আমাদের প্রচলিত ওয়ার্ল্ড ম্যাপ এর দেশগুলোর আকৃতি নিয়ে গোলমালের কথা প্রথম আমি জানতে পারি ফেসবুকের একটা ভিডিও দেখে । ভিডিওটা তেমন পাত্তা দেইনি, পরে ভুলেও গেছি । আমার পড়ার টেবিল টা জুড়ে একটা ওয়ার্ল্ড ম্যাপ ট্রানস্পরেন্ট ক্লোথ দিয়ে মোড়ানো । দুপুরে খেতে বসে হঠাৎ চোখ গেল গ্রীনল্যান্ডের দিকে। কি বিশাল ! আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের থেকে অন্তত তিন-চার গুণ বড় তো হবেই । কিন্তু গ্রীনল্যান্ডের নামের পাশে তার আয়তন দেখে হঠাৎ চমকে গেলাম ।মাত্র প্রায় ২১ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার। যেখানে আমরা সবাই জানি ভারতের আয়তন ৩২ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এর থেকেও বেশি। সাথে সাথে আমার পূর্বে দেখা ভিডিওটার কথা মনে পড়লো। তারপর চোখ দিলাম কানাডার ওপর। আসলেই সেটা দেখে মনে হচ্ছে পুরো আফ্রিকা মহাদেশের সমান বা বড়! ধীরে ধীরে রাশিয়া, অ্যান্টার্কটিকা , ইউ এস এ সবগুলো দেশের আকৃতি যে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি সেটা সহজেই বোঝা যাচ্ছিল। তখন ব্যাপারটা আমার কাছে খুব মজাদার ঠেকলো। গুগল করার পর বুঝতে পারলাম আমাদের প্রচলিত বিশ্ব মানচিত্রের মধ্যে আসলে ই সমস্যা আছে । কারণ হিসেবে কিছু বোরিং টেকনিক্যাল কথাবার্তা দেওয়া আছে যেগুলো খুব বেশি মনোযোগ দিয়ে পড়ে বোঝার ধৈর্য আমার নেই। কি একটা Mercator projection ইস্যু। যতটুকু আমি নিজেকে বোঝালাম তা হল, বিষুবরেখার আশেপাশে দেশগুলোর আকৃতি ঠিক আছে যত উত্তর বা দক্ষিণ মেরুর দিকে গেছে কোন একটা কারণে দেশগুলো আকৃতি বিশাল হিসেবে ধরা দিয়েছে ।
কিন্তু একটা ব্যাপার ভেবে আমি একটু আপসেট যে, আমরা ভুলটাই সারা জীবন ধরে দেখতেছি, এমন কি গুগল ম্যাপে ও দেশের আকৃতির এই অসামঞ্জস্যতা রয়েছে খুব সম্ভবত টেকনিক্যাল কারণেই । কিন্তু আমার মনে হচ্ছে কাগজের ম্যাপ গুলো চাইলেই সংশোধন করা যায়। নয়তো দেখা যাবে কোনদিন কারো সাথে তুমুল তর্ক লেগে বসে আছি যে, কানাডা আফ্রিকা মহাদেশের থেকেও বড়!
নিচের দুইটা ম্যাপের বড়টা প্রচলিত ম্যাপ আর অপরটাতে দেশগুলোর আকৃতি ঠিক করে দেওয়া আছে।