সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন্স এর ক্ষেত্রে বিশ্বের নামকরা প্রকাশনা সংস্থা হচ্ছে নেচার , তারা প্রতি বছরই পৃথিবীর সকল দেশের এফিলিয়েটেড সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন্স এর সংখ্যা নিয়ে একটি তালিকা তৈরী করে থাকে, তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ এফিলিয়েটেড (মানে হচ্ছে বাংলাদেশের কতজন গবেষক এবং সংস্থা পাবলিশড পেপারে অন্তর্ভুক্ত ) পাবলিকেশন্স এর একটি তালিকা তৈরী করেছে , এখানে বলে রাখা ভালো যে নেচার শুধু মাত্র মানসম্মত ও উচ্চ ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর যুক্ত জার্নাল গুলোকেই বিবেচনায় নেয় , সে হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান মোটেও সন্তোষজনক নয় ।
স্ক্রিন শর্ট এ দেখা যায় এই তালিকা তৈরিতে দুটি Parameter ধরা হয়েছে :
AC= Subject AC বলতে মূলত ওই সাবজেক্ট এ কোনো দেশের এফিলিয়েশন এ কতটি আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছে , আর Institutional AC বলতে ওই দেশের কোন কোন সংস্থার এফিলিয়েশন ওই আর্টিকেল এ আছে
FC= Subject FC হচ্ছে ওই বিষয়ের ওই আর্টিকেল এ অন্তর্ভুক্ত দেশের গবেষকদের সংখ্যার শতকরা হিসাব , Institutional FC হচ্ছে আর্টিকেল এ অন্তর্ভুক্ত দেশের গবেষকদের সংস্থার সংখ্যার শতকরা হিসাব
নেচার ইনডেক্স এর সূত্র অনুযায়ী ০১লা নভেম্বর ২০১৭ থেকে ৩১ অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত উচ্চ ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর যুক্ত জার্নাল এ প্রকাশিত পাবলিকেশন্স এর সংখ্যা ২ ১ ( যদিও হিসেবে দেখা যায় ২ ২ )।
তালিকায় দেখা যায় Earth and environmental sciences এবং Life sciences এ গত বাংলাদেশ এফিলিয়েটেড গবেষক ও সংস্থা তুলনামূলকভাবে বেশি ( ৮ টি ও ৭ টি করে টোটাল ১৫ টি রিসার্চ পেপার ) এদের মধ্যে আছে Nature Communications, Nature Genetics, PNAS এর মত নামকরা জার্নাল , অপর দিকে Physical sciences এর অবস্থা খুব একটা আশাব্যাঞ্জক নয় ,একই অবস্থা কেমিস্ট্রি এর ক্ষেত্রেও (সবমিলিয়ে ৭ টি রিসার্চ পেপার ) ।
এখন দেখা যাক ইনস্টিটিউশন্স এর ক্ষেত্রে , এদিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে আইসিডিডিআরবি , তাদের এফিলিয়েশন এ অন্তত ৬ টি রিসার্চ পেপার আছে , এরপর আছে যথাক্রমে ব্র্যাক ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি ( ২টি ও ৫ টি ), যদিও ঢাকা ইউনিভার্সিটি এর প্রবন্ধের সংখ্যা বেশি , কিন্তু ইনডেক্স এ তারা একটু পিছিয়ে গেছে , এর পর আছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ ওয়াটার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড , এরপর যথাক্রমে ১ টি করে গবেষণা প্রবন্ধ নিয়ে পিছিয়ে আছে জাবি , KUET, CHUET প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয় ,
এখানে উল্লেখ্য একটি রিসার্চ পেপারেও বাংলাদেশিরা Principal author হিসেবে নেই, সবাই co- author , আইসিডিডিআরবি এর এগিয়ে থাকার কারণ সংস্থাটির সাথে বিদেশী কোলাবোরেশন খুব শক্ত সেই হিসেবে এখানে বেশ কিছু কাজ হয় কিংবা কাজের অংশবিশেষ হয় সেই হিসেবে তারা পাব্লিকেশন্স এর সময় co- author হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় , অন্য সকল গবেষণা সংস্থার একই অবস্থা ,
বাংলাদেশ থেকে সম্পূর্ণ Principal author এ High Impact Journal ( যেমন Nature Communications, Nature Genetics, PNAS ) এ শুধু বাংলাদেশী এফিলিয়েশন এ কোনো গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত গত এক বছর কিংবা এর আগের বছর গুলোতেও হয়তো খুব সামান্য কিংবা হয়নি , ঢাকার বাহিরের আরো অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং নতুন প্রতিষ্ঠিত বিশ্বিদ্যালয়গুলো এই তালিকায় আসতে পারেনি দেশের সায়েন্টিফিক রিসার্চের দৈন্যদশা প্রমান করে ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০২