আর যাই হোক আদর্শের জন্য প্রাণ দেওয়া কোন যেনতেন বিষয় না।ফেইসবুকে ব্লগে চিল্লাইন্না পাব্লিকেরা তখনো ছিল, এখনো আছে,ভবিষ্যতেও থাকবে। কোন ইস্যু মানে এদের আদর্শের সাফাই যতটা না গাওয়া, তারচেয়ে প্রবল সস্তা লাইকের বাসনা , বিকৃত মানসিকতা দিয়া প্রতিপক্ষরে ঘায়েল করা, নয়তো দেশ খারাপ কোন দেশে বাস করি, হেন তেন বৈলা জ্ঞানগর্ভ জাহির করা
মূল ব্যাপারটা অন্য জায়গায়। ফেইসবুকে আই এম অভিজিত লিখা হ্যাশট্যগের চাইতে রাস্তায় দাড়ায়া বিচার চাই দাবি করায় জীবনের রিস্ক বেশী।বিম্পি জামাত কি ছাতার মাথার অবরোধ কর্তেছে , এইটা বলার চাইতে রাস্তায় নাইমা সরকার এর বিরুদ্ধে কথা বলায় হ্যাডম দরকার।নারায়ে তাকবীর ভুয়া জিনিস, পৃথিবীতে কোন সৃষ্টিকর্তা নাই, এইসব কথায় কি বোর্ড ফাডায়ালান সোজা, মানুষের মনে জায়গা করে নিতে হৈলে রাস্তায় নামা লাগবে।
মানুষ ব্লগ পড়ে।প্লাস দেয়।যায় গা ।
মানুষ ষ্ট্যাটাস পড়ে,লাইক দেয়,যায় গা।
এমনো কিছু আদর্শধারীর সাথে দেখা হৈছে, যারা অন্যের পোষ্টার রাতের অন্ধকারে ছিড়া নিজের আদর্শরে উচকায়।অন্যের পিছে কথা রটায়া মনে করে নিজের আদর্শ ছড়াইতেছে। অন্যের বিশ্বাস রে গালাগালি কৈরা বুঝায় দেয় তারটা বহুত ভালো !
জানি না,এই লোকগুলা আদর্শের পক্ষে উপকারী না ক্ষতিকর!নিশ্চুপে নিস্বার্থে বোকার মত নিজের আদর্শের ক্ষতিটা করে এরা নিজেরাই!
এইসব পাব্লিক ইসলামিষ্ট হৈলেও সমস্যা, বি এন পি, আওয়ামী, বাম হৈলেও সমস্যা !
আর যুগে যুগে কারা নিজেদের আদর্শের জন্যে প্রাণটার মায়াও ছাইড়া দেয়ার জন্যে প্রস্তুত থাকে সেটা আমরা দেখছি বহুবার।এই মেজরিটি সংখ্যাটাই প্রমান করে দেয়, তাদের আদর্শটাও সঠিক,গুনগত অন্য দশটা আদর্শের মত এতটা লাইট ফরেকাষ্টিং এইখানে নাই। এরা যা বোঝে, ধীরে বোঝে।যখন বোঝে, তখন আর কিছুর মায়াই এদেরকে আটকাইতে পারে না।
যুগে যুগে এই পার্থক্যটাই বুঝায় দিবে কারটা সত্যি, আর কারটা মিথ্যা অহংবোধের ফাপা গড্ডালিকায় আজন্ম ভুলস্রোতে ভেসে যাওয়া !
যুগে যুগে সত্যরা নিন্দুকের মাথা ব্যাথার কারন হয়, মিথ্যারা শত অলংকারে সত্যকে কালিমা লেপনের মধ্য দিয়ে নিজেদের শেষপরিনতির দিকে এগুতে থাকে !
সত্য ও মিথ্যার এ দন্দ্ব আজীবনের।
আর এই দন্দ্বে সত্যের সহযাত্রী হওয়াটাই গৌরবের।
চলুন সত্যকে আগে ভালবাসতে শিখি।ভালোবাসতে শেখাই অন্যদের।
চলুন চুপচাপ নেমে পড়ি।
আজই ! এক্ষুনি !