somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডিজিটাল বাংলাদে:১ম পর্ব (২৮ অক্টোবর এর উপর উৎসর্গকৃত একটি উপন্যাস)

২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-মো: ওলিউর রহমান


আমি ইসলাম নিধনের যুদ্ধে বিশ্বাস করি এবং বামপন্থীদের লালন করি। প্রত্যেক বামপন্থীদের জন্যই ইসলাম নিধনের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা অবশ্যই কর্তব্য। আমরা এটাও মনে করি যে, যতদিন পর্যন্ত এই পৃথিবীতে ইসলাম এবং মুসলিম সমপ্রদায়ের অস্তিত্ব নিঃশ্চিহ্ন না হবে তত দিন পর্যন্ত আমাদের সমস্ত যুদ্ধংদেহী কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। এই যুদ্ধ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ; মানবতাকে বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ; মানবধিকার রক্ষার যুদ্ধ। পৃথিবীকে যে কোন বিপজ্জনক পরিস্তিতির কবল থেকে রক্ষার জন্য সন্ত্রাসবাদকে দমন করতে হবে। জাতিসংঘের “ওয়ার্ল্ড টেররিস্ট সোসাইটি”র বাৎসরিক প্রতিবেদন অনুযায়ী পৃথিবীর প্রতিটি দেশে এখন সন্ত্রাসীদের একটি শক্ত অবস্থান রয়েছে। সমস্ত পৃথিবীময় তারা এক বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। সেই বিশাল নেটওয়ার্কটাকে ধ্বংস করতে হলে সকল দেশের সরকারগণকে একাত্মতা ঘোষণা করে একযোগে সন্ত্রাসীদের উপর আক্রমন চালাতে হবে। এই আক্রমন নীতির নামই হচ্ছে ‘সন্ত্রাসবাদ দমন নীতি’। ইসলাম মুক্ত পৃথিবীর যে ¯^cœ আমরা এত যাবত কাল ধরে দেখতে আছি, তা এই নীতির মাধ্যমেই বাস্তবায়ন করা হবে। ডানপন্থী ইসলামীদের ধ্বংস ছাড়া এই পৃথিবীকে কখনই বিশৃংখলা মুক্ত করা সম্ভব নয়। মহামান্য রাষ্ট্রনায়ক বুশ বেশ কয়েকটি দেশে অত্যন্ত সফলতার সাথে বেশ কয়েকটি বড় বড় অভিযান পরিচালনা করতঃ ইতিপূর্বে তার গুরু দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। তার পরবর্তী গুরু দায়িত্ব প্রাপ্ত মহামান্য বারাক হোসেন ওবামা ইতিমধ্যে দক্ষিণ এশিয়াকে তার অভিযানমালার প্রধান টার্গেট হিসেবে স্থির করেছেন। অভিযান বলতে শুধু বোমারু বিমান, জঙ্গী বিমান, জঙ্গী ট্যাংক, জঙ্গী শটগান, জঙ্গী মেশিন গান ইত্যাদী দিয়ে হামলা চালানো নয়। এসব বস্তু দিয়ে হামলা চালাবার পূর্বে আরো অসংখ্য ‘গান’ এবং প্রচুর কর্মাভিযানের প্রয়োজন আছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক, পারিবারিক, সাংস্কৃতিক, শৈল্পিক ইত্যাদী, ইত্যাদী, ইত্যাদী। মাও সে তুং বলেছিলেন, “ বিল্পব ছাড়া সমাজতন্ত্র প্রতিষ্টা করা সম্ভব নয়”। আসলে বিপ্লব ছাড়া কোন তন্ত্রই প্রতিষ্টা করা সম্ভবপর হয়ে উঠে না। সুতরাং আমাদের পদে পদে বিপ্লবী হওয়া উচিৎ। কিন্তু খুবই উদ্বেগ ও পরিতাপের বিষয় যে, ইসলামপন্থীদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলছে। এতসব হত্যাষজ্ঞের পরও কেন তাদের সংখ্যা, প্রভাব, প্রতিপত্তি বর্ধিত হতে চলবে? নামের শেষে ‘তন্ত্র’ এবং ‘বাদ’ যোগে পৃথিবীর দেশে দেশে আমাদের যত মন্ত্র আছে সবখানেই শুধু উৎকন্ঠার বিণ শুনা যায়। প্রত্যেক মন্ত্রেরই ভিন্ন ভিন্ন অভিযান মালার পথনির্দেশিকা আছে। একটি গাছের শত শত ডাল-পালা শত শত দিক নির্দেশ করতে পারে যদিও তাদের অস্তিত্ব মাটির গভীরে শিকড় ছড়িয়ে দেয়া এক মুখী একটি কান্ডের উপরই বিদ্যমান। সমস্ত ‘তন্ত্র’ এবং ‘বাদ’ ক্রমেই মূলের দিকে এগুচ্ছে। আমি তাদের সেই যাত্রায় নাস্তিক্যবাদের একজন সংগ্রামী যোগী হিসেবে আছি। নাস্তিক্যবাদের অন্তরালে আমি অনেক সুখ পাই। যে সুখ গুলো নিজস্ব ব্যাক্তি সত্তার মধুময় আরাম জোগানোর জন্য অত্যন্ত সুফলদায়ক। পৃথিবীতে অরজিনাল শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে নাস্তিক হওয়া জরূরী। নাস্তিক হওয়া জটিল হলেও কঠিন নয়; মানে খুব সহজ। আমার গুরুর ভাষায়, বলে দিন- “যা কিছু দেখা যায় না তা বিশ্বাস করা যায় না। সৃষ্টিকর্তা যেহেতু আমাদের দৃষ্টির অগোচরে,সেহেতু তাকে আমরা বিশ্বাস করতে পারি না”। ডারউইনের মতবাদ আমাদের এই মতবাদকে সমর্থন করে। ঊনি মূলত একজন মৈালবাদী দার্শনিক ছিলেন। নইলে কি আর ওমন অদ্ভুদভাবে শুধু শুধু আমাদের মূলের দিকে ফিরে যেতেন?!! “আমাদের পূর্বপূরুষরা বানর ছিলেন। আদিতে তারা পোকার আকৃতিতে পানিতে বসবাস করতেন। তারপর ধীরে ধীরে বিবর্তনের মাধ্যমে তারা মানুষে পরিণত হয়েছে।” এসব বিষয় আমার কাছে খূব জটিল জটিল মনে হয়। এইজন্য ঔই বিষয়গুলোর আলোচনায় সাধারণত আমি যাই না; তবে আমার গুরুরা যান।
মাঝে মধ্যে আমার অন্তরে একটি বিশেষ শোকের অস্তিত্ব উপলব্দিত্ব হয়। সেটা.... আমার পিতা-মাতার মৃত্যু শোক। গুজরাটের একটি সামপ্রদায়িক দাঙ্গার দাউ দাউ করা আগুনে যখন আমাদের পৈতৃক ভিটা দগ্ধ হচ্ছিল, সেই দহনে ভষ্ম হয়ে আমার গর্ভধারীনী মাতার যখন মৃত্যু হয়েছিল; তারপর থেকে ভারতের বাতাস আমাকে আজরাঈলের মত করে ঝাপটাতে থাকে । বাবা আমাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। আমি এক হিন্দু পরিবারে বেড়ে উঠতে থাকি। ধর্ম-কর্ম আমার মোটেই ভালো লাগে না। এাকদিন বাবা ভারতে চলে গেলেন। ঊনি আর ফিরে আসলেন না।
আমি একজন গুরু লাভ করি; যার পদযুগল বরাবরই গোবরে লেপে দেয়া আমাদের বাড়ীর আঙিনাটার ভাগ্য প্রসন্ন করে দিত; যাকে আমি ভালবাসতে শুরু করি,- তিনি হুমা সাহেব। আমি তার শিষ্যত্ব বরণ করি। তিনি আমার গুরু; গুরু মহান।
শুনেছি আমার পিতাও নাকি মহা ভারতের একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দাঙ্গায় প্রাণ হারিয়েছেন; তথাপি আমি আমার অন্তরে কোন শোকের স্থান দেই না। কারণ, গুরুর উক্তি- “যা কিছু দেখা যায় না তা বিশ্বাস করা যায় না।” অদেখা বিষয়ে অবিশ্বাসের দরূণ কোন ধরনের শোকই আমার জীবনকে আচ্ছন্ন করে রাখতে পারে না। জীবনের প্রথম দিকে আমি একটু একটু ধর্মে দিকে ঝুকে গিয়েছিলাম। ছোটবেলার সেই ছবিগুলো চোখের মণিকোঠায় বারবার ভেসে উঠে। বাবা নামাজ পড়াতেন, আমি তার পাশে গিয়ে দাড়াতাম; বাবাকে লক্ষ্য করে রুকুতে যেতাম,জায়নামাজে সেজদায় চলে যেতাম, মা আমার গালে চুমু খেয়ে মাথায় টুপি পড়িয়ে দিতেন। সেই জায়নামাজটা ছিল সবুজ আর সাদা-কালো মিশ্রিত; মধ্যখানে কাবাঘরের ছবি। আমি মাঝে মধ্যে খুবই আবেগ ত্বারিত হই; আবারো জায়নামাজে দাড়াতে চাই। বাবাকে নিয়ে স্মৃতিগুলো বারবার আমাকে নাড়া দেয়। আমার বাবার বন্ধু করূনাময় †Mv¯^vgx; তিনি যখন আলমিরা খুলে বৃথা বৃথা মূর্তির সামনে মাথা নত করে বসেন, আমার খুব ভালো লাগে। মনে হয়; প্রভু নামে নিশ্চয়ই কেউ একজন আছেন, যার জন্য তিনি এই প্রার্থনায় মগ্ন।
আমি সত্যি সত্যিই নিজেকে ধ্বংস করে ফেলছিলাম। চির জীবনের জন্য গোড়ামী আমাকে পেয়ে বসত, আমি কখনও মুক্তবুদ্ধির অধিকারী ¯^vaxb‡PZv হতে পারতাম না। ধর্ম আমাকে অন্ধ করে ফেলত,অস্তিত্বহীন কিছু ভয় আমাকে তাড়া করে ফিরতো, অস্তিত্বহীন কিছু আশা আমাকে কাবু করে দিতো। গুরু আমাকে উদ্ধার করেন। আমি বার্টান্ড রাসেলের বই পড়ি; ম্যাক্সিম গোর্কী, দস্তয়ভস্কি, মার্ক্স, এঙ্গেলস্‌, লেনিন, স্ট্যালিন, মাও সে তুং-য়ের বই পড়ে বিপ্লবী হয়ে উঠি। গুরু আমাকে আরো বই পড়তে দেন- রান্না পাক কর,জমিন চাষ কর এবং আমার বিশ্বাস নাই বই দু’টি আমি এক নতুন চেতনা লাভ করি; নব জীবন । পৃথিবীর সমস্ত ভোগ-বিলাসের সাথে পরিচিত হতে থাকি। এর আনাচে-কানাচে কত যে সুধা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তার খোজ কি কেউ রাখে? আমরা রাখি। তীক্ষ্ণ কৌশল আর সুদৃঢ় পরিকল্পনা প্রয়োগ করে আমরা সেগুলো ভোগ করেতে থাকি। পৃথিবীবাসীর দুঃখ কষ্ট কেড়ে নিয়ে আমরা সুধা বিলিয়ে দিতে চাই; শুধু সুধা আর সুধা। এটা সবার পৃথিবী, সবাই সমানভাবে,সমানভাগে, সমান পরিশ্রমে সকল সুখ-শান্তি উপভোগ করবে। এই সুখ-শান্তিতে আঘাত হানার অধিকার কারো নাই। আমাদেরকে সেই সুখ-শান্তি নিশ্চিত করতে হবে। যুদ্ধ-বিগ্রহ,হানা-হানি,খুন-ধর্ষন বন্ধ করে দিতে হবে। প্রতিষ্টা করতে হবে সমাজতন্ত্র এবং সাম্যবাদ। এটাই হতে পারে সব সমাস্যার মসাধান। মানবজাতি মঙ্গলের একমাত্র উপায়। এই তন্ত্রের অধিনে সবাই কাজ করে যাবে,রাষ্ট্র জনগনের খাদ্য বন্টন করবে, তাদের চাহিদা মিটিয়ে দেবে। খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান সবকিছুর চিন্তা রাষ্ট্রের। রাষ্ট্রই সকল কিছুর হর্তা এবং কর্তা। কল-কারখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠান সবকিছুর মালিক হবে রাষ্ট্র। ধনী গরীব সবাই সমান। প্রথম প্রথম “ধনী গরীব সবাই সমান” বিষয়টা আমার বুঝে আসে নাই। এইজন্য একদিন আমাদের নেতা সীরাজ চৌধুরী প্রগতিবাদী সমীপে প্রশ্ন করেছিলাম “স্যার ধনী গরীব সমান হয় ক্যামনে? এটা কি একটু বুঝবার পারি। ধনীদের বিরাট বিরাট অট্টালিকা, মার্সিডিজ,বিএমডব্লিউ আর পাজারো, চলাফেরা, চাহিদা এবং গরীবের কুড়ে ঘর, টিনের ঘর, খাবার-দাবার আর চলাফেরার মধ্যখানে কি কোন তফাৎ চোখে পড়ে না?”
নেতাজী খিল খিল করে হাসতে লাগলেন “তুমি এখনও বুঝতে পারলা না!!!? আমরা ধনীগো মার্সিডিজ,বিএমডব্লিউ আর পাজারো,গাড়ী-বাড়ী কল-কারখানা সবকিছু কেড়ে নিব। এটাকে অবশ্যই ছিনতাই কিংবা ডাকাতি বলা যাবে না। কারণ, রাষ্ট্রের কর্তা বর্গদের দ্বারাই তা কৃত হবে এবং আরো কৃত হবে। এইটা হইল সমান অধিকারের সোপান।
বিপ্লবের ফাঁক ফোকেরে তোমাদেরকেই সকল কাড়া-কাড়ি আর ধর্ষন- ঘর্ষনের কাজ করতে হবে। আমাদের তন্ত্রে নীতি-নৈতিকতা, সতীত্ব এগুলো নিয়া কোন প্রশ্ন করা হয় না; বুঝলা কমরেড। এইগুলো মৌলবাদীদের তৈরী। আধুনিক যুগে এইসকল শব্দ অবশ্যই বর্জনীয়।”
আমার পিতাজী অবশ্যই ‘জামাঈ ইসলাম’ পার্টি করতেন। আমার গুরুর কাছ থেকে শুনেছি। গুরু আমাকে এই দল থেকে বারবার দূরে থাকার পরামর্শ দেন। ওরাই তো আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষ। কবি আল-মুদাব্বেরের জন্য গুরু নিদারূন দুঃখ-কষ্টে ভুগেন; তিনি বলেন “ আহা বেচারা বুড়ো বয়সে কেন জানি মরিতে গেল, আজীবন সাম্যবাদ আর সমাজতন্ত্রের উপর অটল থাকলে বেচারা আমাদের মতো কত টাকা কড়ি কামাতে পারতো, নারী, গাড়ি, বাড়ি কিছুরই অভাব হত না। কবি টাবলুর মৃত্যু পর্যন্ত আরো কত সম্মান এবং পুরষ্কার অর্জন করতে চলল। আর বেটা মুদাব্বের মৃত্যুলগ্নে সবকিছু হারাতে বসল।” সমাজতন্ত্রের আরো নানামুখী সুবিধার কথা গুরু আমাকে বলে বেড়ান। যেমন- সমাজতন্ত্র করলে রাশিয়ার ভোদকা আর চীনের বিড়ি ফ্রী পাওয়া যায়। অধিকন্তু যারা সমাজতন্ত্র করে; ধর্ম-নিরপেক্ষ, বামফ্রন্ট, সর্বহারা,চরমপন্থী ইত্যাদি দলে ভীরে যাওয়ার দরূন ভারতের বিয়ার, ফেনসিডিল ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সুবিধা গুলো অধিক হারে ভোগ করার সুযোগ তৈরী হয়।

আমার দ্বারা সমাজতন্ত্র আর বেশী দিন করা হয়ে উঠে নি। কারণ আমি লাফাইয়া চলি। নাটকীয় পদোন্নতি আমার জীবন সঙ্গী। তাই একলাফে গাছের মগডালে চড়ার ¯^cœ আমাকে সবসময় বিভোর করে রাখে। এতে কোন ভয় হয় না। যেহেতু উচু ডালটা ভেঙ্গে পড়লেও এর নীচে আরো অনেক ডালের অবস্থান আমার পতন ঢেকাবে।
ব্রেইন ওয়াশিং কাযক্রমের আওতায় আমদের একটি গুরুত্বপুর্ন এবং কার্য-নির্ধারনী দীক্ষামুলক প্রোগ্রাম বসেছে। উচু দরওয়াজার লোক হিসেবে ‘তন্ত্র’ এবং ‘বাদ’ এর মন্ত্র দীক্ষার বড় বড় প্রোগ্রামগুলোর পরিচালনা এবং লোক সংগ্রহের ভার সাধারণত আমার উপরই বর্তায়। বিপ্লবীদের ব্রেইনগুলো ওয়াশ করার জন্য রয়েছে আমাদের অত্যন্ত সু-তীক্ষ্ণ কৌশলর্পূর্ন আলোচনা নীতি। এই বিষয়গুলো সাধারণ বিপ্লবীদের জানানো হয় না। তাদের চিন্তা শক্তিকে আমরা সব সময় আমাদের আওতার ভিতরে রাখি। মাঝে মধ্যে অবশ্যই বিপ্লবীদের জন্য নানান ধরণের মদমত্ত আড্ডা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে; যাতে তারা আনন্দের অথৈই সাগরে অবগাহন করতে পারে।
মাননীয় রাজ্যকন্যা পদার্পন করলেন, সাথে আরো কয়েক হালি ভারতীয় মেহমান। রাজ্যকন্যার আগমনে আমাদের প্রোগ্রামটির গুরুত্ব সহজেই অনুমেয়। সু-দূর প্রসারী পরিকল্পনা। এটাকে অদূর ভবিষ্যতে বাস্তবায়নের জন্য ওরা সবাই যেন বিচলিত।
রাজ্যকন্যা আমার দিকে অনেক্ষণ তাকিয়ে রইলেন। তারপর কাছে ডাকলেন। আমার কালো গোলক দু’টোর সম্মুখ ভাগে পুরনো দিনের সেই স্মৃতিচ্ছবি গুলো ভেসে উঠতে লাগলো। প্রথম যখন তিনি আমাকে দেখেছিলেন তখন তার আবেগময়ী কন্ঠে আবৃত্তকৃত একটি গান- “জনগন মন অধীনায়কও জয়ো জয়ো হে ভারতও ভাগ্য বিধাতা.........” তারপর আমাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে খেতে বলেছিলেন-“বাপু তুমি ভারত থেকে এসেছ জেনে আমি আজ দু’ দু’টো মিটিং-য়ে যাওয়া মিস করেছি। তোমরা ভারতীয়, তোমরা মহান, তোমাদের শরীরের গন্ধ শুকলে মন জুড়িয়ে যায়; আর হিন্দুদের শরীরের গন্ধ শুকলেও। তোমরা যে কত মহান!!....... জয়ো জয়ো হে ভারতও ভাগ্য বিধাতা।”
তারপর তিনি তার পিতাজীর জন্য কচি বাচ্চার মতো কাঁদতে শুরু করলেন। গৃহকর্তা করুনাময় †Mv¯^vgx ছিলেন আমার পিতার অন্তরঙ্গ বন্ধু। তিনি তখন রাজ্যকন্যার দিকে একটি টিস্যু বক্স তুলে দিলেন। সেদিকে তার কোন খেয়ালই ছিলনা। গৃহকর্তার স্ত্রী প্রতিভা দেবী বলতে শুরু করলেন ‘ওগো আজ তোমার কি হলো গো টিস্যু বক্সটা নিচ্ছনা কেন? এগুলোতো ভারত থেকে.......’
ঊনার কথা-মালা সমাপ্তিতে আসার আগেই রাজ্যকন্যা এক ঝাপটায় বক্স সর্বস্ব টিস্যু তার হস্তগত করলেন। রাজ্যকন্যার মুখাবয়ব এবং হাতের পাতার মধ্যখানে পড়ে টিস্যুগুলো একেবারে তুলো-ধুনোর মত হয়ে গিয়েছিল। আমি তখন থেকে তার একজন অনুরক্ত ভক্ত হতে শুরু করি।
রাজ্যকন্যা আমাকে বলেন,
-বাপু কেমন আছ? তোমাকে আমার খুব পছন্দ হয়।
আমি লজ্জায় মাথা নিচু করে বলি,
-আপনাকেও আমার খুব পছন্দ। আপনি আমার দাদীমার মত। ছোটবেলায় তিনি যখন আমার কাছে আসতেন তখন তার শরীর থেকে ঠিক এমনটিই সিধুরের ঘ্রান বেরিয়ে আসতো। আপনি আমাকে আর্শিবাদ করুন।
তিনি বলেন,
-তুমি এগিয়ে যাও, আরো বড় হও, আমি অবশ্যই তোমাকে ¯^iY করব।
রাজ্যকন্যার হাতে সময়ের ¯^íZvi দরুণ আমি তাকে বলি,
-ম্যাডাম, সর্ব প্রথম বক্তব্য পেশ করতে আপনার যেন আজ্ঞা হয়।
রাজ্যকন্যা আমার দিকে কঠোর দৃষ্টিতে তাকলেন। আমি শংকিত হলাম। তিনি বললেন,
-আমাকে ম্যাডাম নয়, স্যার বলবে।
আমি মাথা কাত করে বলি,
-জ্বী নেত্রী সাহেবা, আপনার যা মর্জি।
ঊনি ধীর গতিতে এবং দৃঢ় পদক্ষেপে ডায়াসের সামনে এসে দাড়ালেন। গাম্ভীর্জপূর্ন পরিবেশ। ঊনি বলতে শুরু করলেন,
-‘ঊনিশ সাত একের পর’
কিছূক্ষণ নিস্তব্ধতা বিরাজ করলো। ঊনি আবার বলতে শুরু করলেন,
-‘ঊনিশ সাত একের পর’ এদেশ সোনার দেশে পরিণত হতে চলছিল।-ঊনিশ সাত একের পর, এদেশের শাসনভার যার হাতে ছিল তিনি ছিলেন ইতিহাসের সেরা নায়কদেরে একজন; তিনি আমাদের আদর্শ, অনুপ্রেরনা এবং উদ্দীপনার মূল উৎস। আমাদেরকে সেই আদর্শের অনুসরণ এবং চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। ভাইসব আপনারা জানেন- তিনি তার জ্ঞাতী গোষ্ঠী, ভ্রাতা গোষ্ঠী এবং সমর্থক গোষ্ঠীর ¯^v_© রক্ষায় ছিলেন সর্বদা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আজকে আমাদের কোন প্রতিপক্ষ থাকতো না এবং সেই প্রতিপক্ষোর বিরোদ্ধে যুদ্ধ করতে করতে আমাদের মাথার ঘাম পায়ে এবং পায়ের ঘাম মাথায ফেলতে হতো না, যদি না আমার মহামান্য পিতার সমস্ত কর্মসূচি পূর্ণাঙ্গতা লাভ করতে পারতো। হিটলারের সহযোগীরা ছিল নাৎসী বাহিনী, আমার পিতার সহযোগীরা ছিল রক্ষী বাহিনী, এখন আমার সহযোগীরা হবে লগি-বৈঠা বাহিনী। ইতিহাসের পাতায় হিটলারের নাৎসী বাহিনীর অনেক দুর্নাম-দুর্গন্ধ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। আমার পিতা ছিলেন হিটালার থেকেও আরো চৌকস। তিনি তার রক্ষী বাহিনীকে হেফাজত করার জন্য তাদের দুর্নাম ছাড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ার সমস্ত অঙ্গন বন্ধ করে দিয়েছিলেন; মাত্র চারটি আঙ্গন..... মাত্র চারটি আঙ্গন খোলা ছিল, যা ছিল তার আয়ত্তাধীন। তিনি যদি এদেশের একনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারতেন তবে তার কৃতিত্ব হিটলার, মুসোলিনকেও ছাড়িয়ে যেত। আমরা আজ পৈতৃক সূত্রে এদেশের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পারতাম। অতি দুর্ভাগ্যের বিষয় যে,সেনা বাহিনীর একটি বিপদগামী দল তাকে আর ইতিহাসের সেই একনায়ক হতে দিল না। ভাইসব এতে আমাদের ভেঙ্গে পড়লে চলবে না। আমাদেরকে আবরোও জেগে উঠতে হবে। আমি আবরোও ইতিহাসের নাৎসী বাহিনী এবং রক্ষী বাহিনীর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নতুন একটি বাহিনী গঠনের ঘোষনা দেব। যে বাহিনীটির নাম হবে লগি-বৈঠা বাহিনী। এই বাহিনীকে আমি আমার চৌকস পিতার মত শুধু রক্ষা করেই ক্ষান্ত হব না, বরং তাদেরকে অবশ্যই উপযুক্ত প্রতিদান এবং বিশেষণ দিয়ে বিশেষায়িত করব। জয় বাংলা..... আমার ছেলের বাংলা..... আমার পিতার বাংলা ।
বিপ্লবীরা ভ্রু কুচকিয়ে পরস্পর চাওয়া চাওয়িতে লিপ্ত। বিষয়টা বোধহয় তাদের মস্তিষ্কে সহজ সরলভাবে প্রবেশ করে নি। সবিশেষে একজন বিপ্ল¬বী রাজ্যকন্যার কাছে প্রশ্ন ছুড়লো,
- স্যার এই নামডা কেমুন জানি সেকেলে সেকেলে লাগতাছে, একটু আধুনিক নাম দিবার পারেন না? যেমন- শর্টগান বাহিনী, রিভলবার বাহিনী, গ্রেনেড বাহিনী আরো কত !!!
গালে হাত রেখে ডায়াসের উপর কুনুই ঠেস দিয়ে তিনি মুচকি হাসলেন। আমি তার চেহারার দিকে তাকিয়ে সহজেই তার জ্ঞানের গভীরত্ব উপলদ্বি করতে পারলাম। তিনি বললেন,
- লগি-বৈঠা হচ্ছে আমাদের প্রতীক। সুতরাং এসব বস্তু নিয়ে রাজপথে, অলিতে-গলিতে মিছিল করলে পুলিশ আমাদের বাধা দিতে পারবে না। তাছাড়া লগি দিয়ে তোমরা দূর থেকেও কারো উপর হামলা করতে পারো। আর বৈঠার আগা মোটা, গোড়া চিকন থাকার দরূণ এটা কারো উপর পতিত হওয়ার সময় সজোরে আঘাত করার সামর্থ্য রাখে। মেহমানদের আসন থেকে নারায়ণ মুতি উঠে দাড়ালেন এবং চিৎকার করে বলতে শুরু করলেন
-নেত্রী তুমি মহান, তুমি মহা-ভারত। আশা করা যায় নেত্রীর লগি-বৈঠা বাহিনী কায়েম হলে আমরা সবাই শীঘ্রই এক কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে গাইতে পাড়বো,
-‘জনগন মন অধীনায়কও জয়ো জয়ো হে ভারতও ভাগ্য বিধাতা’ আমাদের আরো উদার হওয়া উচিৎ; আমরা মহান হব। সকল সীমান্ত তুলে দেওয়া হউক। এটা এদেশকে সংকীর্ন করে ফেলেছে। এইবার আশা করা যায় আমরা মহা-ভারত নামে বিশ্বের বুকে পরিচিত হতে শুরু করবো।
বিপ্ল¬বীরা এখন নীরব। তারা নীরবতায় ভুগছে। পরস্পর কানাঘুষা শুরু হলো। সবাই mg¯^‡i বলে উঠলো “এইডা আবার কোন কর্মসূচি?”
মুতি আশ্চর্য হন। তিনি নেত্রীর চোখে চোখ রেখে বলেন,
-আপনি কি এখনও তাদের সাথে এই কর্মসূচির ব্যাপারে আলোচনা করেন নি?
সেক্রেটারী জালাল মিয়া বেচইন হয়ে পড়েন; তিনি উঠে দাড়ান,
-এদেশের উপর ভারতের অবদান কখনই ভুলে যাওয়া যায় না। তারা সীমান্ত দিয়ে ঠিকমত ‘গান’ সাপ্লাই না করলে এদেশের শত শত যুবক বেকার হয়ে পড়ত। সুতরাং তাদের অধিকার আছে প্রতিদিন সীমান্তে দু’একটা লাশ ফেলার। কারণ ঊনিশ সাত একের সময় তারা যদি পাক বাহীনির লাশ না ফেলতো তাহলে আমরা কখনই ¯^vaxb রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারতাম না। এই যে আপনারা মিটিং শেষে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা করবেন। ওই অনুষ্ঠানের শিল্পীরা কোন দেশ থেকে আমদানীকৃত? ভারতীয় শিল্পীরা আর নর্তকীরা না আসলে আপনাদের কি ক্ষমতা আছে এরকম প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গুলো উপহার দেওয়ার? আমাদের বড় বড় রুই-কতলাদের খুশি করতে হলে তাদের সাথে রাত্রি যাপনের বন্দোবস্ত করে দিতে হয়। তবে কেন আমরা মহা-ভারত হব না?
রাজ্যকন্যা আবার বলতে শুরু করলেন,
-হ্যা, জালাল যা বলেছে ঠিকই বলেছে। চল আমরা সবাই মিলে গাই- জনগন মন অধীনায়কও জয়ো জয়ো হে ভারতও ভাগ্য বিধাতা .........তারপর......... তারপর....ধ্যাৎতেরী ছাই; কিছুই মনে পড়ছে না। কত দিন ভারত না যাইতে না যাইতে সবকিছু ভুলে গেছি।
কাল ক্ষেপণ আমার আর সইলো না; স্টেইজ থেকে মাইকটা হাতে নিয়ে সু-মধুর কন্ঠে গাইতে থাকি-
-“জনগন মন অধীনায়কও জয়ো জয়ো হে ভারতও ভাগ্য বিধাতা
পাঞ্জাব, সিন্ধু, গুজরাট, মারাটা
দ্রাবিড়, উৎকল বঙ্গ গাহে জয়ো জয়ো জয়ো হে...... ”.
নেতৃবৃন্ধের করতালিতে আমার কান দু’ টো বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। নেত্রী আমার পিঠে চাপড় দিয়ে বললেন,
-আমি জানতাম তুমি পারবে। যাও তোমাকে এবার আমি আমার লগি-বৈঠা বাহিনীর কারবালা ইউনিটের প্রধান হিসেবে ঘোষনা করলাম।
কারবালা হচ্ছে আমাদের একটি সাংকেতিক নাম। প্রথমত আমরা এদেশটাকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে দেশটাকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে বিভাজন করেছি। এক হচ্ছে- প্রধান নগরী, দুই- বন্দর নগরী এবং তিন হচ্ছে - সাধারণ অঞ্চল। এসব নগর এবং অঞ্চলের আবার অনেক গুরুত্বপূর্ন ইউনিট রয়েছে। যেমন- গুজরাট, কান্দাহার, কাবুল, বাগদাদ, কাশ্মীর, কারবালা ইত্যাদি, ইত্যাদি। মূলত কোন অঞ্চলে আমাদের জঙ্গী তৎপরতার মাত্রা কতটুকু হবে তার পরিমাপ নির্ধারণ করে দিতে এসব সাংকেতিক নাম ব্যাবহার করা হয়েছে। কারণ দেশটাকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্রের পর্যায়ে পৌছিয়ে দিতে পারলে আশা করা যায় পরাশক্তির সহযোগীতায় আমরা আমাদের প্রতিপক্ষকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিতে পারবো। তারপর আমরা আজীবনের জন্য একটি সরকার গঠন করে সুখে-শন্তিতে বসবাস করতে পারবো। হউক না তা তাবেদার।
কারবালা হচ্ছে প্রধান নগরীর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট। তাই আমি সাথে সাথেই রাজ্যকন্যার দেওয়া দায়িত্বটুকুর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলাম। আর এই ইউনিটটির অবস্থান নেত্রী সাহেবার সংরক্ষিত গ্রীন জোন থেকে বেশী দূরে ছিল না। নেত্রীর বাস আসলেই একটি ¯^M©iv‡R¨| প্রতিদিন সকাল-বিকাল লেকের পাড়ে পাড়ে কুস্তিরত হাজার হাজার নায়ক-নায়িকাদের দেখে তিনি উচ্ছ্‌াস প্রকাশ করেন; আনন্দে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
সময়ের সল্পতার দরুণ নেত্রী সাহেবা বিদায় নিলেও আমরা সবাই শান্তিপূর্ণভাবেই প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করতে আছি। এই মুহূর্তে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও রাবার ব্যাবসায়ী রাজু ভাই সবার উদ্দেশ্যে কিছু কথা নিয়ে আসছেন,
-ভাইসব আমরা এখন প্রচন্ড গতিতে আগাইতে আছি। আগেকার সময় কলেজ-ইউনিভার্সিটিগুলোতে প্রতি একশ জনে ত্রিশজন পোলাপান জোড়ায় জোড়ায় চলাফেরা করতো। এখন এই সংখ্যা শতকরা পচাত্তর ভাগে উন্নিত হয়েছে। আগে তারা লেকের পাড়ে, গাছের চিপায়-চাপায়, দেয়ালের ফাঁক-ফোঁকরে কিংবা লোক চক্ষুর অন্তরালে বসে হাত চাপা-চাপি, আর ধরা-ধরি করত। এখন তারা লোক প্রকাশ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা হাতা-হাতি আর চুমো চুমি করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। এদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে আমাদের লেখক লীগ এবং বুদ্ধিজীবি লীগের কৃতিত্ব অকল্পনীয়। আমি বারবার তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
ভাইসব আগে সারাদেশের কলেজ-ইউনিভার্সিটিগুলোতে প্রতি মাসে দশলক্ষ কনডম ডেলিভারী হইত, এখন ইউনিভার্সিটি, লেকের পাড়, রেলস্টেশন মিলিয়ে এই সংখ্যা এক কোটিতে ছাড়াইয়া গেছে।
লেখক লীগদের আবারো ধন্যবাদ।
তিনি আরো বলেন,
লেখক ও বুদ্ধিজীবি লীগারদের কোন তুলনা হয় না। তারা যদি লেখা-লেখি আর চেল্লা-চেল্লি না করে নারী-পূরুষ সম অধিকার নীতিতে জোর না দিতেন তাহলে, তাদেরকে ভোগ্য পণ্য হিসেবে ব্যাবহার করে আমরা টাকা কামানোর যে কার্যক্রম শুরু করেছিলাম তাহাতে হয়ত নট-নটীদের কোন সাড়াই পাওয়া যেত না। আমরা বিরাট ব্যাবসায়িক ক্ষতির সম্মুখীন হতাম। আমি নিজেও দেখেছি, আমার কোম্পানীর যেসব কনডমের গায়ে নারী- পুরুষের ছবি সমানভাবে শোভা পায় সেগুলো বেশী বিক্রি হয় এবং উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়। সুতরাং পুলিশ, সেনাবাহিনী, জুতা সেলাই, ট্রাক ড্রাইভিং,বাস কন্টাক্টার ইত্যাদি সকল কাজে তাদের সমান অংশগ্রহন বাধ্যতামূলক করা হউক। এতে আমরা আমাদের উদ্দেশ্যে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবো।
আমাদের সলিমা আপা এতক্ষণে বেচইন হয়ে পড়লেন। তিনি চেয়ার ছেড়ে পাছা দুলাইতে দুলাইতে তার চওড়া হাত দু’খানা দিয়ে বক্তার মাইকটা বাগিয়ে নিলেন। অতপর বলতে শুরু করলেন,
- বিপ্ল¬বী ভাইসব আপনারা বরাবরই লক্ষ্য করছেন যে, আমরা সম অধিকার বাস্তবায়ন করতে গেলে একদল লোক সবসময় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে এগিয়ে আসে। ওরা হচ্ছে ধর্মের তাবেদার। আর ধর্ম সর্বদাই আমাদেরকে কোণঠাসা করে রাখে। আপনারা জানেন, ¯^‡M© একজন পূরুষের বিপরীতে সত্তরজন হুরের ব্যাবস্থা করে রাখা হয়েছে। আমাদের জন্য কেন সত্তরজন সুদর্শন পূরুষের ঘোষনা দেওয়া হয়নি?
ইসলাম নারীদেরকে বোরকা পড়িয়ে খাচার ভিতর আবদ্ধ করে রাখতে চায়......................
বিপ্লবীরা বসতে বসতে এখন বিরক্তবোধ করছে। তাদের বিরক্তবোধ প্রশমিত করতে সভাপতি মহোদয় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করলেন। অনুষ্ঠানটির প্রভাবে বিপ্লবীদের বিরক্তবোধ উত্তেজনাবোধে রুপান্তরিত হল। চতুর্দিক থেকে শুধু “আরো আরো ” চিৎকার ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। আর অনুষ্ঠানের আয়োজক বারবার মাইক হাতে নিয়ে বিপ্লবীদের শান্ত করার বৃথা চেষ্টা অব্যাহত রাখছেন। আর বলছেন,
-ভাইসব আপনারা সব শান্ত হউন। আমাদের কাছে ললনাদের ¯^íZv রয়েছে।
আনন্দের অতিশয্যায় আমি আজ বাক শক্তি হারিয়ে ফেলার উপক্রম। আজকের এই পর্যায়ে চলে আসতে না পারলে কারা এখন আমাকে এত সুন্দর সুন্দর উলঙ্গ নৃত্য উপহার দিতে পারতো? কিন্তু একটি বিষয় এই মুহুর্তে আমাকে অনেক ক্ষোভ জর্জরিত করছে। সে অনেক দিন আগের কথা; সপ্তাহে এক দুইবার গাছের ছায়ায়, লেকের পাড়ে একটা করে ললনা নিয়ে আসন পাততাম। আর ধাক্কা-ধাক্কি, হাতহাতি করতে করতে উত্তেজনায় ধৈর্য্য হারিয়ে বলে ফেলতাম, “এতক্ষণ ধরে জোর করতে আছি এখনও ফিতা খুলছো না কেন?” প্রতিবারই প্রতিউত্তর আসতো “এ্যাঁ কত বড় কথা! মাত্র পয়ঁত্রিশ টাকা দিয়ে ফিতা খুলবো?” তাই প্রতিবারই এই অভাগাকে মাত্র পয়ঁষট্টি টাকার অভাবে ফিতা খুলতে না পারানোর দুঃখ নিয়ে বাড়ী ফিরতে হতো।
কোথায় এখন সেদিনকার বিচ্ছিরি পতিতার দল? দেখ এসে; আজ আমার জন্য কত উর্বর্শীরা তাদের সবকিছু খুলে দিতে বসে আছে!!
হঠাৎ চোখে পড়ল একদল জোয়ান-তাগড়া যুবেকেরা নট-নটীদের সাজ ঘরে প্রবেশ করছে। আনন্দের অথৈ সাগরে সবাই অবগাহন করুক; এই অধিকারটুকু অন্তত সকলেরই আছে। আমি নেতা হলে কি হবে?, এই অধিকারটুকুর উপর হস্তক্ষেপ করে আমি আমার অনুসারীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হতে চাই না। কিন্তু বিষয়টা কিছু বেখাপ্পা মনে হওয়ায় আমি বিপ্লবী দলটাকে হাঁক দিয়ে বললাম,
-দাড়াও। তোমরা কোথায় যাও?
সামনের সারির একজন বলল,
-স্যার, আমরা সলিমা ম্যাডামের কাছে যাই।
আমি বললাম,
-তোমরা ক’জন?
ওরা বলল,
- আমরা সত্তরজন।
বিষয়টা বুঝতে আমার আর বাকী রইলো না। আমি আমার ডান পাশের ললনাকে চোখ টিপা দিয়ে বাম পাশেরটার গায়ে একটি চিমটি কাটলাম। এমতাবস্থায় সেই যুবক দলের এক সুদর্শন তরুন আমার সম্মুখে দাড়িয়ে বলল,
- স্যার ¯^‡M©i হুররা কি আমাদের কাছে হার মানাবে না?
আমার পিছন থেকে এক ঊর্বশী মশকরা করে বলল,
-তাতো অবশ্যই; বরং ইবলিসও তোমাদের কাছে হার মানাবে!
ওর কথায় সবাই যেন হাসিতে ফেটে পড়ল। আমার সকল বিপ্লবীরা এখন যার যার কামে ব্যাস্ত আছে। তরুনীরা সব আমার কলা-কৌশল দেখে একেবারেই মুগ্ধ হয়ে গেছে। একজন ঊর্ব্বর্শী আমার গলায় ধরে ফিসফিসিয়ে বলছে-
-ওমা! একি অবাক কান্ড? তুমি এত কিছু জানো!!!
আমি বললাম,
-হ্যা, আমি আরো অনেক কিছু জানি। এগুলো দিন বদলের ছোঁয়া। আগে তোমাদের মতো পতিতারা ‘তুমি কিছুই পারো না’ বলে ভেংচি কাটতো; আর এখন সব কিছু বদলে গেছে। কারণ নেতা হওয়ার পর থেকে ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে আমার কাছে সব নতুন নতুন এক্স, থ্রী-এক্স সিরিজের সিডি-ডিভিডিগুলো বিনা-মুল্যে সাপ্লাই হতে থাকে।
আমার কথাগুলো শেষ না হতেই নট-নটীদের সাজঘর থেকে সালিমা আপার চেচাঁমেচি শুনা গেল। আমি তাৎক্ষণিক নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হলাম। সালিমা আপার একদম মূমুর্ষ অবস্থা। আমি বিপ্লবীদের শান্ত করার চেষ্টা করি। কিন্তু ওরা যেন কখনই শান্ত হবার নয়। বিপ্লবীরা উল্টো আমাকে বুঝানোর চেষ্টা করে,
- স্যার কি যে বলেন; সবে মাত্র আমাদের বিশজনের কাজ শেষ হয়েছে? এখন আমরা বাকীরা কি বসে বসে আঙুল চুষবো?
আমি একটু কঠোর হয়ে তাদেরকে আদেশ করলাম,
-তোমরা এক্ষুণি এখান থেকে বের হয়। ঊনি রাজি থাকলে অবশিষ্টরা অন্য কোন দিন এসো।
সালিমা আপা এই মূহুর্তে হাসপাতালে আছেন। প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র এবং ইনজেকশন সেবনের একদিন পর এখন তিনি মোটামোটি সুস্থতা বোধ করছেন। আপার মাথায় হাত বুলিয়ে আমি আরজ করলাম,
- আপা আপনার চিন্তা দর্শনের ফলেই আজকের এই শোকময় অবস্থা। নিজের চিন্তা দর্শন পরিত্যাগে এরকম ঘটার সম্ভাবনা ছিল না।
সালিমা আপা বললেন,
- আশ্চর্য! তুমি কি বলছ? যে দর্শনের ফলে ভয়েস অব আমেরিকা আর বিবিসি পর্যন্ত আমার নাম নিয়ে চিল্লা-চিল্লি, কতিপয় ধর্ষনেই কি আমি সেই দর্শন থেকে ফিরে আসবো? না, তা কিছুতেই হতে পারে না।
আমি বললাম,
-বিপ্লবীরা ফোন করেছিল; ওরা আরো ঘন্টাখানেক পর আপনাকে শুভেচ্ছা জানাতে ফুলের তোড়া আর উপটৌকন বক্স নিয়ে আসছে......ওদের সত্তর স্যাংখ্যাটা তো এখনো পূর্ণ হয়নি।
তিনি বললেন,
-ওমা, এখন আমার কি হবে গো? তুমি তাড়া-তাড়ি কিছু একটার ব্যাবস্থা কর।
পরিস্থিতির সাংঘাতিক গুরুত্ব উপলব্দি করে আমি অতি দ্রুত একটা বিহিত ব্যবস্থা করলাম। সেটা ছিল আপার ছন্দাবরণের জন্য একটি বোরকা এবং দেশ থেকে পলায়নের জন্য একটি বিমান টিকেট।
বিদায়ের বেলায় আমি তাকে বললাম,
-আপা আপনি একটি দর্শন ত্যাগের চেয়ে এই পলায়নকেই শেষ পর্যন্ত শ্রেষ্ট শ্রেয় মনে করলেন?
আপা বললেন,
-একদিন অবশ্যই ফিরে আসবো; যেদিন কোন দর্শন প্রতিষ্ঠা করতে
গেলে জনগণকে এর জন্য কোন কারণ দর্শাইতে হবে না।
সময়ের ক্ষরণে আমাদের নেতা-নেত্রীরা বারবার বেচইন হয়ে পড়েন। যারা সব সময় খাওয়া-খাওয়ীতে বস্ত্য থাকে তাদের জন্য পাঁচ বছর কেন, পাঁচ ঘন্টাও না খেয়ে থাকা অনেক কষ্ঠের ব্যাপার। তাই চৌদ্দমূখী চাপ আমাকে একদম অস্তির করে ফেলেছে। শুধু নির্দেশ, আর নির্দেশ। নেতারা শুধু আদেশসূলভ প্রশ্ন করেন ‘আন্দোলন বারবার নেতিয়ে যায় কেন? আন্দোলন আবার চাঙ্গা কর।’ তাছাড়া আন্দোলনের সাথে আমার নিজস্ব একটা ব্যাক্তিগত ব্যাপার-স্যাপার জড়িত আছে; আর তা হলো- আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্যকন্যার লগি-বৈঠা বাহিনীর নাম জনসমক্ষে ঘোষনা দেয়ার জন্য সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করা দায়িত্বভার........... যথাযথভাবে এই গুরুদায়িত্ব পালনের উপরই নির্ভর করছে আমার চুড়ান্ত ফলাফল প্রাপ্তির প্রত্যাশিত দিনটি। যে দিনটি হবে পুরষ্কারে পুরষ্কারে আত্মহারা হওয়ার দিন।
কিন্তু দুঃখচজনক বিষয় হচ্ছে- এই কয়েকদিন যাবত অপ্রত্যাশিত শান্তিপূর্ণ পরিস্তিতি বিরাজ করার দরূণ আমাদের কোন কাজই সফলভাবে আগাইতে আছে না।
অবশেষে রাজ্যকন্যা আমাকে একটি ক্লু দিলেন। “সন্ত্রাসী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাও আশা করা যায় যেকোন ইস্যু বের করা সম্ভবপর হবে।”
জীবনে কোন দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উঠোন পর্যন্ত গিয়েছি বলে কোন তথ্য আমার মস্তিষ্কের অভ্যন্তরভাগে অনেক্ষণ খোজা-খোজি করেও পাওয়া গেল না। দিন কাল বদলে গিয়ে এখন সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তোরণে-তোরণে আমার নাম m¤^wjZ শুভেচ্ছাবাণী পতপত রবে উড়াউড়ি করছে। নেত্রীকে অনেক ধন্যবাদ। তিনি আমাকে এমন একটি ইউনিটের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিলেন যার ভিতরে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাকপোক্ত অবস্থান আছে।
ছাত্ররা সব আমার চতুস্পার্শে জড়ো হয়ে বসলো। আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলাম,
- বাবারা তোমরা এতসংখ্যাক পোলাপান এখানে কি কর? আমিও তো গণেশ চন্দ্র পদ্মাবতী প্রাইমারী বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি; তাছাড়া পথে-ঘাটে হেটে যেতে কত যে বিদ্যালয় দেখেছি, কিন্তু এত পোলাপান তো কোথাও ছিল না!!?
ছাত্ররা বলল,
- স্যার এটাতো বিদ্যালয় না বিশ্ব-বিদ্যালয়। আমরা সবাই এখানে রাজনীতি করার পাশাপশি পার্ট-টাইমে পড়ালেখা করে থাকি।
আমি বলি,
-তোমরা কি নিয়ে পড়ালেখা কর?
ছাত্ররা বলল,
- স্যার, এখানে আমরা অধিকাংশই অনার্সে পড়ালেখা করি এবং কিছু সংখ্যাক আছে যারা মাস্টার্সে পড়ালেখা করে।
আমার বেশ অবাক লাগলো; তাই আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলাম,
-‘অনার্স’ , ‘মাস্টার্স’ এগুলান আবার কি!?
ওরা জবাব দিল,
-স্যার, ‘অনার্স’ হচ্ছে চার বছর মেয়াদী একটি কোর্স, তবে স্যার আপনাদের বিভিন্ন ডিপ্লোমা কোর্স এবং এক-দুইমাসব্যাপী শর্ট সার্টিফিকেট কোর্স মিলিয়ে আরো দুই অথবা তিন বছর সহ অনার্স শেষ করতে মোট সাত থেকে আট বছর সময় লাগে আর মাস্টার্সও স্যার দুই বছরের জায়গায় তিন থেকে চার বছর পর্যস্ত সময় লাগে, কারণ ডিপ্লোমা কোর্স এবং শর্ট সার্টিফিকেট কোর্সগুলোতো আছেই।
আমি মাইক হাতে নিয়ে চিৎকার করে বললাম,
-জ্বালো.............জ্বা.......লো.............
ছাত্ররাও চিৎকার দিল, অবশ্যই কয়েকজন আতঙ্কিত হয়ে প্রশ্ন ছুড়ে বসলো,
-স্যার, এটা কি স্যার?
-চলবে........
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:৫৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পুরোনো ধর্মের সমালোচনা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেই নতুন ধর্মের জন্ম

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:১৫

ইসলামের নবী মুহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক বছরের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে প্রবেশনে পাঠানোর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×