাসার মুরুব্বী কেউ বকা দিলে।
রাস্তায়/ বাসে টিটকারি মানে টিজ করলে।
শরীর খারাপ লাগলে।
মেয়েদের জন্যে মাসের একটা সময়ে মুডসুইং হলে।
বাসার বা কাছের কেউ সিক।
শখের সাইকেল বা মোবাইল চুরি গেলে।
পেপার খারাপ গেলে ।
পছন্দের জিনিস শপিং এ না পাওয়া গেলে।
বাসায় পছন্দের খাবার রান্না না হলে।
বয়স সময় জেন্ডার ক্লাস এমন সব কিছু মিলিয়ে হাজার হাজার কারন থাকতে পারে মন উদাস হওয়ার। খারাপ হবার নিজেকে ডিপ্রাইভ ভাবার। সেই সময়ে একেক জন একেক কিছু করে নিজেকে ঠিক রাখে। এখনকার যে সমাজ এইসব মন খারাপের জম্বি তো সারাক্ষণ ঘাড়ে উঠে আসতে চায়।
আমার একজন বড়াপা কে দেখতাম - শিমুল ভাই এর সাথে ঝগড়া হলে। কথা কাটাকাটি হলে উনার একটা নীল রঙের কম্বলের ভিতরে চলে জেতেন। মানে হাফ ঢেকে থাকতেন কম্বলে। শীত গরম সব সিজনে। শিমুল ভাই একটা সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ত দূরে থাকত। ফোনে কিছু হয়েছে মানেই নীল কম্বল বের হয়ে আসত।
সবচেয়ে বেশি দেখেছি বাথরুমে কাঁদতে অনেক সময় চিৎকার করে ও। শব্দ শুনতাম আমরা। আমার বান্ধবী নেল পালিশ দেয় দশ আঙুলে দশ রকম। একজন হেয়ার কালার করে বারবার ডিপ্রেশনের সময়।
একবার এক বন্ধু কাঁদতে কাঁদতে পার্স ছাড়াই পাশের পার্কে চলে গেছে।
কেউ নাকি বাসার ড্রইং রুমের সেটিংস চেঞ্জ করে ।
শপিং তো নাকি দুনিয়া জোরা বিখ্যাত টপিক মেয়েরা মন খারাপ হলে নাকি খালি শপিং করে আর তাতে মন ভালো হয়।
আমি অনেকদিন এমন সময়ে শাওয়ার নেই স্পা সেট দিয়ে।
একদিন সন্ধ্যার অন্ধকারে এক নির্জন যায়গায় চুপ করে বসে ছিলাম।
আড্ডায় অনেকেই বলে এমন হলে বন্ধুদের কল করে ঘুরতে চলে যায়।
মন খারাপ হলে অনেকে আইসক্রিম চকলেট খায় মিষ্টি খায়। পছন্দের খাবার খায়।
যারা চা কফি পছন্দ করেন তাদের লিস্টে থাকে।
গান শোনা টা সবকিছু সাথে কমন থাকে মানে যে যেইটাই করুক মন খারাপ হলে মিউজিক প্লে হতেই থাকে।
পছন্দের বই খুঁজে কেউ, মোবাইলে গেমস ও মন কে ডাইভারট করে। মানে নাও এ ডেইজ বেশির ভাগ কাজ মোবাইলেই করে সবাই । মন খারাপ হোক ভালো হোক। ইউটিউবে মজার ভিডিও দেখে , স্ট্যান্ড আপ কমেডি । টিকটক , কে পপের মিউজিক মাঙ্গা কমিক যার যা পছন্দ।
আমি তো লম্বা ঘুম দেই ইউটিউবে ফ্যাভ লিস্ট প্লে করে। কোনদিন মুভি আই লাইক মুভি। সবকিছু সাবজেক্ট টু হাতে সময় থাকা। আবার অনেকদিন দেখা যায় মুড হয়ে আছে ইভা আপার স্বামীর গান শুনার পরের অবস্থা কিন্তু লাইফের প্যারায় সেই মুড নিয়ে যে ইঞ্জয় করবো সম্ভব না । তখন ভাগ মিকা ভাগ ই সবচেয়ে বড় মেডিসিন।
তবে ডিপ্লি সিরিয়াসলি মন খারাপ থাকলে প্রেয়ার আর কান্না কাটি বড় মেড।
আপনি কি করেন ?
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৭