somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জানিয়েছি তাহাকে মনের কথা :)

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত বছরের ডিসেম্বর মাসের মাঝা-মাঝি সময়ে আমি "প্রেম বিষয়ক উপদেশ চাই; হাস্য রসাত্তক COMMENT নহে" নামক এক পোস্টে এক অনাকাঙ্খিত মানুষের প্রেমে পরার বিষয়ে কিছু কথা লিখেছিলাম এবং আপনাদের কাছে সেই বিষয়টি সম্পর্কে কিছু সুচিন্তিত মন্তব্য চেয়েছিলাম। সেই পোস্টে আমার তথা-কোথিত "প্রেম" কে সমর্থন জানিয়ে আপনারা আমাকে যেসকল উপদেশ দিয়েছিলেন, সে উপদেশগুলো মাথায় রেখে আমি আমার প্রেমের কথা জানানোর উদ্দেশে এক দুঃসাহসী ( !! ) যাত্রায় নেমেছিলাম। দুঃসাহসী বলছি কারণ, সেই মানুষটি যদি বিরক্ত হতেন তাহলে তিনি চাইলেই আমাকে অনেক বড় ভাবেই অপমান করতে পারতেন। যদিও উনি যে ঠিক আমাকে ইকটুও অপমান করেন নি, তাও না, তবে সে ব্যাপারের খোলাসা পরে করছি।
এই যাত্রায় আমি অনেক কিছুই উপলোব্ধি করেছি, যা আমার জন্য অনেক প্রয়োজনীয় প্রমাণিত হয়েছে। জনৈক কিছু ব্লগার বন্ধুদের কথা বিশেষ ভাবে মনে ছিলো। যেমন, একজন কমেন্ট করেছিলেন যে, যেহেতু আমার এই FEELINGS টি আমার Break-Up এর পর অনুূুভূত হয়েছে, তবে ব্যাপারটি হয়ত এতটাও গভীর নাও হতে পারে। আমি এখনও সে বিষয়ে নিশ্চিত নই, তবে আমি এখন আর আমার পুরোনো প্রেমের ব্যাপারে চিন্তা করে কেঁদে কেঁদে রাত্রি যাপন করিনা বরং এই নতুন মানুষটির কথা মনে করে আমি এখন সারাক্ষণ হাসি, এর জন্য আমি তার উপোর চির-ঋনি হয়ে থাকবো। আমার মন থেকে নিজেকে অনেক হালকা মনে হয়, এমনকি একবার যখন উনি, (বলতে গেলে আমার পিছা ছুটানোর জন্য) বলেছিলেন যে তার একটি বিয়ে ঠিক হয়েছে, তখন তা শুনে আমি বোকার মত কান্না-কাটি ও করেছি। হ্য়ত এই ব্যাপার গুলা হওয়াটা খুব স্বাভাবিক, তাই আমি এখনও নিজে থেকে এই FEELINGS কে সম্পুর্ণ ভাবে "প্রেম" বলে দাবি করবোনা।
আমি আরো উপলোব্ধি করেছি যে, আমি যাকে পছন্দ করেছি সেই মানুষ টিকে পাওয়া তো দূর, আমি কখনো তার সাথে বসে দুদন্ড কথাও জীবনে বলতে পারবোনা। তাই আমি তাকে কখনোই কোনো "প্রেম প্রস্তাব" জাতীয় কিছুই দিতে চাইনি। তবে আমি চেয়েছি যে আমি যেন তার কাছে চির পরিচিত এক চেহারা হয়ে থাকি; যেন অনেক বছর পরেও তার সাথে আমার দেখা হলে সে যেন আমাকে চিনতে পারেন এই হিসেবে যে, "তার স্বল্প সময়ের শিক্ষকতার জীবনে এমন এক মেয়ের সাথে তার পরিচয় হয়েছিল যে কিনা সে সময় তাকে অনেক পছন্দ করত।"
এই আশা মনে রেখে আমি আমার পাগলামো শুরু করি। উদ্দেশ্য: "তাকে মনের কথা বলবোনা কিন্তু জানাবো।"
ব্যাস, এই পাগলামি বু্দ্ধির ফাঁদে পরে আমি নানান কীর্তি কর্ম করি যা বুঝতে পারতেন শুধু মাত্র উনি ই, কিন্তু জানতোনা আর কেও ই ( আমার বন্ধুরা ছাড়া অবশ্যই ;) )
মজার ব্যাপার হচ্ছে, উনি উনার এক STUDENT এর কাছ থেকে এরূপ কীর্তি কখনই আশা করেন নি, তাই একজন শিক্ষক হিসেবে এমন পরিস্থিতিকে কীভাবে সামাল দিতে হয়, সে বিষয়ে বোধহয় তিনি প্রথম প্রথম অজ্ঞাতই ছিলেন। কেনোনা আমার ইশারার প্রত্যুত্তরে তিনি যেইভাবে জবাব দিতেন সেগুলোও বুঝতাম শুধু আমিই, কিন্তু জানতোনা আর কেও ;)
আমি যা করেছি এবং উনি যেভাবে সেগুলো এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন তা মনে পরলে এখনো হাসি আসে।
আমি কখনো স্বপ্নেও চিন্তা করিনি যে, উনার মত একজন মানুষ একটি মেয়েকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্য এতটা Effort দিতে পারেন।
যদিও অনেক কিছু বিবেচনা করলে তাই মনে হয়, তবুও ধরে নিলাম যে উনি আসলে কোনো কিছুই Intentionally করেন নি।
যাইহোক, এই লুকো-চুড়ি খেলতে খেলতে আমার এক সময় ভালোই মজা লেগে গেলো এবং আমাকে যে উনি আসলেই Ignore করার চেষ্টা করছেন সেটা আমি বুঝতেই পারিনি।
আমার এই অবুঝ বনাটাই আমার জন্য শেষ মুহূর্তে কাল বয়ে আনলো।
উনি এক পর্যায়ে বলা গেলে আমাকে এক প্রকার চোখে আঙুল দিয়েই আমার আসল স্থানটি দেখিয়ে দিয়েছেন।
যার ফলে ইতি টানতে হল আমার লুকো-চুরি খেলার :'(
আমি তখন বুঝতে পারি যে আমি অনেক বড় একটা ভুল করেছি, এবং উনি যে আমাকে আর ভালো চোখে দেখেন না সেটাও টের পেয়েছি। কিন্তু আমি তো তাকে বিরক্ত করতে চাইনি। আমি তাকে কোনো প্রকার প্রস্তাব ও তো দিতাম না। অবশ্য দোষ তো ওনার নয়।উনিও এই কথাগুলো বুঝতে পারেননি। আর পারবেন ই বা কীভাবে? কোনো মেয়ে আমার মত পাগলামি করলে কেই বা ভালো কিছু মনে করবে?
উনার জায়গায় অন্য কেও থাকলে হয়ত আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই বহিষ্কার করে দিত। কিন্তু উনি যথেষ্ঠ গোপণীয়তা রক্ষা করেই ব্যাপারটা কে শেষ করার জন্য ঈঙ্গিত দিয়েছেন।
এই পর্যায়ে এসে হয়ত অনেকেই হাল ছেড়ে দিত। কিন্তু আমার মাঝে তখন তাকে আমার মনের কথা জানানোর ইচ্ছাটা আরো প্রবল হয়ে গেলো। এক্ষেত্রেও মূলোত আরেকজন ব্লগার বন্ধুর কমেন্টের কথা মনে করে পিছে হটতে চাইনি।
তবে এবার তাকে জানানোর ধরনটা হয়ে গেছে অন্য রকম।
এখন আমি তাকে শুধু মাত্র আমার মনের কথাই বলবোনা, বরং আমার সেসকল পাগলামির জন্যও ক্ষমা চাইবো এবং তার কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করেই এ বিষয়টির অবসান ঘটাবো।
যেহেতু আমার উদ্দেশ্য ছিলো তাকে জানানোর, তাই আমি তাকে স্ব-শরীরে তার সামনে বর্তমান থেকে কিছুই বলিনি। সেটার একটা কারণ হল, তার সামনে গেলে আমি ন্যুণতম কথা বলারও ভাষাটুকু হারিয়ে ফেলি এবং দ্বিতীয় কারণ হল, বিশ্বস্ত সূত্রে উনি আমাকে খবর পাঠিয়েছেন যে, উনার 'কার্য পরিচালনা'র কক্ষে আমার ইত-পরবর্তি উপস্থিতি উনি কোন ভাবেই গ্রাহ্য করবেন না।
এছাড়াও উনার Virtual জগৎ থেকে আমার উপস্থিতি বহু আগেই বিলীন করা হয়ে গিয়েছিল
তাই নিরুপায় হয়ে আমার তাকে অনুচ্চারিত ভাবেই, সাদার উপোর কালো রঙে মনের কথা গুলোকে বর্ণাকৃততে সাজিয়ে তাকে প্রেরণ করতে হয়েছে। :'(
আমার বিশ্বাস যে উনি আমার কথা গুলো পেয়েছেন এবং বুঝেছেন ও।
ব্যাসসস.....শেষ মেশ এইভাবেই আমি জানিয়েছি তাহাকে আমার মনের কথা।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫৭
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×