তুমি চলে যাওয়ার পর
তোমাকে নিয়ে আর ভাবা হয়ে উঠেনি
চেষ্টা করেছি বহুবার
কিন্তু তোমাকে নিয়ে কোন কবিতা লেখা হয়নি ;
গত বছর এমনই এক শীতের রাতে
মনে পড়েছিল তোমাকে
সারারাত ভাবলুম তোমাকে নিয়ে কি ভাবা যায়
রাত যখন সমাপ্ত প্রায়
তখন জানতে পারলাম
তোমাকে নিয়ে ভাবাবার মত
কিছু আর অবশিষ্ট নেই।
তুমি চলে যাওয়ার অনেক দিন পর
মুনিয়া এসেছিল একদিন
আমার জীবনে
মুনিয়াকে জানতে তুমি ;
আমদের পাড়াতেই থাকত
তোমার কাকুর ভাড়াটিয়া ছিল
মনে পড়ে ?
সেই মুনিয়া –
লম্বা ছিপ-ছিপে দোহারা গড়ন
ফর্সা না হলেও , ঠিক শ্যামলা বলা যায় না
অসম্ভব সুন্দর দুটি চোখ ছিল তার
স্নানের পর কাকুর উঠোনে
প্রায়ই তাকে দেখা যেত
আমাদের দেড়তলা বাড়ির কার্ণিশ থেকে
সে কি ভাবত জানি না
আমি কিছুই ভাবতুম না
কেননা –
সেই সুদূর কৈশোরে
আমার সামাজিকতায় তুমি ছিলে বিধান
সামগ্রিকতায় ছিলে জীবন
জীবনের স্পন্দনে তুমি ছিলে সুর
সুরের ছন্দবার্তায় মনে হত
নশ্বর ধরণীর এই শতাব্দীতে
তুমিই একমাত্র সুখশিল্পী।
আমার সদ্য জন্মপ্রাপ্ত যৌবনেও ভাবতুম
জীবনের নগরীতে গড়ে উঠা প্রতিটা সুখের
তুমিই শিল্পী।।
কিন্তু আমার ছোট্ট খাট্টো জীবনে তুমি হাপিয়ে গেলে
এমনকি যাওয়ার সময় বলিলেও –
‘ কিছু মনে করো না
অন্য কাউকে ভালবেসে ফেলো ‘
কিন্তু মাধবী –
ভাল ‘ত’ কাউকে চাইলেই বাসা যায় না
আর একবার ভালোবাসলে
অন্য কাউকে বাসা হয়ে উঠে না।
মুনিয়াকেও তাই ভালবাসতে পারিনি
আজ প্রত্যুষে সেও চলে গেল, শাপান্তে –
আমি কখনো সুখী হব না ,
কিন্তু এ আর নতুন কি ?
মাধবী –
তুমি ছাড়া কি করে সুখী হই !
বলতে পার ??
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮