somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভালোবাসার বুঝি কোনো "ধরন" আছে?

০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৪-৫ বছরের সম্পর্...। এক দিনের ভালো লাগা, দিনে দিনে, তিলে তিলে সেই ভালো লাগা টা ভালোবাসায় গড়ে ওঠা। সারা বেলা তোমার সাথে থাকা। সারা রাত জেগে তোমার গান শোনা। কতই না কল্পনা তোমাকে ঘিরে; কোনো এক বৃষ্টির দিনে তোমার হাত ধরে নির্জন কোনো রাস্তায় হাটবো অথবা কোনো এক বৃষ্টি ভেজা দুপুরে, ঘর অন্ধকার করে, লাল শাড়ি পরে তোমার কোলে মাথা রেখে, জানালার ধারে বসে সেই বৃষ্টি উপভোগ করবো।
অনিশ্চিত আমাদের সেই ভবিষ্যৎ কে ঘিরে ছোট ছোট নয়নে বাস করেছে কত স্বপ্ন। কতই না করেছিলে সেই 'না ছেড়ে যাওয়ার' প্রতিশ্রুতি। কথা দিয়েছিলে আমৃত্যু সাথে থাকবে...... কোথায় আজ সেই তুমি, তোমার ভালোবাসা এবং তোমার প্রতিশ্রুতি?
'নেই'........। তোমার সাথে সাথে সে সব কথা, সেই রাত জাগা, সেই লাল শাড়ি পরা, তোমার হাতে হাত রাখা, কিছুই তো আজ নেই। আমি কিন্তু এখনো বেঁচে আছি।
তোমার আর আমার সম্পর্কের মাঝে বাস্তবতা যতটা না ছিলো, তার থেকে অনেক বেশি ছিলো 'কল্পনা', 'স্বপ্ন'। আজ বুঝি তাই তুমি আর নেই। কারন 'বাস্তবতা' আর 'স্বপ্ন' একসাথে বাস করতে পারেনা।
বন্ধুরা অনেক স্বান্তনা দিয়েছে, আমার অনেক রাতের কান্না শুনেছে। আমাকে হাসানোর চেষ্টা করেছে। হ্য়তো তাদের মন রাখার জন্য হেসেছি। কিন্তু সেটা যে একেবারেই মন থেকে ছিলো না, তা শুধু আমিই জানতাম।আস্তে আস্তে তাদের কে আমার 'পেরাময় ব্যার্থ প্রেমের ঘ্যাণ- ঘ্যাণ' থেকে মুক্তি দেয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু নিস্তব্ধ রাতের সেই নিরব অশ্রু যে অঝর ধারে বয়েই যেত, তা কেও জানতোনা।
এটা কে বলে ভালোবাসা।
বেশ কয়েকদিন পর একজন মানুষের সাথে দেখা হয়। দেখা হওয়ার সময় আমি ঘুনাক্ষরেও টের পাইনি যে এই দেখা হওয়াটা একই সাথে আমার জীবনকে আবার সেই আগের মত হাস্যজ্জ্বল ও রঙিন করে দিবে এবং তার পর আমাকে আবারো কাঁদাবে। তবে কাঁদালেও এইবার ব্যাথা টা যে কিছুটা হলেও কম লাগতো তা আমি জানি। কারণ, দিনে দিনে তিলে তিলে আমার সেই মানুষটির প্রতি যেই ভালো লাগাটা ভালোবাসায় পরিণত হয়েছে তা থেকে আমি কিছুই আশা করিনি। তার সাথে হাতে হাত ধরে বৃষ্টিতে ভেজা, তার কোলে মাথা রেখে দুনয়নে হাজারো স্বপ্ন পালা, এইব কিছুই আশা করিনি। শুধু একটাই আশা ছিলো। তাকে জানার আশা, তার সাথে অনেক গল্প করার আশা। কেনোনা মন যে শুধু আমার একারই ভাঙা ছিলো তা নয়, কোনো এক বিচ্ছেদের বেদনা থেকে নিজেকে যে সেও বের করতে পারেননি তা আমি জানতে পেরেছিলাম।
কিন্তু অদৃষ্টির এ কি নিষ্ঠুর পরিহাস। তার সাথে কথা বলা তো দূর, তার কাছে পর্যন্ত যাওয়াটাও আমার জন্য নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়ে হয়েছিলো। তাই তাকে দূর থেকেই দেখে দেখে নয়ন জুড়াতাম, মন জুড়াতাম। তাকে দেখে হাসতাম এবং সেই হাসিটা আসতো মন থেকে, আমি জানতাম আর তাই তার জন্য পৃথিবীর সব সুখ চাইতাম। নিজের ভাগের সুখটাও তার ভাগে দিয়ে দেয়ার জন্য প্রার্থণা করতাম, কেনোনা বহুদিন পর আমি আমার হাসি ফিরে পেয়েছি, তার হাসির মাঝে মনের সুখ ফিরে পেয়েছি।
আবারো রাত জাগা শুরু, তাকে সমানে বসিয়ে রেখে সারারাত গল্পে মেতে উঠতাম, হাসতাম, তার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতাম, ভালো লাগতো।
আজ সেই মানুষটিও চলে যাচ্ছে। কোথায়, কেনো আমি জানিনা। জানার কোনো পথ উনি আমার জন্য খোলা রাখেননি। আজ আমি আবারও একা, আবারও কেঁদে উঠছি ক্ষণে ক্ষণে, তাকে বুঝি আর কখনো দেখবোনা?তবে এ নয়ন আর কাকে দেখে জুড়াবে? কার হাসি দেখে দিন ভালো যাবে? কাকে দেখে মনে শান্তি পাবে?
আজ সেই বন্ধুদের কাছেই আবারো ফিরে গেলাম!!!!
'দোস্ত....। সে চলে যাচ্ছ.. আমার ভিষণ কান্না পাচ্ছে।'
-'কী? তোর এইজন্য কান্না পাচ্ছে? তুই কখনো উনাকে যেয়ে কিছু বলেছিস? কোনো কথা হয়েছে? প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলি?
'না'
-'তাহলে? আরে যেটা ছিলোই না সেটা নিয়ে এত কান্না কাটি কিসের? দোস্তো তোর মাথা খারাপ হয়ে গেসেরে। ফোন টা রাখতো।
আকাশ-কুসুম এক প্রেম আবার সেই প্রেম হানারোর জন্য কান্না কাটি, রাখিরে, পরে কথা হবে'
আজব!!!! কেনো এটা কোনো প্রেম না? কেনো তাকে হারানোর ভয়ে আমি কাঁদবোনা?
সে কি আমার হারানো হাসিটি ফিরিয়ে আনে নি? তাকে দেখে কি আমার মনে শান্তির পরশ বয়নি? তাকে এক ঝলক দেখার জন্য যে আমি ব্যাকুল হয়ে যেতাম, তার কি কোনোই অর্থ নেই?
অণ্বেষনের জন্য এই অজ্ঞাতের প্রশ্ন, " ভালোবাসা যদি এক ধরনের অনুভুতি ই হয়, তবে সেটাকে কি মানুষ ভেঁদে, পরিস্থিতি ভেঁদে মূল্যয়ণ করা উচিত?"
জানি এখন অনেক জ্ঞানী ব্যক্তিরাই বলবেন, " আপনারটা ভালোবাসা না Crush/infatuation
ধন্যবাদ জানবো তাদের কেও :)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:২৬
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×