গ্রীষ্মের দাবদাহে যখন নগর বন্দর জ্বলে পুড়ে ছাই
মেঘে মেঘে ঢেকে যায় আকাশ,বর্ষা বর্ষায় পৃথিবীতে
স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে সব উঠে জেগে জীবনের তাড়নায়
মহান শিল্পী আঁকে এইসব সাদা কাগজে রংতুলিতে
তৃষিত চাতকের বুক শীতল হয় ফোটা ফোটা বৃষ্টির জলে
মরা ঘাস পায় প্রাণ কৃষকের ক্লান্তি যায় একেবারে চলে।
সারাদিন ঝরে যায় অঝর ধারায় মুখ তার করিয়া কালো
পৃথিবীর যত কলংক কালিমা সব কিছু দেয় মুছে
মধ্য দিনে আঁধারে ঢেকে যায় তপ্ত সুরুজের আলো
বৃষ্টির তালেতালে সোনালি ব্যাঙ আনন্দে উঠে নেচে
ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ে মাছ খালের বাঁকে জেলেদের জালে
মুক্তোর মত জমে থাকে জল ফুলেদের পাঁপড়ির গালে।
শিশুরা আনন্দে উল্লাসে মেতে উঠে বর্ষার জলে
মনের আনন্দে ভাসিয়া বেড়ায় সাঁতার কেটে কেটে
হাঁসেরা খুঁজে শামুক গুগলি ভিজে ভিজে বর্ষার ঢলে
সব পথ ঘাট কাদাতে মাখা মাখি যা ছিল রোদে ফেটে
মনে মনে ভাবি আকাশ বুঝি একেবারে ফুটো হয়ে
মাঠের পর মাঠ দিচ্ছে ডুবিয়ে,আর কল কল করে জল যায় বয়ে।
আকাশের ডাক বড় বিষম লাগে যখনি উঠে ঢেকে
বিজলির ঝলকে ফুটে উঠা ছবি খুবই মনোরম
মনে হয় ঈশ্বর তুলিছেন ছবি তার সিংহাসন থেকে
ফ্লাশের ঝলকানিতে কেঁপে কেঁপে উঠছে পৃথিবী চরম
নদীতে জল ফুলে ফেঁপে উঠে ছাপিয়েছে দুকুল
কিছু বাড়ি ঘর ভেসে যায় জলে যেন ভেসে যায় আমিনার চুল।