somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

।। অরণ্য জঙ্গলার মাঝে আমার একখান ঘর ।।

২০ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১.
রবীন্দ্রনাথ বাস্তব জীবনে কতোটা কী সুখী ছিলেন জানি না। রবীন্দ্র-গবেষকেরাও হয়তো বলতে পারবেন না, কারণ রবীন্দ্রনাথ এতো বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে মানষের অনুভূতিগুলোকে স্পর্শ করে গেছেন যে, সবকিছু মিলিয়ে তাঁকে বুঝে ওঠা মুশকিল বলেই মনে হয়।

আমার ছেলেবেলায় কখনো তেমন করে গান শোনা হয় নি। আসলে শোনার সুযোগ ছিল না। গান শোনার যন্ত্রপাতিই ছিলো না আসলে। টেনেটুনে চলা অনেক বড় একটা পরিবারে মানুষ, ভাইবোন হাফ ডজন। কাজেই এইসব জীবনযাপনের অপ্রয়োজনীয় বাহুল্যের সাধ-আহলাদ কেউ করতোও না। তাই সেভাবে গান শোনাও হয়ে উঠে নি।

কিন্তু জীবনের একটা সময়ে একলা হয়ে পড়া জীবনে, সেই গানই হয়ে উঠলো জীবনের অনেকটাই। সব ক্লেশ যেন এক গানেই মুছে যায়, সব কষ্টের উত্তর যেনো দিয়ে রেখেছেন ওই এক রবীন্দ্রনাথ। মাঝে মাঝে ভাবি, উনি সব কষ্ট অনুভব করে বসে আছেন, স্রেফ সুর আর কথা দিয়ে জীবন নামের এই অর্থহীন যাতনাকে সংজ্ঞায়িত করে যাবার দায়িত্বটুকু করে গেছেন।

সেই রবীন্দ্রনাথেরই একটা গান শুনি অনেকদিন। "হ্রদয় আমার প্রকাশ হলো "।


বারবার লুপে পড়ে একই গান বাজে। তারপরও বিরক্তি জাগে না। শুনি, আর মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা কুয়োগুলোর একেকটায় উঁকি দিয়ে দেখি। আর ভাবি, এইখানে আমি কী করছি? এই অযাচিত ভার্চুয়াল রঙ্গমঞ্চে?


২.
দেশে গিয়ে গান খুঁজছিলাম বিভিন্ন সিডি-ডিভিডি র দোকানে। অতুলপ্রসাদ এর গান এর কথা শুনে বেশিরভাগ দোকানেই এমন দৃষ্টি নিয়ে তাকালো, মনে হলো আমি কোন বড় অপরাধ করে ফেলেছি।
অতুলপ্রসাদ এর এই গানটা মাঝেমাঝেই খুঁজে বের করি। তব চরণতলে সদা রাখিও মোরে । সংশয়বাদী হয়েও শুনি ভক্তিগীতি। মাঝে মাঝে ঈশ্বরভক্ত মানুষদের জন্যে ঈর্ষাই হয়। ঈশ্বরে ডুব দেবার লোভ জাগে। মানুষ কী সুন্দর সব ঈশ্বরে সমর্পণ করে দিন কাটায়।


৩.
উপরের প্যানপ্যানে পোস্ট এখানেই শেষ। এই পোস্টের কোন ভূমিকা নেই, বক্তব্য নেইও, থাকার কথাও ছিলো না।



নোট-
জীবনে ভার্চুয়াল অনুসঙ্গগুলোকে একেকটা করে বিদায় জানানোর একটা ছোটখাটো প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সেই প্রাক্কালেই অনেকগুলো জিনিষ মিলেমিশে ব্যাপারটা অনেক সহজ হয়ে গেলো। সামহোয়্যারইনব্লগ ফিডব্যাক বলেছে, তাদেরকে মেইল করে অনুরোধ করলে তারা ব্লগ মুছে দেবে। এবং আমার ব্যবহৃত পুরনো নিকও আছে কয়েকটি, সেগুলোও মুছে দেবার একটা ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে, মনে করছি।


এই ব্লগে যাদের ভালোবাসা পেয়েছি, তাদের কাছে ক্ষমা চাইবার সাহস করবো না। ভালো থাকুন, প্রিয় মানুষগুলো।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:০৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩০




কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×