somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তসলিমা নাসরিনঃ কিছু কথা ।।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তসলিমা নাসরিন সম্পর্কে
আমি ছোটবেলা থেকেই
শুনে আসছি ।
তবে উনার কোনো বই
পড়া হয়নি ।

কলেজে উঠে আমি প্রথম
উনার বই পিডিএফ
আকারে ডাউনলোড করে
পড়ি ।
প্রথম বইটির নাম ছিল-
"আমার মেয়েবেলা" ।

মানুষের মুখে মুখে উনার
যে কীর্তন শুনেছি তাতে
আমি নিশ্চিত ছিলাম
উনার লেখাতে আমি
যৌনতার ছোঁয়া পাবো ।
আমি ছেলে ভালো হলেও
যৌনতার প্রতি আমার
একটা চিরায়ত ঝোঁক
আছে,আমার মাঝেও একটা
পশু আছে,তবে বেশিরভাগ
সময় সে ঘুম থাকে :-)

যা হোক,
উনার "আমার মেয়েবেলা"
পড়তে পড়তে ৪২ পৃষ্ঠা
পড়তে গিয়ে আমি টের
পেলাম আমার দুই পায়ের
মাঝে কিছু একটা নড়েচড়ে
উঠছে।
কি ছিল সেই লাইনগুলি
আসুন দেখি-
"শরাফ মামা তার শরীরকে
হাসতে হাসতে আমার ওপরে
ধপাশ করে ফেলে আবার
টেনে নামান আমার হাফ
প্যান্ট ।আর নিজের
হাফ প্যান্ট খুলে তার নুনু
ঠেশে ধরেন আমার গায়ে ।
বুকে চাপ লেগে আমার
শ্বাস আটকে থাকে ।
তাকে ঠেলে সরাতে চেষ্টা
করি আর চেঁচিয়ে বলি-
এইটা কি কর,সর শরাফ মামা
সর ।
গায়ের সব শক্তি দিয়ে ঠেলে
তাকে এক চুল সরাতে
পারিনা.।

-মজার জিনিস দেখাইতে
চাইছিলাম,এইড্যাই মজার
জিনিস।
শরাফ মামা হাসেন আর
সামনের পাটির দাঁতে
কামড়ে রাখেন তার নিজের
ঠোঁট ।
-এইটারে কি কয় জানোস,
চো*চু*,দুনিয়ার সবাই
চো*চু* করে ।তোর মা
বাপ করে,আমার মা বাপ
করে ।

শরাফ মামা তার নুনু
ঠেলতে থাকেন বিষম
জোরে।
আমার বিচ্ছিরি লাগে ।
শরমে চোখ ঢেকে রাখি
দু'হাতে !"

এতো টুকু পড়ে আমি
নিজেই ধপাশ করে বিছানায়
চিত হয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে
চিন্তা করেছিলাম যে-
এটা আমি কি পড়লাম !
নাসরিন আনটি
এইট্যা কি লিখলো !!
শেষ পর্যন্ত মামা তাও
নিজের....! কেউ আমারে
মাইরালা...

নাসরিন আন্টি শুধু
মামার কথা লিখেই
ক্ষান্ত থাকেননি,চাচার
ধর্ষণের কথাও লিখেছেন
ঐ একই বইয়ের ৫৪ নং
পৃষ্ঠাতে-
"আমার শরীর বেয়ে কাকার
হাত নেমে আসে আমার হাফ প্যান্টে ।
হাত টি নামতে
থাকে আমার হাফ প্যান্ট
এর নীচের দিকে ।গড়াতে
গড়াতে আমি বিছানা থেকে
নেমে যেতে থাকি ।আমার
পা মেঝে তে,পিঠ বিছানায়,
হাফ প্যান্ট হাঁটুর কাছে,
হাঁটু বিছানাতেও নয়,
মেঝেতেও নয় !
(কেমতে কি )
কাকা তার লুঙ্গি ওপরে
তোলেন,দেখি কাকার তল
পেটের তল থেকে মস্ত
বড় এক সাপ ফনা তুলে
আছে আমার দিকে যেন
এক্ষণি ছোবল দেবে ।
আমি ভয়ে সিটিয়ে থাকি ।
আমাকে আরও ভয়
পাইয়ে দিয়ে আমার দু
উরুর মাঝখানে ছোবল
দিতে থাকে সেই সাপ ।
এক ছোবল,দুই ছোবল,
তিন ছোবল...

আমি একজন টিনএজার ।
নাসরিন আন্টির এইবারের
ঘটনা পইড়্যা আমার
হাত আমার নিজের উরুর
মাঝে চলে গেল ।
তারপর তো ইতিহাস।

আমি আন্টির বইয়ে বেশ
মজা পেয়ে যাই ।
একের পর এক পড়তে
থাকে উনার বইগুলি ।
ব্যাপারটার সম্পর্ণ পরিচালক
ছিল আমার মস্তিষ্কের অবৈধ
কামনার অংশটুকু তাতে
কোনো সন্দেহ নেই ।

আন্টির বই পড়েছি আর
নুনুতে হাত দেইনি এমন
ঘটনা ঘটেনি
ব্যাপারটা কে,কিভাবে
দেখছেন সেটা আমি জানিনা,
আমি একজন মুক্ত চিন্তার
লেখক ।
এদিক দিয়ে আমি তসলিমা
নাসরিনের পক্ষে তবে উনি
যে সস্তা জনপ্রিয়তার
জন্য মামা,কাকাদের
জড়িয়েছেন এটা নিশ্চিত,
ব্যাপারটা পুরোটাই মিথ্যা,
বানোয়াটা সেটা উনার
লেখাতেই প্রকাশ পায় ।
জগত সংসারে তো আরো
মামা,কাকা আছে নাকি ?

তবে,
আমরা কেউই যৌনতার
উর্ধ্বে নই,
মানুষ হিসেবে আমরা
প্রত্যেকেই যৌনতার শিকলে
আঁটকে আছি,শিকল না
ছিঁড়ে যদি নিয়ন্ত্রণ করি
সেটাই ভাল কারন
যৌনতার প্রয়োজন আছে ।
আর সেই প্রয়োজন থেকেই
আল্লাতায়ালাআদমের জন্য
হাওয়াকে পয়দা করলেন ।
আল্লাতায়ালাও
দোচাদোচির প্রয়োজনীয়
বুঝেন ।
তাহলে ব্যাপারটা কি
দাঁড়ালো-
যৌনতার শুরু ঐ স্বর্গ
থেকেই !
প্রেম ও যৌনতা দুটোই ঐ
স্বর্গ থেকে এসেছে তবে
তা নিয়ন্ত্রণে রাখাটাই
মনুষ্যত্বের পরিচয় ।

যা হোক,
প্রসঙ্গে ফিরে আসি-
তসলিমা নাসরিন আন্টির
আত্মজীবনীমূলক বই
"ক" তেও তিনি অসংখ্য
বিতর্কিত সেক্সের গল্প
লিখেছেন ।
যেমন প্রেম ও দ্রোহের
কবি রুদ্র মুহাম্মাদ
শহীদুল্লাহকে নিয়ে লিখেছেন-
"রুদ্রকে আমি বলি সে
রাতে আমার সঙ্গে থেকে যেতে ।
আমার বিছানাতেই আমি তাকে
শুতে দেই ।এক হাতে যখন
আমাকে নিবিড় করে জড়িয়ে
ধরে,আমি তার হাতটিকে দেই
জড়িয়ে ধরতে ।যখন সে
মুখটি এগিয়ে আনে আমার
মুখের দিকে,চুমু খেতে চায়,
দিই চুমু খেতে ।
যখন সে আমাকে আরো
কাছে টানতে চায়,
দিই তাকে ঘনিষ্ঠ হতে ।"
উল্লেখ্য,
রুদ্র ছিলেন তার স্বামী ।
রুদ্রর সাথে আন্টির বাসর
রাত নিয়ে তিনি একটি
সাক্ষাতকারে নিচের কথাগুলি
বলেছেন-
"বাসর রাতে তার
পুরুষদন্ডে ক্ষত দেখি ।
তখন বুঝতে পেরেছিলাম
যাকে জীবন দিয়ে ভালবাসি,
সে বেশ্যা বাড়ি যায় ।
যৌন রোগে আক্রান্ত সে ।
তবু তাকে বলি,
আজ বাসররাতে
যৌনকেলি হবেনা ।
তোমার শরীরে রোগ ।
এখন আমার শরীরে ঢুকলে
আমিও এ রোগে আক্রান্ত
হবো ।
তোমাকে সুস্থ্য করে তুলবো,
তারপর হবে আমাদের
আনন্দবাসর ।কিন্তু পুরুষ
তো জোর করতে চাইল,
ব্যর্থ হয়ে চলে গেল পতিতার
বুকেই ।"

একজন নামকরা কবির
নামে এমন বক্তব্য শুনে
আমি হতভম্ব হয়ে যাই।

ঐ "ক" বইয়েরই
১৬৫ পৃষ্ঠাতে আন্টি
আরেকটি কাহিনী বর্ণিত
করেছেন তত্‍কালীন
ভোরের কাগজের এবং
বর্তমানে
"বাংলাদেশ প্রতিদিন "
পত্রিকার সম্পাদক জনাব
নঈম নিজামকে নিয়ে ।
ঘটনাটা এরকম-
"নঈম কিন্তু তার ভোরের
কাগজে লেখার জন্য আমাকে
বলেনা ।কিন্তু নঈম আমার
বাড়িতে আসে ।আমার
শরীরের দিকে ঝুঁকে থাকে ।
আমি বাধা দেই না শরীরের
সম্পর্কে ।
দীর্ঘদিনের পুরুষস্পর্শহীন
শরীরটি নঈমের স্পর্শে
কেমন তির তির করে
কেঁপে ওঠে ,দীর্ঘদিন নিজের
অবদমিত ইচ্ছেগুলো মাথা
ফুঁড়ে বেরিয়ে আসতে চায়,
দীর্ঘদীন অন্যের ইচ্ছের
সঙ্গে আপোষ করে নিজের
ভিতরে একটি ইচ্ছের জন্ম
হয় ।নিজেকে শুনিয়ে
শুনিয়ে বলি,এ শরীর
আমার,আমার সম্পর্কিত
যেকোন সিদ্ধান্ত নেবার
দায়িত্বও আমার ।
শরীরের ক্ষুধা তৃষ্ণা
মেটানোর অন্য কোন
উপায় যদি থাকতো
আমার জানা থাকতো,
তবে নঈমের সঙ্গে মাসে
একবার কি দু'বার যে
সম্পর্কটি হয়,হত না
(আন্টি এতোকিছু জানেন
আর মাস্টারবেট জানেন
না !!! )

ঘটনা এখানেই শেষ না ।
আন্টি ঐ একই বইয়ের
২৪৫ ও ২৪৬ পৃষ্ঠাতে
গাজীপুর,জয়দেবপুরের
প্রথম উপজেলা চেয়্যারম্যান
কায়সারের সাথে তার
যৌনলীলার কথা অকটপে
উল্লেখ করেছেন এভাবে-
"যে তৃষ্ণাতুর চোখে
পুরুষেরা দেখে কোন রূপবতী
রমণীকে,সে চোখে আমি
কায়সারের রূপ দেখি ।
(ওগো,তুমি কি কিছু টের
পাও ) সাধ না মেটা
হৃদয়টি কায়সারকে
কামনা করে "
(আন্টির এত্তো পাওয়ার
আসে কোথা থেকে ),
"কিন্তু কায়সারের বউ
বাচ্চা নিয়ে আমার কোনো
অস্বস্তি হয় না যখন সে মুগ্ধ
চোখে আমার দিকে তাকায়
বা আমার একটি হাত ছুঁতে
চায় নিঃশব্থে ।
আমি আমার হাতটি সরিয়ে
রাখিনা ।যখন ঠোটঁ
বাড়ায় ঠোঁটের দিকে,খুব
সহজেই আমার ঠোঁট কায়সারের
ঠোঁটের নাগালে চলে আসে ।
এটি যতো না কায়সারের
প্রয়োজনে তার চেয়ে বেশি
আমার প্রয়োজনে"
(হায় রে আন্টি,
তোমারে খুইল্যা খুইল্যা
দেখিবার বড় ইচ্ছা
আমার )

"বাড়িতে বোন আছে,
বোন জামাই আছে,কাজের
মেয়ে কুলসুম আছে,
এমনকি মা আছেন,
আর আমি কায়সারকে
আমার শোবার ঘরে
নিয়ে দরজা বন্ধ করি "
(ওগো তুমি কবে এমন
সাহসী হবে )

যা হোক,
আন্টির গুণগান গাইলাম
অনেকক্ষণ ধরে,এবার
নিজে দুটি কথা বলি-

তসলিমা নাসরিন মনে
করেন পৃথিবীর সব
পুরুষই তাকে ধর্ষণ করতে
চায় ।
তার এই ধারণা থেকে
তার মামা,চাচা এমনকি
তার পিতাও রক্ষা পায়নি ।
তসলিমা নাসরিন এমন
একজন লেখিকা যিনি
নারী স্বাধীনতার নামে
জরায়ুর স্বাধীনতা চান ।
তিনি মনে করেন যে,
পুরুষও ভোগের সামগ্রী
হতে পারে,নারীও ভোগ
করতে পারে পুরুষকে ।

তিনার এই কথা শুনে
একজন মেয়ের কাছে
ধর্ষিত হওয়ার ইচ্ছা
করতেছে আমার ।

তসলিমা নাসরিন এমন
একজন লেখিকা যিনি
নারীদের ভ্রণ হত্যার
অধিকার দেওয়ার কথা
বললেন !
ভ্রণ হত্যার অধিকার
না দেওয়াটা নাকি
মানবাধিকার লঙ্ঘন ।
হায় সেলুকাস !
কি বিচিত্র এই মহিলা ।
আমার মনে হয়,
তসলিমা নাসরিনের
মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছে ।

তসলিমা নাসরিন
নির্বাসনে থাকাকালীন
নানা সেক্স স্ক্যান্ডালে
জড়িয়েছেন ।
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয়
লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
নাকি একদিন উনার
শরীরে হাত দিয়েছিল।
(আন্টির যে শরীর,
হাত না দিয়ে যাবে কৈ )

পৃথিবীর অনেক আলোচিত
লেখকদের বিরুদ্ধে উনি
যৌনাচারের অভিযোগ
আনেন ।
এর মধ্যে-
"স্যাটানিক ভার্সন" লেখক
খ্যাত ব্রিটিশ নাস্তিক লেখক
সালমান রুশদী,সুইডেনের
জনপ্রিয় সাংবাদিক মার্ক
ব্রাদো এবং বাংলাদেশের
খ্যাতনামা অনেক
কবি-লেখকদের বিরুদ্ধেও
তিনি যৌনাচারের আঙুল
তুলেছেন ।
এর মধ্য উল্লেখযোগ্য
একজন জন জনাব
শামসুর রহমান ।

আর কি বলবো ?
তসলিমা নাসরিনকে
আমার কখনোই নারীবাদী
লেখিকা মনে হয়নি,
আমি মনে করি তিনি
একটা ইয়াবা ।
ইয়াবা সেবনে যেমন
ছেলেদের লিঙ্গ ও মেয়েদের
যোনী মোটা ও ফুঁলে ওঠে
তসলিমা নাসরিনের লেখাটাও
তাই ।
যৌন উত্তেজক ও যৌন
ওষুদের মতো কাজ করা
কোনো লেখা কখনো নারী
স্বাধীনতার লেখা বা
লেখক হতে পারেনা ।
আমি তো বেগম রোকেয়ার
জীবনী ও কার্যকলাপ পড়েছি,
কৈ কোথাও তো যৌনতার
ছোঁয়া পাইনি অথচ নারী
অধিকার আদায়ে তাঁর
ভূমিকা অকল্পণীয়,
গোটা সমাজ ব্যবস্থার
বিরুদ্ধে তিনি প্রায় একাই
লড়ে নারী চেতনা,প্রতিভার
দোয়ার খুলেছিন,আমি
সেখানেও কোন যৌনতা
খুঁজে পাইনি ।

যোনী,নুনু,যৌনতা লেখার
মাঝে এইগুলা আনলেই কি
তা নারীবাদীতা !
এমন নারীবাদীতার মুখে
কল্পিত এক খাবলা থু থু
ফেলা ছাড়া আর কিছু
করার নেই ।

বাংলা ভাষাভাষী মানুষগুলি
যৌন প্রিয় এটা হচ্ছে চিরন্তন
সত্য আর লেখিকা তসলিমা
নাসরিন বাঙ্গালী জাতের এই
দুর্বলতাকে টোঁপ হিসেবে
ব্যবহার করে সাহিত্যে
''নুনু/যোনী'' প্রভৃতি
শব্দগুলির প্রয়োগ ঘটিয়ে
নারীবাদীতার নামে
নিঃসন্দেহে নারী জাতিকে
কলংকিত করেছেন এবং
করেছেন ।

তবে একটা কথা অকপটে
একজন খাঁটি বাঙ্গালী হিসেবে
আমি স্বীকার করছি যে-
তসলিমা আন্টির লেখা
পড়লে যেকোনো পুরুষ
শত চেষ্টা করেও তার
কামনার জোয়ারকে থামাতে
পারবেনা ।
মেডিকেল সেক্সে একটা
কথা আছে-
"সঙ্গমের আগে স্ত্রীকে নিয়ে
যৌন উত্তেজক ভিডিও দেখা
ভালো "
আমি এখানে একটু যোগ
করবো যে,
"সঙ্গমের পূর্ণ তৃপ্তি পেতে
তসলিমা নাসরিনের লেখা
পড়ে নেওয়া ভাল ।"

তবে এতো নেগেটিভের
ভিতরও আন্টির একটা
ভালো দিক হচ্ছে প্রয়াত
কবি রুদ্রের প্রতি তার
অসীম ভালবাসা ।
ভালবাসার প্রতি এতো
শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস খুব কম
মেয়েই পারে,যেটা পেরেছেন
তসলিমা আন্টি ।

তসলিমা আন্টি নির্বাসিত
ব্যাপারটা ভালো দেখায় না ।
শত হলেও তার বাড়ি এই
দেশে,মাকে ছেড়ে থাকার যে
কষ্ট,মাতৃভূমি ছেড়ে থাকার
সেই একই কষ্ট ।
শুধু শুধু আওয়ামী ও
বিএনপি তাকে এই কষ্টটা
দিয়ে আসছে ।

যা ই হোক,
আন্টি যেখানে আছেন
আশা করি ভালো আছেন ।
আন্টির লেখা পড়ে যতোটুকু
সেক্স উন্মাদনা পাই সেক্স
ভিডিও দেখে তার এক কোণাও
পাইনা ।
আন্টি এখন ৫০ বছরের
এক তরুণী ।
তার বুকের দিকে এখনো
তাকালে যেকোনো পুরুষ
বেঁহুশ হতে বাধ্য ।
আমার নিজেরও খুব
ইচ্ছা আন্টিকে একবার
ন্যাংটা দেখে চিত্‍পটাং
খাওয়ার ।

আমি মনে করি আমরা
পুরুষেরা
যতোই তাকে নাস্তিক,বেশ্যা
ইত্যাদি বলে গালি দেই
এই আমরাই তার বইয়ের
পাতা উল্টাই একটু
অবৈধতার ঘ্রাণ পেতে ।

তসলিমা নাসরিন নিঃসন্দেহে
একটা প্রতিভা ।
একজন মুক্তমনা ও ব্লগার
হিসেবে আমি তার চিন্তাকে
স্বাগত জানাই ।
যৌন সুড়সুড়িদায়ক হলেও
পুরুষ সম্পর্কে উনার ধারণা
নেহায়েত খারাপ না ।

হুমায়ূন আহমেদের একটা
কথা মনে পড়ে যায়-
"সব পুরুষই এক একটা
শয়তান ।কেউ বড় শয়তান,
কেউ ছোট শয়তান ।"

লেখিকা তসলিমা আন্টি
এই দুটি লাইনই বাঙ্গালীকে
হজম করাতে গিয়ে তালগোল
পাকিয়ে ফেলেছেন ।
তবে তাকে দেশে আনা
উচিত ।
স্বাধীনতা বিরোধী একটি
সংঘের ভয়ে তিনি নির্বাসিতা
ব্যাপারটা লজ্জাজনক ।
শত হলেও তসলিমা আন্টি
দেশের স্বাধীনতা ও
সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী ।
নাস্তিকতা একটা ধর্ম,
অন্য কারো ধর্মকে আঘাত
করাটা কোনো ধর্মই সমার্থন
করেনা তেমনি প্রকৃত
নাস্তিকেরা সে ব্যাপারে
বদ্ধ পরিকর ।

আমার দুটি কথা আপাতত
এখানেই শেষ ।
তসলিমা আন্টি কোনো
ধর্মকে না আঘাত করে
প্রকৃত নাস্তিকতার পরিচয়
দিবেন এবং প্রকৃত
নারীবাদী হবেন এই কামনা
করি ।।

[এতো কষ্ট করে শেষ পর্যন্ত
আমার অর্থহীন বকবকানি
অত্যন্ত ধৈর্যসহকারে পড়ার
জন্য আপনাকে অসংখ্য
ধন্যবাদ ]
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৭
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোরআন কী পোড়ানো যায়!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮

আমি বেশ কয়েকজন আরবীভাষী সহপাঠি পেয়েছি । তাদের মধ্যে দু'এক জন আবার নাস্তিক। একজনের সাথে কোরআন নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাকে জানালো, কোরআনে অনেক ভুল আছে। তাকে বললাম, দেখাও কোথায় কোথায় ভুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেঞ্চুরী’তম

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


লাকী দার ৫০তম জন্মদিনের লাল গোপালের শুভেচ্ছা

দক্ষিণা জানালাটা খুলে গেছে আজ
৫০তম বছর উকি ঝুকি, যাকে বলে
হাফ সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি;
রোজ বট ছায়া তলে বসে থাকতাম
আর ভিন্ন বাতাসের গন্ধ
নাকের এক স্বাদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯


ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?

বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×