somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আপডেটেট কী টু সাকসেস

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আধুনিক জীবনে সফলতা লাভ করার চাবিকাঠিঃ জীবনে সফল হতে চায় প্রায় প্রত্যেকটা মানুষ। বিভিন্ন মনীষিদের দেওয়া উপদেশমালার অনেক অংশ জুড়েই আছে এই উপদেশের বর্ষন। আধুনিক যুগের সফল মানুষকে বিশ্লেষন করলে কিন্তু এই গুনগুলো পাওয়া যায় তবে উল্টোভাবে। তারা সতর্কতার সাথে সমস্ত উপদেশগুলোর উল্টোব্যবহার সফলতার সাথে করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল-
• আপনাকে প্রয়োজনে প্রচুর মিথ্যা বলা শিখতে হবে।
• আপনাকে প্রতারনা শিখতে হবে প্রয়োজনে।
• আপনাকে ভালবাসা নামক বস্তুটাকে সবসময় মনের কাজে না বরং খেলা হিসাবে দেখতে হবে। সম্ভব হলে ব্যবসার কাজে আর যদি না পারেন তাহলে আপনার সফলতার সম্ভাবনা জিরো।
• যুগের সাথে তাল মেলানোর জন্যে আপনাকে ফুটুনি নামক জিনিসটা সবসময় সাথে রাখতে হবে। আপনার মানিব্যাগে টাকা থাক বা না থাক প্রয়োজনে কাগজ দিয়ে হলেও ভর্তি করে রাখতে হবে।
• মানুষকে অপমান করা শিখতে হবে।
• মানুষের ভালগুলোকে স্বীকার করবেন তবে তার ভেতর যেন কিছুটা অবজ্ঞা কিংবা শ্লেষ মিশে থাকে।
• আপনার কাজ থাকুক বা না থাকুক আপনাকে প্রচুর ব্যস্ত থাকার ভান করতে হবে যেন সর্বদা দৌড়ের উপরে আছেন।
• কখনও কবিতা লিখতে যাবেন না, কারন কবিতা লেখা সফল লোকেদের নিয়ম বিরুদ্ধে।
• নিজের পরিবার বাদে অসুস্থ কাওকে সৌজন্যবশতঃ দেখতে গেলেও কখনও কারও পুরো দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে নেবেন না। এতে শরীর, মন এবং পকেট তিনটিরই ক্ষতির সমূহ সম্ভাবনা।
• কখনও নিজের ক্ষতি হয় এমন ভুল স্বীকার করবেন না। কারন সফল ব্যক্তিদের ভুল স্বীকার করতে হয় না।
• নিজের অবস্থান পরিবর্তনের সাথে সাথে নীচের অবস্থানে বসে থাকা লোকগুলোকে যেনতেন প্রকারে দূরে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। কারন তারা আপনার মানসিকতার সাথে খাপ খায় না।
• কারও বদ্ধ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা না করে নিজের দিক থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে অন্য কোথাও আশ্রয়ের খোঁজ করুন।
• কারও কোন কাজের জন্যে প্রতিদানে কিছু আশা করবেন না। কারন বোকাদের দুনিয়াটাই একমাত্র দাতা হাতেম তাইয়ের মত।
• যাকে পছন্দ করবেন না তার চুলের ডগা থেকে পায়ের আঙুল পর্যন্ত যে কোন বিষয়েই নিজের অকৃত্রিম ঘৃণা প্রকাশ করবেন।
• অতীতকে মনে রাখবেন না। একজন সফল মানুষের কাছে অতীত শুধু বিলাস সামগ্রী এবং সময় নষ্টের কারন।
• বন্ধু যতই প্রিয় হোক তার সন্মন্ধে আপনার ভেতর ঘৃণা আসলে তাকে মানসিক দিক দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন।
• কোনও মানুষকে মূল্য দেওয়ার আগে তার আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করুন।
• একজন লোকের যোগ্যতা শিক্ষা দিয়ে না তার সার্টিফিকেট কত বেশি সেটার দিকে বিচার করুন।
• পুরাতন কাছের মানুষগুলোকে নিজের অবস্থার পরিবর্তনের সাথে সাথে বিভিন্ন রকম ফালতু কারন দেখিয়ে দূরে সরিয়ে দিন।
• আপনাকে সফল হতে হলে তেল দেওয়া শিখতে হব। যদি উপযুক্ত জায়গায় তেল মালিস করতে পারেন তাহলে সফলতা সুনিশ্চিত। ন্যাড়ার মাথায় তেল দেওয়ার কোনও দরকার নেই।
• মানুষের সামাজিক প্রতিপত্তিকে গুরুত্ব দিন তাকে নয়।
• আপনার সাথে যেসব লোক অনেক কষ্ট করে হলেও তাদের সময় কাটিয়েছে তাদের অসময়ে তাদের প্রতি মৌখিক সহানুভূতি প্রকাশ করুন। অবশ্যই তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে যাবেন না। কারন তারা আপনার লেবেলে না।
• কোনকাজ নিখুঁত না হলেও দ্রুত করুন। নিখুঁত না হলে কিছু আসে যাবেনা কিন্তু যদি দ্রুত না হয় তাহলে আপনাকে স্লো মনে করা হবে। দায়সারা কাজ করতে শিখুন।এর সাথে তেলের মিশ্রনে কাজ ভাল হয়ে যায়।
• নিজের ভাগ নিজে কঠোরভাবে আদায় করে নিতে শিখুন।
• কারও জন্যে নেশা করে রাস্তার পাশে পড়ে না থেকে এমন কিছু করুন আপনার জন্য পাঁচজন যেন অন্ততঃ রাস্তার পাশে নেশা করে পড়ে থাকে।
• ভালবাসাকে কন্ট্রোলে আনতে শিখুন। ভালবাসার লোকের সবকিছু নির্বিবাদে মেনে নিলে তার লাথিঝাঁটাও একসময় সযত্নে খেতে হবে আপনাকে।
• প্রতিশোধ পরায়ন হোন, কাওকে ছাড় দেবেন না। আঘাত পেয়ে সাময়িক চুপ থাকলেও কেউটের মত একসময় ছোবল মারুন।
• দুনিয়ায় অন্যের জন্যে চেপে যাবেন না কারন চারপাশে আপনাকে চাপানোর মত অসংখ্য মানুষ রয়েছে।
• মানুষকে ঠকাতে শিখুন।
• জীবনে আজকের এককালের অতিপ্রয়োজনীয় কিন্তু আজ অপ্রয়োজনীয় এমন মানুষটাকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করুন।
• ভালবাসার অভিনয় করতে শিখুন, মিথ্যা কথাটাকে অতি আবেগের সাথে সত্য করে তুলুন।
• বহুবছরের নষ্ট হয়ে যাওয়া ভালবাসাকে সাময়িক নেশা মনে করে তীব্র ঘৃণা করতে শুরু করেন। মনে রাখুন, ভালবাসার চেয়ে ঘৃণা বেশি শক্তিশালী।
• ছাড় দেওয়ার অভ্যাস বন্ধ করুন। প্রিয় মানুষের অযাচিত কারন দেখিয়ে করা অন্যায়কে একদম শুরুতে শেষ করে দিন।
• প্রয়োজনে অসৎ হওয়ার ক্ষমতা নিজের ভেতর আনুন, যদি পারেন তাহলে দুনিয়াটা আপনার।
উপরোক্ত জিনিসগুলো অবশ্যম্ভাবী সত্য, কেউ মানুক বা না মানুক। আজকের একজন সফল লোক কখনই এদিকে স্বীকার করবেনা তবে তারা সফল তাই মিথ্যা বলার ধর্মটা সাথে বজিয়ে রেখেছে। তবে খোলা দৃষ্টিতে মিল্রিয়ে দেখুন কথাগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সত্য। প্রাচীনকালে বলা সফলতার চাবিকাঠিতে মর্চে পড়েছে। আপনি এই জিনিসগুলো নিয়ন্ত্রনের সাথ ব্যবহার করে জীবনে সফল হতে পারবেন আর না পারলে পৃথিবীর অক্ষম মানুষদের তালিকায় আমার মত হয়তো আরেকটা নাম যোগ হবে। তবে মনে করবেন না এতে পৃথিবীর কোনও রকম কোনও ক্ষতিবৃদ্ধি হবে। আপনার জায়গা নেওয়ার মতন আশেপাশে অনেকে আছে। আপনার হারিয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি বন্ধ হবেনা, চাঁদের আলো সাদা থেকে কালো হবেনা, আপনার জন্যে কেও অনন্তঃকাল দাঁড়িয়ে থাকবেনা তবে যাদের জন্যে নিজেকে হারালেন তাদের সুবিধা আরও বাড়বে একথা নিশ্চিতঃ। হয় শেষ করুন নয়তো শেষ হয়ে যান।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২১
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×