আমাদের এই সমাজে বর্তমানে মানুষ একটা কিছু দেখেও না দেখার ভান করে। এবং এই সমস্যাটা প্রকট আকারে দেখা যাচ্চে। কোন সত্যের মখমুখি হতে না পারা আসলে একটা বাক্তি সমাজ এর জন্য অবশই লজ্জাজনক। মানুষ ক্ষণিক পাওয়ার আশায় তার বৃহত্তর স্বার্থ হারিয়ে পেলে এই ব্যাপারটা তার মাথায় থাকে না। যদিও সে কিছুটা সময় ভাল কাটাচ্ছে কিন্ত এই ভালটা তার সব ভাল না। আমারা জাতি হিসেবে দুর্বল চিত্তের। আমারা আমাদের চিন্তা ধারা গুলা একটা নির্দিষ্ট পরিসীমার মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলেছি।এই বৃত্ত থেকে আমরা কিছুতেই বের হতে পারতেছিনা। বেরুতে না পারার প্রধান কারন আমাদের মনতাত্তিক ব্যাপার। যেমন আমি এখন যে কাজটা করছি আমি জানি কাজটা ভুল। কিন্তু ভুল জানা সত্তেও আমি কাজটা করছি। কারন এছাড়া আমার আর কোন উপায় নাই।‘এছাড়া উপায় নেই’ এই বাক্যটা সমাজের রন্ধে রন্ধে ডুকিয়ে দেয়া হয়েছে।আমার একটা চাকরি প্রয়োজন আমার অবশই ‘ঘুষ’ দিতে হবে। এখন যদি চাকরি পারথি কে আপনি জিজ্ঞেস করেন ভাই ঘুষ দিছেন কেন? নিচশই ঘুষ দাতা হাঁসি! ভরা মুখে উত্তর দিবেন ‘না দিয়ে উপায় কি’? (বলা বাহুল্য ঘুষ গ্রহীতা কিন্তু আমি?) উপায় কি আসলে নাই। নাকি আমরা উপায় খুজছি নাহ। নাকি আমাদের বদ্দমুল ধারণা জন্মেছে হয়তো এটাই নিয়ম! আমি কি আমার এই ভুলের জন্য আনুতপ্ত না? আমার এই ভুলের দ্বারা যে আরও পাঁচ-দশটা ভুলের সৃষ্টি হচ্ছে সেই দিকে আমার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। আমার ধারণা আমার তো কিছু আসে যায় না। আসলে কি তাই? আমাদের দায়িত্বটা আমারা খুব সুচারু ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। আরেকটা ব্যাপার তাও চাকরির প্রসঙ্গ। লিঙ্ক( রাজনিতি,মামা-খালু) ছাড়া এখন আর চাকরি হয় না। আচ্ছা এই ব্যাপারটা কি অনিয়ম নাহ? নাকি আমাদের একে-অপরের প্রতি সঙ্গাতিক দায়িত্ব বোধ!( আপনাজনকে চাকরি দেওয়ার েক্ষত্রে ) আমি যদি বহমান রাজনৈতিক স্রোতের প্রতিকূলে ভাসা খর-কুটু হই তাহলে আমার চাকরি অনেকটা নিচ্চিত। রাজনৈতিক বিবেচনায় চাকরি েক্ষত্রে দুর্নীতির যে কি পরিমান তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর নাহয় আমার মামা খালুর ক্ষমতা আছে চাকরি পাইয়ে দেয়ার। এই ছাড়া অন্যথায় সম্বভ না! সম্বভ না এই জন্য যে আমারাই তো কাজ গুলা করছি। করছি কারন ‘এছাড়া কোন উপায় নেই’? আসলেই কি উপায় নেই ??
এখানে ‘চাকরি’ শব্দটা একটা সামাজিক রঙ। চাইলে আমরা এই রঙ টাকে পরিবর্তন করে নিজের মত রঙ বসাতে পারি। যে রঙ গুলা আমাকে রঙ্গিন করে ঠিকই। কিন্তু সমাজকে কালিমা লিপ্ত করে।