নাবিলা,এখানে শীত নামে সময়ের সিঁড়ি বেয়ে
হেমন্তের সোনা ধান চলে গেলে গোলায় শান্তির ঘুমে
বিরহি ধূসর নাড়া পড়ে থাকে মাঠে
ইঁদুরের গর্তে কিছু ধান দলে দলে আসে কুঁড়ানিরা
তাদের ভাগ্য ছিনিয়ে নেয় ইঁদুরের ঘর লুট করে।
গাছের সবুজ পাতা ঝরে পড়ে শীতের বরফ দাঁতে
প্রকৃতির বুক থেকে খসে যায় ঘাস রঙ শাড়ি
তাদের উলঙ বুকে লেগে থাকে শিশিরের ঘ্রান
ফলে কিছু সজিব সবজি পাষাণ মাটির বুকে
আর আমাদের বাড়ির উঠোনে ঝরে মেহেদি পাতায় রাঙা রোদ।
এখানে শীতের রাতগুলো বড় বেরসিক
সন্দ্ধায় স্টেশনে টিমটিমে আলোয় নজরে আসে
মানুষের কষ্ট যেন বেওয়ারিশ কুকুর মাটির সিঁথানে
খবরের কাগজ ছালার চটে পায় ঐশ্বরিক ঘুম ।
জোনাকির আলো ম্লান হয়ে আসে কুয়াসার ভারে
চাঁদের বেলুন উড়ে মেঘের ভেতরে বিড়ালের পায়
মাটির হাঁড়িতে তুষের আগুন জ্বেলে ওম খুঁজে
কিছু হাঁড় জিরজিরে মানুষ।নিশিতে ডাকে যমকুলি
ফেলে আসা বসন্ত হারিয়ে যায় দূর হতে বহুদূর।
জীবনের জাবেদা খাতায় উদ্বৃত্ত অনেক কাজ
জমে গেলে একদিন আগুন জ্বালিয়ে আগুন পোহাই
শীত বাড়ে কষ্ট বাড়ে পৃথিবীর যত আধমরা মানুষের হাঁড়ে
ভেড়ার পশমে জমে জমে তুষারের স্তুপ
আমাদের রক্ত হয় সাইবেরিয়ার বরফের মত চুপ।
০১/০১/১৩