somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসুন আমরা সম্মিলিত ভাবে প্রতিবাদ জানাই, ঢালাও ভাবে অপবাদ না দেই।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের এই ব্লগের কর্ণধার ব্লগমাতা জানা আপার লেখা একটা লাইন আমার অনেক পছন্দের। অনেকবার বিভিন্ন লেখায় আমাদের উৎসাহিত করতে গিয়ে লিখেছেন। যখন ব্লগ বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করেছে, জানা আপা বারবার আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন এই লাইন। - "এই মুহূর্তে যূথবদ্ধতার বিকল্প নেই "

আসলেই দুর্দান্ত একটা লাইন। ইডেন কলেজ বর্তমান ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে যে চলমান আন্দোলন ছিল যা এই মুহূর্তে নিভুনিভু। সে আন্দোলনের পরিপেক্ষিতে বিভিন্ন ভাবে নিজের নাম পরিচয় গোপন করে নিজের লাঞ্ছনার ইতিহাস তুলে আনা, বিয়ে ভেঙ্গে যাবার পর অভিভাবকদের প্রকাশ্যে এসে আবেদন নিবেদন, এবং সর্বোপরি সাধারণ ছাত্রীদের সমাজিক চাপের মুখে রাজপথ ছেড়ে গৃহবন্দিত্ব বেছে নেয়া। সামগ্রিক এই পরিস্থিতিতে এই লাইন টা ভীষণ উপযুক্ত বলেই আমার মনে হয় ( অবশ্যই সব আন্দোলন নিপীড়নে এই দলবদ্ধতা বা যূথবদ্ধতা জরুরী)।

ফারুক ওয়াসিফ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী, এবং অনেক অনেক পরিচয় আছে উনার। খুঁজে সামু ব্লগে ও ব্লগার পরিচয় পাওয়া যাবে হয়ত। উনার ফেসবুকে একটা কথা লিখেছিলেন " জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনে যখন মেয়েদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো, তোমাদের মাঝে কে কে ধর্ষণের স্বীকার হয়েছ ? দলবদ্ধ ভাবে সকল মেয়েরা বলেছিলেন " আমরা সবাই ধর্ষিতা" এবং এই কারনের তারা সঠিক বিচার আদায় করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। এই মুহূর্তে ইডেনের বর্তমান সাবেক, হোস্টেলে থাকা বাসায় থাকা মেস করে থাকা অথবা ছাত্রলীগের আওতার বাইরে থাকা সকল মেয়েদের অভিভাবকদের ও এই যূথবদ্ধ হতে হবে। দলবদ্ধ ভাবে এই দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা অন্যায়ের বিচার চাইতে হবে! ইডেন কলেজের ঐতিহ্য গৌরব এবং পূর্বের সামাজিক মর্যাদায় ফিরে আসতে হলে দলবদ্ধ ভাবে বলতে হবে " হ্যাঁ আমরা সবাই ছাত্রলীগের নেতা/নেত্রীদের দ্বারা লাঞ্ছনার স্বীকার হয়েছি, আমরা এই অন্যায়ের প্রতিকার চাই! নিরাপদ শিক্ষা জীবন চাই! সুন্দর আনন্দময় ক্যাম্পাস চাই।


যতভাবেই আপনারা আলাদা আলাদা নিজেদের এই নির্যাতনের বাইরের বলে প্রমাণের চেষ্টা করবেন, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হবার ভয়ে বিষয় টি নিয়ে মুখ খুলতে নিষেধ করবেন। ততবেশি এই প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ শিক্ষার্থীদের কে এই শ্বাপদসংকুল জংগলে, পঙ্কিলতায় ঠেলে দিচ্ছেন। এই অসহায়ত্ব আর লাঞ্ছনার দায়ভার কিন্তু আপনাদের উপর ও বর্তাবে। যারা বলতে চাইবেন হাজারহাজার বছর থেকে ইডেনে চলে আসা এই সংস্কৃতি, পূর্বের ক্ষমতায় থাকা সংগঠনের দ্বারা ও এমন ঘটেছে। তাদের উদ্দেশ্যে আমার বলার একটাই কথা আছে

- ছাত্রদল ও একই কাজ করেছে এবং তার ফলাফল দল বহুদিন থেকে ভোগ করছে। সেসব দেখে ও আপনাদের শিক্ষা হয় না ? এর আগে ও এমন চলে এসছে বিচার হয় নাই বা পাই নাই বলে কি এবারে ও মুখ বুজে থাকব ?
এবারের মত সম্মিলিত ভাবে কী এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আগে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে ?


হালের ফেসবুক সেলিব্রেটি ডাঃ আব্দুন নূর তুষার একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন " বর্তমান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য কে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি লিখতে হয়েছে ছাত্রলীগ থেকে বাহিস্কার আদেশ!

" ফেসবুকে প্রকাশিত লেখকের লেখা চিঠিগুলির অধিকাংশই বহিস্কারাদেশ। এত লেখালেখির চর্চা আর কোন নেতাকে করতে হয় নাই। "

এই একটা মন্তব্য অনেককিছু বলে দেয়। সেটা কি সেটুকু পাঠকদের বুঝে নিতে হবে।


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন সফলতার মুখ দেখেছে, মেয়েরা নিজেদের সম্মান দলবদ্ধভাবে আদায় করে নিয়েছে। বিয়ে হবে না বা বিয়ে করবে না এমন প্রশ্ন যারা তুলছেন তাদের কাছে আমার প্রশ্নঃ

১- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা ধর্ষিত হয়েছিলো শুধু, ধর্ষক কেউ ছিল না কি ?
নিজেদের কে সমাজের পুরুষ সম্প্রদায়, এলিট আপগ্রেডেড, মেয়েদের চাইতে শারীরিকভাবে শক্তিশালী, মেয়েদের রক্ষাকর্তা, এমনসব উচ্চ পর্যায়ের ভূষণে নিজেদের ভূষিত করতে আপনাদের লজ্জা হয় না ?

নিজের বোন, কন্যা, বন্ধু, প্রতিবেশী আত্মীয় কোন না কোন ভাবে তো এরা আপনার সাথে সম্পর্কযুক্ত! তাদের নিরাপত্তা সমাজে নিশ্চিত করতে পারেন না। আপনার জন্যে যে জীবনসঙ্গী হিসেবে লাঞ্ছিতা ধর্ষিতা মেয়ে পাওয়া যাচ্ছে, এমন মানসিক ট্রমার পরে ও মেয়েরা সংসার জীবনে আপনার এত দুর্বলতা অপারগতা থাকবার পর ও যে মেয়েরা আপনার অধীনস্থতা কবুল করে নিচ্ছে! সে জন্যে শুকরিয়া আদায় করেন। নীচে যে প্রশ্নগুলো করেছি, সেই হিসেবে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মেয়ে কোন না কোন ভাবে এমন প্রশ্নের আওতায় আসে। জি হ্যাঁ আপনার পরিবারের মেয়েটি ও।

২- ইডেনের মেয়েরা এভাবে জোরপূর্বক লাঞ্ছনার স্বীকার হয়েছে, তাদের বিয়ে করা যাবে না। কয়েক বছরে প্রেম ভেঙ্গে দিতে হবে।

ওয়েট !!!!!

- আনভির আজিজ মোহাম্মদ ভাই তাদের তথাকথিত প্রেমিকাদের গুলশানে ফ্ল্যাটে রাখে, গুলশানে বাসাভাড়া নিয়ে, ওয়েস্টিনে পাপিয়ারা এইসব মেয়ে ঘটিত ব্যবসা করেন। প্লিজ গুলশানের মেয়েদের বিয়ে করা বাদ দেন ! নাকি টাকা এলাকার কালার চেঞ্জ করে দিবে ?

- উত্তরায় বিভিন্ন ফ্ল্যাটে অনৈতিক ব্যবসা চালাচ্ছে পত্রিকায় খবরে আসলো।
উহু উত্তরার মেয়েদের বিয়ে করা যাবে না।

- নারায়ণগঞ্জে একসময় বিখ্যাত একটি এলাকা ছিল-
কোন মতেই বিয়ে করা উচিত হবে না নারায়ণগঞ্জের মেয়েদের।

কুমিল্লায় তনু ধর্ষিত হয়েছিলো।
- নাহ কুমিল্লার মেয়ে বিয়ে করা যাবে না।

বিডি আর এলাকায় , ক্যান্টনমেন্ট এরিয়ায় মেয়েরা ধর্ষিত হয়েছিলো।
- কোন মতেই সেসব এলাকায় মেয়েদের বিয়ে করা ঠিক না।

- প্রত্যেক শহরেই সংবাদ পত্র খুলে দেখুন এই নির্যাতন জোর পূর্বক অন্যায়ে বাধ্য করা লাঞ্ছিত হওয়া খবর থাকে।
সুতরাং কোন শহরের মেয়ে দের কেই বিয়ে করা যাবে না।

ব্রাদার নষ্ট মেয়েদের কে কে করে ? অন্য একটা মেয়ে ? মেয়েটাকে নষ্ট বলছেন যে নষ্ট করছে তার খবর নিচ্ছেন না কেনো ?
নারীদের টার্গেট করা সহজ বলে ? নাকি যে নষ্ট করে সে বেশি শক্তিশালী বলে।


- কেন আজকে নিউজ আসলো ইডেনের মেয়ে বলে এক বছর আগে পাকা হওয়া বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছেন পাত্রপক্ষ ?
- কেনো খবরে আসলো না, ছাত্রলীগের অপকর্ম প্রকাশিত হওয়ায় দু বছর আগে পাকা হওয়া বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছেন পাত্রী পক্ষ।

কেনো আপনারা টার্গেট করে ব্লগে পোষ্ট দিচ্ছেন ইডেনের মেয়েদের বিয়ে হোপে না,
এর বদলে মেয়েদের যারা লাঞ্ছিত করলো , যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসছে সরাসরি। তাদের নিয়ে রম্য আসছে না

- এখন তোদের কে কোন পরিবার মেয়ে দিবে রে ছাত্রলীগ ???

বর্তমান সময়ের আরেকজন জনপ্রিয় চলচিত্র নির্মাতা মোস্তাফা সরোয়ার ফারুকী লিখেছেনঃ

Mostofa Sarwar Farooki
গতকাল ইডেন কলেজ নিয়ে পোস্ট দেয়ার কয়েক ঘন্টা পর আমি সেটা মুছে দেই। আপনারা জানেন সোশ্যাল মিডিয়া খুব তাৎক্ষণিক একটা মাধ্যম। এখানে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া থাকে বেশী। কিন্তু আজকে একদিন চিন্তা করার পর আমি এই বিষয়ে আরেকটু গুছিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি। কারন এটা খুবই সিরিয়াস একটা বিষয়।
আমার পোস্ট মুছে দেয়ার কারন ছিলো কয়েকজন অভিভাবকের চিঠি। তারা লিখেছেন এই অভিযোগ আসার ফলে ঢালাওভাবে সবার প্রতি আঙ্গুল তুলছে সবাই। এতে বাবা-মা হিসাবে তারা খুবই বিব্রত। একজন তাঁর মেয়ের বিয়ে সম্পর্কিত আলোচনা ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে জানিয়েছেন। এই চিঠি পড়ার পর আমি সত্যিই একটু নড়ে উঠি। পরিবারের এই উদ্বেগ কিন্তু বাস্তব। আমি তারে পারি না এড়াতে।
সুতরাং একটা কথা পরিষ্কার করা দরকার- ফোর্সড সেক্স বা সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশনের যে অভিযোগ আসছে সেটা তদন্ত হওয়া উচিত। এবং এই অভিযোগটা আসছে সরাসরি ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর কাছ থেকে যেটা বেশ কিছু সাধারন ছাত্রীও সমর্থন করেছেন। কথা হলো যদি তিরিশ হাজার ছাত্রীর মধ্যে বিশজনও এর শিকার হয় সেটা এক জঘন্যতম অরগানাইজড ক্রাইম। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই ভয়াবহ অপরাধ চলতে পারেনা। তাই তদন্ত করে যদি অভিযোগ সত্য প্রমান হয়, এর সাথে জড়িতদের কঠিন শাস্তি দিতে হবে। একই সাথে কলেজ প্রশাসনকেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ভবিষ্যতে কিভাবে হলগুলাকে এইসব অনাচার মুক্ত করা যায়, সেটার উপরও কাজ করতে হবে।
পাশাপাশি এটাও বলা দরকার, এটা তিরিশ হাজার ছাত্রীর বাস্তবতা না। ফলে ঢালাওভাবে মেয়েদের হোস্টেলে এই-ই ঘটে জাতীয় সরলীকরণ বা ফ্যান্টাসিকে যেনো প্রশ্রয় না দেই আমরা।
ধন্যবাদ।

আমার মতেও ফেসবুক বা বিভিন্ন মিডিয়ায় যারা মেয়েদের নিগ্রহের চিত্র তুলে এনে এভাবে ঢালও ভাবে ৩০/৪০ জন মেয়ের কারণে যারা একটা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার মেয়ের চরিত্রহননের জন্য প্রকাশ্যে প্রতিযোগিতায় নামে সমস্যা বেশি তাদের কে নিয়ে। ছাত্রলীগের পাণ্ডা মেয়েদের চেয়েও বেশি এরা খারাপ। যারা এমন প্রচার চালাচ্ছেন তাদের কে আইসিটি এক্টে আওতায় মামলা দেয়া উচিত।


লিখতে গেলে পাতারপর পাতা প্রশ্ন করা যায়। প্রশ্ন অনেকের মনে আছে, কিন্তু উত্তর জানা তাই কেউ আর প্রশ্ন করার কষ্ট টুকু করেন না। সত্যিই যদি ভেবে থাকেন সময় এসছে এই মুহূর্তে যূথবদ্ধতার বিকল্প নেই! তাহলে আসুন আমরা দলবদ্ধ হই। নারীদের কে শৃঙ্খলিত করার, নারী শিক্ষার বিরোধী। সমাজে মেয়েদের প্রতিষ্ঠিত হতে দেখলে যাদের সমাজ গেলো গেলো রব উঠার বাতিক আছে। তাদের কে আর সুযোগ করে না দেই। নির্দিষ্ট অভিযোগ এসছে যাদের বিরুদ্ধে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই, অযথা একেতাকে দোষারোপ না করে। ট্রল না করে এবং ঢালাও ভাবে কোন সংগঠন কে টার্গেট না করে। ঠিক যেমন কিছু ছাত্রলীগ নেতা/ নেত্রীর কৃতকর্মের দায়ভার সমস্ত কর্মী বা নেতার উপর বর্তায় না। তেমনি নির্দিষ্ট কিছু মেয়ের জোরপূর্বক লাঞ্ছিত হবার দায়ভার ও সমস্ত মেয়ের উপর যায় না।


কিন্তু ভিকটিম দের ন্যায্য বিচার পাবার অধিকার আদায়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া কোন পথ নেই। নিজেকে সেই জোরপূর্বক কারো শয্যাসঙ্গী হতে বাধ্য করা, মৌখিক শারীরিক লাঞ্ছিত হওয়া ইডেনের একজন ঘোষণা করে আমিও এই অন্যায়ের সুস্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই। আশ্বাস, আই ওয়াশ, বা সকল অভিযোগ তুলে নেয়া চাই না। প্রতিকার চাই এই অন্যায়ের আজকের জন্যে, আগামীর সুন্দর আনন্দময় নিশ্চিত শিক্ষার পরিবেশের জন্যে! গৌরবময় আগামীর জন্য।

আপডেটঃ "বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত কয়েক দশক ধরে শাসক দল ও তার ছাত্র সংগঠনের মধ্যে একটি অলিখিত চুক্তি গড়ে উঠতে দেখেছি আমরা : শাসক দলকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের নেতা-নেত্রী-কর্মীরা শারীরিক ও মতাদর্শিক লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কাজ করবে, প্রতিদানে তারা সিট বাণিজ্য থেকে শুরু করে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির মাধ্যমে ছাত্র থাকা অবস্থায় নিজ নিজ সম্পদের এমন পাহাড় গড়ে তুলবেন যা বৈধ উপায়ে কোনো মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীর পক্ষে সারা জীবনেও অর্জন করা সম্ভব না।
ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দলকানা কর্ণধাররা না বোঝার ভান করে থাকবেন, বিনিময়ে তাদের নিজেদের ‘অধ্যক্ষ’ ‘ভিসি’ পদ সুরক্ষিত থাকবে।
চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি-সিট বাণিজ্যের এই সন্ত্রাস ও অপরাধের রাজত্বে ইডেন কলেজের ছাত্রলীগ নেত্রীরা ভয়াবহ একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছেন : ছাত্রীদের যৌন শোষণের মাধ্যমে তাদের পকেট ও নেতৃত্বের প্রোফাইল ভারি করা।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সত্য-মিথ্যা উদ্ঘাটনের সাহসী কাজ একটি বিচার বিভাগীয় কমিটিই করতে পারবে বলে আমরা মনে করি এবং আমরা সেটি গঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
একইসঙ্গে, ক্ষমতাশালীরা যেহেতু বিষয়টিকে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ ইস্যু/সমস্যা হিসেবেই পরিবেশন করছেন, আমরা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১২-র প্রতি।
যৌন শোষণ একটি আইনি অপরাধ এবং ইডেন কলেজে যা যা ঘটেছে তা সত্য প্রমাণিত হলে ১১ নম্বর ধারার অধীনে কঠিনভাবে শাস্তি দেওয়া হোক।"
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরিন, কাজলী শেহরীন ইসলাম, ড. সামিনা লুৎফা; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মির্জা তাসলিমা সুলতানা, শিল্পী বড়ুয়া; আদিবাসী অধিকার সুরক্ষাকর্মী রানী য়েন য়েন, ভারত জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক নাজনীন শিফা, লেখক ও গবেষক পারসা সানজানা সাজিদ, থাইল্যান্ডের মাহিডল বিশ্ববিদ্যালয় মানবাধিকার কর্মী ও উচ্চ শিক্ষার্থী রোজিনা বেগম, নৃবিজ্ঞানী ও গবেষক ড. নাসরিন খন্দকার, গবেষক ও অ্যাক্টিভিস্ট দিলশানা পারুল, নৃবিজ্ঞানী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ড. নাসরিন সিরাজ।
এতে আরও স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির তাসলিমা আখতার, শিক্ষক ও গবেষক শ্যামলী শীল, নোয়াখালী নারী অধিকার কর্মী লায়লা পারভীন, আলোকচিত্রী জান্নাতুল মাওয়া, লেখক ও গবেষক সায়েমা খাতুন, যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. সাদাফ নূর, কানাডা ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় গবেষক হানা শামস আহমেদ, লেখক ও নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ, সাংবাদিক ও গবেষক ড.সায়দিয়া গুলরুখ।

ইডেনে ছাত্রলীগের ‘যৌন শোষণের’ বিচারের দাবিতে নারী অধিকার কর্মীরদের বিবৃতি


অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুনঃ
এদেশে যা হচ্ছে এমন ছাত্ররাজনীতি বিশ্বে কোথাও নেই


পরিশিষ্টঃ সাকিব বুবলি অপু এসবের সাথে এই ইস্যু দয়া করে মিলাবেন না। ওদের গল্প নিজেদের মাঝে বুঝাপড়ার ফল। কেউ কারো উপর চাপিয়ে দেয়া না। এবং এমন সব ইস্যু কে আগ্রাধিকার দিয়ে একটা জেনুনিন ইস্যু কে আড়াল করার কোন মানে নেই।

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৫
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×