somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রোহিঙ্গা মুসলিমদের কি কেউ নেই???

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য মুসলিম গনহত্যা চলতেছে
এখন মায়ানমারে। কোথায় গেল শান্তিতে নোবেল পাওয়া অং সান সুচী? এটাই কি রাক্ষুসীর শান্তির নমুনা? শান্তিতে না রক্তপিপাসু রাক্ষুসীকে মুসলিমদের রক্তপানের জন্য পেত্নীর নোবেল দেওয়া উচিত।
দিন কি আর রাত কি শুধু গুলি আর গুলি চালিয়ে নির্বিচারে নিরীহ মুসলিমদের গনহত্যা করতেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হেলিকপ্টার থেকে গুলি,চারিদিক থেখে ঘিরে গুলি। বিবিসির মতে বার্মার মুসলিম অধুষ্যিত এলাকা এখন গুলির ধোঁয়ায় ঢাকা।লাশ পড়ে আছে আনাচে কানাচে।
ইতিহাসের চরম সত্য দেখুন আজ যারা কথিত মানবতার গান গাই সেই চুশিল সমাজ থেকে শুরু করে মিডিয়া, মুক্তমনা, ছিটেফোটা ব্লগার, কথিত কলামিসচ লেখকগন কিন্তু কেউ কিছু লিখছে না বলছে না অথচ এরাই হিন্দু বৌদ্ধ সাওতাল হত্যার প্রতিবাদে মাঠ গরম করে রাখে, ভাল কথা আমরাও চাই সাম্প্রদায়িকতা নিপাত যাক কিন্তু এই যে মশাই বাবুগন রোহিঙ্গাদের দুর্দশায় আওয়াজ তুলেন না কেন? তারা মুসলিম এই বলে? ধিক্কার তোমাদের গোবর মার্কার মানসিকতার উপর।
আসুননা কমপক্ষে আমরাই প্রতিবাদে রাস্তায় নামি, মিয়ানমার দুতাবাস ঘেরাও করি। কারন তারা রোহিঙ্গারা আমার ভাই, তারা আমাদের প্রতিবেশি, তারচেয়ে বড় কথা তারাও মানুষ।
মিয়ানমার আর বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী নাফ নদীতে এখন শুধু নিরীহ মুসলিমদের লাশ আর লাশ বইছে, নদীর পানিও এখন মসলিমদের রক্তে লাল।
বেচারা আমাদের এই নিরীহ মুসলিম ভাই-বোনদের ভাগ্য এতই খারাপ যে কোন যায়গায় তাদের স্থান হচ্ছে না। জীবন বাচাতে কোনমতে বাংলাদেশ সীমান্তে আসলেও তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এখান থেকেও তাদের। শুধু এই গত ৫ দিনে তিনশো’র অধিক মুসলিমকে হত্যা করেছে পাষন্ড মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
বাংলাদেশ এর উচিত বর্বর বার্মাদের বিরুদ্ধে যদি এ্যকশান না নিলেও কমপক্ষে প্রতিবেশি দেশ হিসাবে বিশ্ব দরবারে রোহিঙ্গাদের দুর্দশা তুলে ধরা। তুলে ধরতে হবে যে কিভাবে অহিংস নামধারী পশুরা নিরীহ মুসলিমদের রক্তের হোলি খেলায় মত্ত আছে। কারন বর্বর বার্মিজদের কবল থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের রক্ষায় আমাদের বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব অপরিসীম।
জাতিসংঘের স্বীকৃতিতেও নিরীহ রোহিঙ্গারা আজ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত জনগোষ্ঠী। শুধু মুসলমান হবার অপরাধে আজ তারা মিয়ানমারে গণ্যহত্যার শিকার হচ্ছে।গত কয়দিনে মিয়ানমারের পশু সেনাবাহিনী শত শত রোহিঙ্গা নাগরিককে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মেরেছে। প্রান বাঁচাতে কোনমতে নাফ নদী পর্যন্ত দৌড়ে আসছে বাংলাদেশের মতো ভাতৃপ্রতিম মুসলিম নিকটতম প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিতে। কিন্তু না, সে আশ্রয়ও মিলছেনা এখানে। পুশব্যাক দিয়ে তাদের ঠেলে দেওয়া হচ্ছে আবারো গুলির মুখে। এমনকি নদীর সে পাড়েও নাকি নির্বিচারে গুলি করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিচ্ছে। এখন নাফ নদীতে অনেক লাশ। আজ যারা এদেশে আশ্রয় চায় --তাদের অধিকাংশই নারী -শিশু। তারা মগের মুল্লুক ছেড়ে মুসল্লিম মুল্লুকে এসেও বাঁচতে পারছেনা।হায় আফসোস!!
বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক রোহিঙ্গা বসবাস করে --যারা এভাবেই একদিন জালেমদের কবল থেকে পালায়ে এখানে জায়গা পেয়েছিল। বর্তমান সরকার বাড়তি রোহিঙ্গাদের চাপ নিতে চাইছেনা ---কিন্তু তাদের পক্ষে অন্তত আন্তর্জাতিক মহলে কথা বলতে হবে। আমরাই তাদের নিকটতম প্রতিবেশী, তাই দায়িত্ব আমাদেরই বেশি। তারা বাংলায় কথা বলে --তাই ওরা তাদের বাঙালি বলে অভিযোগ করছে --অথচ, এ বাঙালিদের জন্য আমাদের কর্তব্যবোধ আজ জাগ্রত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছেনা। ওরা মুসলমান। বাঙালি মুসলমান। তাই, উপরে আল্লাহ্, আর প্রতিবেশি হিসেবে বাংলাদেশই তাদের ভরসার জায়গা। তাই, আমাদের সরকারের কাছে আবেদন করি ---মেহেরবানি করে এ বাঙালি মুসলমানদের জন্য কিছু করুন। জাতিসংঘে যান --যেতে হবে মুসলিম দেশগুলোর কাছে। আন্তর্জাতিক কনভেনশন ডাকুন। প্রয়োজনে মুসলিম দেশগুলোর সাহায্য নিন ---মধ্যপ্রাচ্যের সাহায্য নিন। আশ্রয় প্রার্থীদের জন্য তাৎক্ষনিক পুশব্যাকের মতো অমানবিক আচরন না করে --অন্তত সাময়িক আশ্রয়ের ব্যবস্হা করুন। তারপর, কুটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে তাদের স্বদেশে পাঠাবার চিন্তা করতে পারেন। নাফ নদীর ওপাড় তাদের জন্য জ্বলন্ত নরক বলেইতো আশ্রয়ের আশায় এ পাড়ের স্বর্গ পা রাখতে মরিয়া হয়ে আসছে --কিন্তু আমরা তাদের আবারো সেই নদীতেই ভেসে যেতে বাধ্য করছি। সরকারের কোন সুস্পষ্ট বক্তব্যও আসছেনা এ প্রসঙ্গে। মিডিয়ায় খবর আসে খুব কম --আলোচনা নাই বললে চলে। আজ বিশ্ব বিবেক যেন থমকে আছে। রোহিঙ্গাদের জন্য কেউ নেই ??
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৭
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×