সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদেশে জনশক্তি হিসেবে মহিলা কর্মী প্রেরণ অনেকের কাছেই একটি সম্ভাবনাময় খাত মনে হচ্ছে। কিন্তু শ্রমিক হিসেবে বাসায় কাজ করার জন্য মহিলাদের পাঠানো কতটুকু লাভজনক সেটা অনেকটাই প্রশ্ন সাপেক্ষ। বাংলাদেশ থেকে ইতোপূর্বে আরব দেশগুলাতে নারী কর্মী পাঠানো হয়েছিলো। কিন্তু সেটার ফলাফল ছিল ভয়াবহ।
মধ্যপ্রাচ্যে গৃহকর্মী নির্যাতন
প্রত্যেকটা দেশ থেকেই তারা ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছিলো। শুধু বাংলাদেশই নয়, এশিয়ার বেশিরভাগ দেশেই গৃহকর্মীদের উপর কমবেশি নির্যাতন হয়। মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় এই প্রবণতা তুলনামূলক বেশি।
মালয়েশিয়ায় গৃহকর্মী নির্যাতন
সরকার হংকঙে ১লাখ নারী কর্মী পাঠানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার ফলাফল খুব একটা ভালো হবে না।
চলতি মাসে ৭২ নারী শ্রমিক হংকং যাবেন
ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির সংবাদেও যাদের ছবি দেয়া হয়েছে, দেখেই বোঝা যাচ্ছে তাদের বয়স খুবই কম।
হংকঙে নারী গৃহকর্মী
একটা বিষয়ে আমাদের লক্ষ্য রাখা দরকার, আমরা যতই মুখে নারী অধিকার, প্রগতিশীলতার কথা বলি না কেন; কোন তুলনামুলক সচ্ছল পরিবার তার অল্পবয়সী মেয়েকে বিদেশে কাজ করতে পাঠাবে না। আমার পোস্ট পড়ে কেউ হয়তো নারী বিদ্বেষী অথবা হেফাজতি ভাবতে পারেন, কিন্তু বাস্তবতা অনেক ভিন্ন। ২০০৯ সৌদি আরবে শ্রীলঙ্কান মহিলার উপর অকথ্য নির্যাতনের ঘটনাটি অনেক বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলো।
সুতরাং, কিছু রেমিট্যান্সের আশায় নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েদের এরকম ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়াটা বড় রকমের ভূল হবে। সরকারের উচিৎ দেশেই নারীদের জন্য আরও বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করা, প্রয়োজন হলে কিছু সেক্টরে নারী শ্রমিকদের সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




