চরিত্রহীনা নারী চরিত্রহীন পুরুষের জন্য, আর চরিত্রহীন পুরুষ চরিত্রহীনা নারীর জন্য। সৎ চরিত্রবতী নারী সৎ চরিত্রবান পুরুষের জন্য, আর সৎ চরিত্রবান পুরুষ সৎ চরিত্রবতী নারীর জন্য।" ___সূরা আন নুর-২৬
চট্টগ্রামের মরহুম ডাক্তার আত্মহত্যা করে আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে গেলেন অশালিনতা, অনৈতিকতা কতটা ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। সবাই একযোগে মেয়েটিকে দোষারোপ করছে অথচ বিয়ের ৬ বছর আগে থেকে ওই মেয়ের সাথে ডাক্তার সাহেব এর অনৈতিক সম্পর্ক ছিলো!! ডাক্তার সাহেব নৈতিকভাবে পরাজিত হওয়ায় স্ত্রীর কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারেননি, সর্বশেষ নিজেকেই তিনি শেষ করে দিলেন।
ইসলাম ভালো মন্দের পার্থক্য করে দেয়, মানা না মানার স্বাধীনতা সবারই আছে যেমন :
১. ছেলে মেয়েদের বিবাহ বহির্ভূত কোন সম্পর্কই ইসলাম অনুমোদন করে না।
২. চরিত্রহীন কোন মেয়েকে চরিত্রবান কোন পুরুষ বা চরিত্রহীন কোন পুরুষকে চরিত্রবান কোন নারীর বিয়ে করা নিষেধ।
৩. পারস্পরিক মিলমিশ বনিবনা না হলে পৃথক হয়ে যাওয়ার পথ খোলা আছে।
তারপরও বলবো আল্লাহ যেন উনাকে ক্ষমা করে দেন। এই ঘটনার পরে ব্লগে কেউ কেউ ডাক্তার সাহবেকেও নির্বোধ বলছেন। তবে দুটো বিষয় খেয়াল রাখা উচিৎ।
প্রথমত, বাংলাদেশের দণ্ডবিধি দাম্পত্য বিশ্বাস ও ভালবাসার সাথে এই ভয়াবহ প্রতারণার কোন প্রকার শাস্তি থেকে ওই নারীকে অব্যাহতি দিয়েছে। ব্রিটিশ আমলের ওই মান্ধাতার আইনের ৪৯৭ ধারা এখনো ধরে নিচ্ছে সেই ব্যভিচারী স্ত্রী পুরুষের প্রলোভনের শিকার; সেকশনেই উল্লেখ করে দেয়া আছে সেই নারীকে ব্যভিচারের সহযোগী হিসেবে দায়ী করা যাবে না।
দ্বিতীয়ত, স্ত্রীর ফ্যামিলির সোশ্যাল স্ট্যাটাস রক্ষার চাপে বিয়ের দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৫ লক্ষ টাকা! বিচ্ছেদ চাইলেই ঠুকে দেয়া হবে অনাদায়ী দেনমোহরের মামলা- পরিশোধের সাধ্য নেই, যৌতুক ও নারী নির্যাতন মামলা, সামাজিক গঞ্জনার খড়গ তো ঝুলছেই!
আলোচ্য ঘটনায় স্বামীটি কোন পথে যাবে? স্ত্রীকে খুন? সেটি যে মৃত্যু দণ্ডনীয় অপরাধ!
সর্বশেষ একটা কথাই বলতে চাই আধুনিকতার নামে আমরা যতই নাস্তিকতা, অনৈতিকতা, বহুগামিতা এগুলোকে অনুমোদন করবো ততই আমাদের অবস্থা আরো শোচনীয় হতে থাকবে। তাই আমাদের উচিৎ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা কেননা সত্য ও সুন্দরের পথ প্রশস্ত এখানে কোন সংকীর্ণতার স্থান নেই, পচনশীল সমাজ ব্যবস্থায় এই বিষয়টা আমরা যত তাড়াতাড়ি বুঝে উঠতে পারবো ততই কল্যাণ।