“তারা ফুঁ দিয়ে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায় অথচ আল্লাহ তাঁর নূর বা জ্যোতিকে পরিপূর্ণ করবেন যদিও কাফেরদের কাছে তা পছন্দনীয় নয়।” (৯:৩২)
যুগে যুগে জালিম শাসক ও রাজা-বাদশাহরাসহ অনেকেই ন্যায় বিচার বা সত্যকে মেনে নিতে পারেনি। বরং তারা ন্যায় বিচার প্রতিরোধের জন্যে ধর্মীয় মহাপুরুষ ও তাঁদের আদর্শ নির্মূলের লক্ষ্যে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করেছে এবং অত্যাচার ও বল প্রয়োগের আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু নবী- রাসূলগণের নাম ও তাঁদের আদর্শ জীবন্ত রয়েছে এবং মানুষ আজও তাঁদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। অন্যদিকে জালিমদের সেইসব প্রতাপ ও শক্তিমত্তার কিছুই অবশিষ্ট নেই এবং মানুষ তাদের স্মরণ করলেও ঘৃণাভরে স্মরণ করে।
এই আয়াতে মহান আল্লাহর এই রীতি স্পষ্টভাবে তুলে ধরে বলা হয়েছে, কেউ কেউ আল্লাহর নূর তথা তাঁর স্মরণ ও নামকে মিথ্যা প্রচারের স্রোতে মানুষের অন্তর থেকে মুছে ফেলতে চায়। তারা মনে করে যে ফুঁ দিয়ে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে ফেলা সম্ভব, অথচ সূর্যের আলোর মতোই মহান আল্লাহর নূর সারা কিশ্বে ছড়িয়ে আছে।
এ আয়াত থেকে আমাদের মনে রাখা দরকারঃ
এক:
ইসলামকে নির্মূলের জন্যে ইসলামের শত্রুরা মিথ্যা প্রচার ও প্রোপাগান্ডার ওপরই সবচেয়ে বেশী জোর দিয়েছে, তাই তাদের কোনো কথায় প্রভাবিত হওয়া উচিত নয়।
দুই:
ইসলামের শত্রুদের এটা বোঝা উচিত আল্লাহর ইচ্ছার বাস্তবায়ন অনিবার্য এবং মিথ্যার পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। তাই ইসলামের বিরুদ্ধে তাদের যে কোনো প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।
পশ্চিমা বিশ্বে যখন ইসলাম বিদ্বেষ চরমে পৌঁছেছে ...
যখন ইসলামকে উপহাস করে কার্টুন,রম্য রচনা লিখা হচ্ছে ঠিক তখন তাদের নিজেদের দেশেই মানুষ স্রোতের মত ইসলাম গ্রহণ করছে।মূলত ইসলাম হচ্ছে এক উজ্জ্বল আলোকরশ্মি।অপপ্রচার দিয়ে এই রশ্মিকে থামিয়ে দেওয়ার চিন্তা করাটা নিতান্তই
বোকামি।
--- (সংগ্রিহীত)