আজকে ঈদে মিলাদুন্নবী।যদিও ধর্মে এই ঈদের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।ভারতীয় উপমহাদেশে এর প্রচলন লক্ষ্য করা গেলেও বাংলাদেশে এই ঈদ উপলক্ষে সর্ববৃহৎ মিছিল হয়ে থাকে।এই সময় এলেই কিছু আলেম এটাকে “সকল ঈদের সেরা ঈদ” তকমা দেওয়ার জন্য রীতিমতো যুদ্ধে নামে।আরেক পক্ষ প্রতিরোধ করে।
বলে রাখা প্রয়োজন,ধর্মে বিভেদ তৈরী করে এমন কোন বিষয় আমার চক্ষুঃশূল।ধর্মের কোন বিষয় নিয়ে তর্ক করার পর্যায়েও আমি পৌঁচতে পারিনি।
গতকাল জুমার নামাজ “জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদে” পড়ার সুযোগ হয়েছিলো।খতীব সাহেব যথারীতি যুদ্ধে অবতীর্ণ।একপর্যায়ে মুসল্লীদের প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন; জানেন হলীডে মানে কি? বলতে লাগলেন;হলিডে অর্থ ছুটির দিন নয়, পবিত্র দিন।যীসু এইদিন জন্মেছিলো।তাই এইদিন কে ছুটি ঘোষণা করেছে।যীসুর জন্মদিনে ক্রিসমাসডে পালন করে তারা।
আমার কৌতূহল বেড়ে গেলো!
হুজুর এখন আরো বেগে টান নিলেন,বললেন; যীসুর জন্মদিনে যদি ক্রিস্টানরা ক্রিসমাস ডে পালন করতে পারে,উৎসব করতে পারে(হিন্দুরা জগন্নাথের জন্মদিনে যদি রথযাত্রা করতে পারে: ভেবে ছিমাল এটাও বলছে কিনা! না,ইমাম সাহেব এটা বলেনি)আমরা কেন সর্বকালের সেরা মানব মুহম্মদ(স) এর জন্মোৎসব করতে পারবো না?আমার খটকা লাগছে এখানে।
“ঈদে মিলাদুন্নবী পালন” জায়েজ বা না জায়েজ সেই তর্ক আলেমদের বিষয়। কথা হল;ইসলামের কোন বিষয় জায়েজ করার জন্য অন্যধর্মকে ভিত্তি ধরা আদৌ কি প্রয়োজন?ইসলামের ভিত্তি কি কোরআন ও হাদীস নাকি কোন ধর্ম?ঈদে মীলাদুন্নবী বিষয়ে ধর্মে রেফারেন্সের কি এতো দেউলিয়াত্ব ঘটেছে?
হুজুরের কোন মুরীদ যদি কাল এসে খৃস্টান ধর্মের অন্য কোন নিয়মের আদলে ইসলাম ধর্মে চালু করতে চাই,হুজুর কি জবাব দেবেন?পোপ বালিকাদের পা ধূয়ে চুমু দেই।এই হুজুর কি বড়ত্ব দাবি করে আরো একধাপ এগিয়ে যাবেন??