দেশটাকে ক্ষমতার লোভে জাহান্নাম বানিয়ে ফেলা মাহামান্য -
নিশ্চয়ই আপনার আজকের ঘুম হয়েছে অন্যান্য দিনের চাইতে অনেক বেশি প্রশান্ত। কারন আপনি আজ সেই দিনটির পুনরাবৃত্তি করতে পেরেছেন যে দিন আপনার পরিবার কে এমন নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিলো , দেশে কারফিউ জারি হয়েছিলো। আপনার বাবার জন্য কোন একজন মানুষও নেমে আসে নাই রাস্তায়। ঠিক তেমনি ভাবে আপনিও কাউকে রাস্তায় নেমে আসতে দিবেন না, শোক করতে আসা মানুষের ঢল আসা বন্ধ করেছেন। আমাদের প্রাণের সহ যোদ্ধাদের কিভাবে দাফন করা হয়েছে আমরা কেউ কিচ্ছু জানি না।
জানাজাতে কি আপনার চাওয়া মত ৫/৭ জন জমায়েত হয়েছিলো ? আচ্ছা আজকাল কি ৫৭০ সাবান পাওয়া যায় দেশে ? আপনার তো আইন করে দেবার কথা বাংলাদেশের কোন জানাজায় ৫থেকে ৭জনের বেশি লোক জমায়েত হতে পারবে না, ৫৭০ সাবান ছাড়া অন্য কোন সাবানে লাশের গোসল আর দাফন হবে না। আপনি আজ ভীষণ খুশী সেই আইয়ুব শাহি সামরিক জান্তার মত আজ আপনার ও রক্তমাখা দাঁতাল হাঁসি আমরা দেখতে পাচ্ছি। হ্যাঁ আপনি পেরেছেন আগামীর বাংলাদেশের সম্পদ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কে হত্যা করতে।
না আমি আজ বিচার চাইতে আসি নাই, ক্ষমা করবেন ফাঁসির দাবী নিয়ে ও আসিনাই। যে দেশের শহিদ ছাত্রের মা সন্তানের লাশের পাশে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলে " আমি গর্বিত আমার ছেলে খুনি স্বৈরাচারী মহিলার সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে শহীদ হয়েছে"। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যে এমন মৃত্যু লেখা হয়ে গেছে, এই বিধিলিপি লিখেছেন বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। রাষ্ট্র যন্ত্রের ছাত্রদের এই নির্মম খুন আমাকে আর বিহ্বল করতে পারছে না। এই ছাত্রারা বড় হয়ে ভবিষ্যতে ও খুনই হত। ছেড়ে পালিয়ে গেলে বাংলাদেশী হিসেবে জন্মের কলঙ্কে মরতে হত। কিছু মরবো " জামাত শিবির দেশের শত্রু শিরোনামে, আরেক দল বিরোধী আনন্দলন দমনের নামে। কিছু মরবে ৫ই মে শাপলা চত্বরে ওহো ! বলাই হয় নাই আহা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কিছু সন্তান হিসেবে " বিডিআর বিদ্রোহের নামে"। দরিদ্র দেশ হিসেবে বিনা চিকিৎসায়, কিছু খাবারের অভাবে। বেঁচে বর্তে থাকা এক অংশ সড়ক দুর্ঘটনায়। এরপর ও কৈ মাছের প্রাণ হিসেবে যদি কেউ বেঁচে থাকে তারা মরবে আত্ম গ্লানি আর প্রতিবাদ না করতে পারার যন্ত্রণায়। শুধু আমরা যারা বন্ধুদের লাশের বোঝা কাঁধে নিয়ে বেঁচে আছি তারা কিন্তু ফিনিক্স পাখি হবার অপেক্ষায়।
বেঁচে থাকুন হ্যাঁ মহামান্য আপনি আপনার দলীয় সব ল্যাস্পেন্সার, আপনার পরিষদ বর্গ আপনার গুণগ্রাহী চাটুকার দল নিয়ে মহা সমারোহে বেঁচে থাকুন। বিশ্বের কাছে এসব গুম খুনের জাস্টিফিকেশন হিসেবে নিয়ে আসবেন-
* আপনার পরিবার কে যারা খুন করছে তাদের বিচার।
* ইসলাম পিটানো।
* এরা সব মুসলমান জঙ্গি, আমার নারী নেতৃত্ব মেনে নিচ্ছে না।
* বিরোধী দল সরকার পতন চাচ্ছে।
এমন সব মন গড়া গাল গল্প। আমরা জানি, সবাই জানে " দুরাত্মার ছলের অভাব হয় না"
বেঁচে থাকুন হে অমরত্ব নিয়ে আসা মাননীয়া- ততোক্ষণ বেঁচে থাকুন আপনারা সবাই (এই সব খুনের সাথে জড়িত সাপোর্ট দিয়ে হলেও সাথে থাকা, পক্ষে কথা বলা) যতক্ষণ না নিজের পরিবারের সাথে এমন নির্মম কিছু ঘটে। না আমি আপনার মৃত্যু কামনা করি না, মৃত্যু তো যন্ত্রণার পরিসমাপ্তি। আপনারা বেঁচে থাকুক অন্তরের প্রতি মুহূর্তের কাঠঠোকরার যন্ত্রণা নিয়ে। সেদিন কিন্তু খুব দূরে নেই - যুদ্ধ অপরাধীরা নেই , জামাত শিবির নেই ইসলামি জঙ্গি নেই, বি এন পি দলীয় নেতা কর্মী নেই, কোটা সংস্কার চাওয়া ছাত্ররাও নেই।
এরপর নতুন কোন নামে হত্যা যজ্ঞে মেতে উঠবেন ? বাকি রইলেই কিন্তু আপনারাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৮:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




