বৃটিশ ষাড়েরা য়ুরোপে এবং য়ুরোপের বাইরে ঝগড়া ঝাটি অর্থাত মাত্র কয়েক বছরের ব্যাবধানে দুই দুইটি বিশ্ব কাইজ্যা কইরা নিজেরা নিজেরা দুর্বল হয়ে পড়ল। এদিকে নেটিভরা্ও কিছুটা বাধা দেওয়াতে তারা চিন্তা করলো- ঠিক আছে আমরা চলে যাচ্ছি বাবা! তবে আমাদের অনুপস্থিতিতে কিছু লোক তৈরি করে গেলেম। এরা চামড়ার শুধুমাত্র বান্দর হতে পারেনি। কিন্তু বাকী সব দিক দিয়েই এরা আমাদেরই মত বান্দর।
বাকী ভারতবর্ষকে আগেই ষড়যন্ত্র করে মুর্খ বানিয়ে ফেলা হয়েছিল। আর অন্যদিকে ইসলাম ওয়ালারা রাষ্ট্রক্ষেমতা আগেই হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু তাদের রাষ্ট্র শাসনের ফতোয়া খোজা স্বভাব থেকে দূর হয়নি। এনারা কোরান হাদিস চষে চষে বিবি তালাকের ফতোয়া আর ডান কাতে শোবে না বা কাতে শোবে, দোয়াল্লিন বলবে না জোয়াল্লিন বলবে ইত্যাকার হাস্যকার বিষয়াদি মাদ্রাসা খানকায় বসে শিক্ষালাভ করে দুনিয়ার বাইরে চলে গিয়েছিল। এদের একটাও ছিলো না যে রাষ্ট্রক্ষমতা চালায়।
সুতরাং শাসন করা ক্ষেমতা পেল ঐ বাদামী চামড়ার বান্দররাই। এরা প্রভুদের সম্পর্কে এতটাই শ্রদ্ধায় বিগলিত ছিল যে নিজের পিতামহের নাম মনে না রাখতে পারলেও সেই ব্রিটিশ বাদরদের পিতা-তস্য পিতা-তস্য তস্য পিতাদের নাম মুখস্ত করিয়া ফেলিল। শেক্সপিয়ার থেকে অনর্গল আবৃত্তি করা শিখে গেলো। সুতরাং ক্ষেমতা বাদররা কার কাছে হস্তান্তর করবে তা নিয়ে মোটেও চিন্তা করতে হলো না। সেই নব বাদরদের বংশধররাই আমাদেরকে শাসন করে যাচ্ছে। পূর্ব বাদররা চাবুক পেটা করতো মুর্খ মানবদের আর তারা চলে যাওয়ার পর নব্য বাদরা আমাদেরকে পেষে।
অর্থাত ব্রিটিশরা জেলখানার দায়িত্ব ছেড়ে চলে গেল। আর স্বাধীনতার নামে এইদেশিয়রা নিজেদের মধ্য থেকে জেলার, পাহারাদার জমাদার ঠিক করে জেলখানা চালিয়ে যেতে লাগলো। নতুন ষাড়রা আগের ষাড়দের মতই পিটায়, আগের মতই চাবুক মারে। স্বাধীনতার নতুন উপহার হিসেবে আমাদের জনতা এখন এসবকে পুরষ্কার হিসেবে মেনে নিয়েছে। আহ স্বাধীনতা! বাহ স্বাধীনতা। ইয়ান অক্টাভিয়াম হিউম নামক অতিশয় হিউমারের অধিকারি ভারতপ্রেমিক ষাড়কে গণতন্ত্র বিলিয়ে দিয়ে যাওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞতা জা্নাই।