যখন মৃত বেড়ালদের চোখে প্রতিরাতে একবার মৃত্যু দেখি
তখন শুয়োরের বাচ্চাগুলো আমাকে শাসায় জমদূতের মতোন
প্রথম প্রণামঃ
গল্প বলার অজুহাতে গা বাঁচয়িয়ে সময় নষ্ট করি এবং
রাতারাতি বিখ্যাত হবার স্বপ্ন দেখি আর ঢোল পেটাই।
সতী-সাবিত্রী-লক্ষ্মী বালিকার বাস ছিলো কোন এক গাঁয়ে সমস্ত র্পূণতা নিয়ে জন্মেছিলো নস। জীবনাত্মায় তার কোন পাপ ছিলো না। অথচ পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষায় পড়তে ঞয়েছিলো একদনি তার। ধরা যাক, বালিকাটি জসন্মছিলো কোন এক শুভ সন্ধ্যায়। ধনু জাতিকার সমস্ত গুণাবলী যে তার ভতের বসবাস করে সটো আর বলার অপক্ষো রাখনো। মন্দিরে যায়-ঘন্টা বাজায়। শব্দ হয় ঢং ঢং ঢং....; সে শব্দরে আওয়াজে নস্তিব্ধ হয় গ্রাম থেকে গ্রাম। দুপুর রোদরে কাঁপা কাঁপা দৃশ্যে মঞ্চায়তি হতে থাকে আর ঘমিয়ে পড়ে ক্লান্ত দুপুর। সন্ধ্যার লালচে আলোয় জানান দিয়ে যায় শুভসন্ধ্যা। আর এই সন্ধ্যা একদনি কাল হয়ে দাঁড়ায়। কারণ সন্ধ্যার পরে নামে রাত-গভীর রাত, নশিুতি রাত; মৃত রাত! মৃত রাতরে মানুষরোও মৃত হয় ।
ভোর হয়, পাখি ডাকে অন্ধাকাররে গায়ে কাঁটা বিধে। পবত্রি আত্মা নিয়ে শিউলীতলায় যায়, ফুল কুড়ায়। পড়ে থাকা ফুল। নজিরে আত্মাকে বর্সিজন দয়ে মানুষরে জন্য যে ফুল, সে ফুলইতো দেবীর আরাধনার জন্য উপযুক্ত। যে ফুলরে মধ্যে কোন অহমিকা নেই, চাওয়া নেই। আর এই ফুল নিয়েই প্রতিদিনকার মতো পূজো দিতে যায় কুমারী।
'হায় ঈশ্বর আমাকে যে বয়িে করবে সে যনে শবিরে মতোন হয়।'
সব মানুষ কি শিব হতে পার? সেসব মানুষ কি বিশূদ্ধ আত্মা নিয়ে জন্মায়? নাকি জন্মরে পরে বিশুদ্ধহবার র্চচা করে? সে একদনি পূজা দিতে আসে মন্দিরে। ঘন্টা বাজায় ঢং ঢং ঢং...; পিছনে ফেরেন কুমারী। পছন্দ হয় দু'জনরে। অতঃপর বিয়ের প্রস্তাব।
দুপক্ষের পরিবার রাজি।
'সিঁদুর কপালে' মেয়েটির শুভলগ্ন আজ সন্ধ্যার পর। মনে পড়ে কোন এক শুভ সন্ধ্যায় এমনি করে রাতের অন্ধকার পূর্ণতা পেয়েছিলো। কোন এক চাঁদের আলোয় স্নান করেছিলো লাজুক রাত। বিয়ে হলো। কণের বাবার কোন চাওয়া ছিলো না। একটাই আশির্বাদ ছিলো- মেয়েটি যেন সারাজীবন পূজো করতে পারে তার দেবতাকে। রাত বেড়েই চললো। পাল্কির বেয়ারাদের হুনহুনাহুন ছুটে চলা।
মাঠের উঁচু রাস্তা দিয়ে ছুটে চলে বাতাস বেগে। বেয়ারাদের ঘাম মাটিতে পড়ে আর রাক্ষস মাটি অমনি চুষে নেয় সুদখোর মহাজনের মতোন। মাটির তৃষ্ণা বড় বেশি। যে ডাইনী জলের আবাদ করে তার তৃষ্ণা মেটে কোন্ জলে?
মাঠ পেরিয়ে বনের ধারে আসতেই বনের লতা পাতা হঠাৎ ভয়ঙ্কর ঝড়ের রূপ নিলো বসন্ত বাতাসে। কালো অন্ধকার রাতের আঁধার কেটে কেটে হুঙ্কার দিয়ে ডাকাত দল আক্রমন করে। তুমুল যুদ্ধ হলো বরযাত্রী আর ডাকাতের মধ্যে। বেয়ারারা পালকি ছেড়ে পালালো। বর এবং বরের বন্ধু যুদ্ধে হেরে গেলো। ডাকাতদল দু’জনের মুণ্ডুুকে মাথা থেকে আলাদা করে দিয়ে চলে গেলো। এই মুহূর্তে কণে একা। এখনো যার কুমারীত্ব ঘোঁচেনি। মাথায় লাল রঙের সিঁদুর নীলের রূপ ধারন করেছে। ফিরবার পথ জানা নেই। শশুরালয় চেনা নেই। মৃত স্বামী আর তার বন্ধুর লাশ চোখের সামনে। চোখ ছল ছল করে ওঠে। নয়াবউ পড়ে থাকা চক্চকে তাঁতানো ছুরি দ্যাখে। হাতে তুলে নেয়। পৃথিবীর সমস্ত মায়া এই মুহূর্তে ত্যাগ করবে। সমস্ত আকাশ-বাতাস, জল, মাটির কাছে উপরে চোখ তুলে মা চেয়ে নেয় আর এক সেকেণ্ড পরে, সে স্বর্গবাসী হবে।
'...না- এভাবে তুমি মরতে পারো না'।
হঠাৎ আলো ছড়িয়ে ভীন গাঁয়ের এক দেবী তার কাছে সময় প্রার্থনা করে।
তুমি কি তোমার স্বামীকে যমদূত’র কাছ থেকে ফেরৎ চাও?
'হ্যাঁ ঠিক তাই চাই'।
তাহলে তোমার স্বামীর মাথা তোমার স্বামীর বন্ধুর শরীরের সাথে মেশাও আর তার বন্ধুর মাথা তোমার স্বামীর শরীরের সঙ্গে মেশাও। এই ফুল নাও, আর এই জল নাও তাদেরকে আরেকবার পূজা করো। দেখো ঠিকই তার বেঁচে উঠবে। তবে হ্যাঁ আরো এক পরীক্ষা দিতে হবে তোমাকে। সেটা হলো স্বামী নির্বাচন।
তুমি কোনটাকে বেছে নেবে। বন্ধুটির শরীর আর মাথা তোমার স্বামীর, সেটা? নাকি শরীর তোমার স্বামীর আর মাথা বন্ধুটির? কোনটা? যে কোন একটা তোমাকে বেছে নিতে হবে। আর এই নির্বাচনে যদি তুমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারো তবে তোমার স্বামী ও স্বামীর বন্ধুটি বেঁচে উঠবে।
এখন বলো তুমি কোনটাকে গ্রহণ করবে?'
ভেতর বাড়ি:
শিল্পের বিরুদ্ধে যখন শিল্পই প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠে তখন থ্যাঁৎলানো ছুরির আঘাতে আরেকবার মৃত্যুবরণ করি।
এবং চোখের কিনার বেয়ে লাল রক্ত কনিকাগুলো বালিশ ভিজিয়ে সমুদ্র সৃষ্টি করেছে, আর চোখ মেলে হাসি।
অনেক সময় অনেক খুনও শিল্প হয়ে ওঠে। যে খুনের রক্তে মালা গাঁথা যায়। খুব সযতেœ বুকে লালন করে দীর্ঘকাল বেঁচে থাকা যায়। খুন তখনই শিল্প হয়ে ওঠে যখন হত্যা হওয়া মানুষের আত্মাও মৃত্যু উপত্যক্যার আগুনে বসবাস করে নিহত আত্মার অবচেতন স্বপ্নের ভেতর শান্তি- পায়, সুখ অনুভব করে। আর এই আত্মাও তখন ঈশ্বরের কাছে নালিসের বদলে হত্যাকারীকে অভিনন্দনের বার্তা মানুষকে পৌঁছানোর অনুরোধ করেন। এই ধরনের শিল্প বলি আর ঢাহা চাপাবাজিই বলি এধরনের ঘটনা যদি বাস্তবে ঘটে! যদি মানুষ মানুষের ভালোবাসাকে এভাবে খুন করে তাহলে কি সত্যি কোন খুনের অধ্যয় শেষ হতো না? খুনোখুনির রাষ্ট্রে আমরা এখন মহা নায়ক। কোথায় খুন করছি না?
জনগণের সাথে জনগণ
ঘরের সাথে ঘর
রঙের সাথে রঙ
রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্র
যুদ্ধের সাথে যুদ্ধ?
বেহায়া বুশ যখন রক্ত নিয়ে খেলা করে বুশেরই সাথে? তখন কি তাঁর হৃদয় কেঁপে ওঠেনা? লাদেন যখন ধর্মের অহংকার করে নারায়তাক্বির বলে পেন্টাগণের মানুষকে হত্য করলো তখন তাঁর হৃদয় কেঁপে উঠলো না। হামিদ কারজাইকে যখন শত্র“র প্রতিপক্ষ করে আর এক শত্র“ সৃষ্টি করলো তখনও কি বুঁক কেঁপে উঠলো না? আমারই দেশে, আমাদের দেশের বেগমের বড়ো ছেলে যখন অর্থ চালান করে হাজার হাজার মানুষকে অর্থনৈতিক ঘাটতি দেখিয়ে দরিদ্র, নিষ্পেষিত, নির্যাতিত, শোষিত মানুষের আয়ের সীমারেখাকে বাজেয়াপ্ত করে কৃত্রিম মঙ্গা দেখিয়ে মায়ের কোলের যে শিশুটি অপুষ্টিতে ভোগে, যে বাবা আত্মহত্যা করে, যে বালিকা অনাহারে মারা যায় সেই মৃত্যুকে কি বলবো? মৃত্যু নাকি খুন? আর এই খুনের দায়ভার স্বীকার করে, আত্মশুদ্ধি না করে সরাসরি চোখপাল্টি দিতে বুক কেঁপে ওঠে না? তবে কেন আজকের এই লেখা লিখতে গিয়ে আমার বুক ছ্যাঁৎ করে ওঠবে? আমিওতো লালরক্তের মানুষ। আমিওতো মাটিতে পা রেখে হাঁটি।
যে মানুষ গ্রামীণ চেক ফতুয়ার পকেটে লুকিয়ে রাখে গোপন সুদখোর মহাজনের বিমূর্ত ছায়া? যাকে প্রতিনিয়ত পূজা দিতে দিতে যে বাঙ্গালী ক্লান্ত, সেই বাঙ্গালীর বুকে কি ঝনাৎ ঝনাৎ শব্দ বেজে ওঠে না? মহিমা, তৃষা, ফাহিমা, সিমী’র আত্মাদের স্বপ্নে দেখা সবুজ সূর্যকি একবারের জন্যও উঁকি দিবে না? তাদের প্রশ্নের উত্তর কি আমরা দিতে পারবো না? আজ এখন সেই প্রশ্নের উত্তর দেবার সঠিক সময় নয় কি? এই মৃত সময়ের কলমের ডগাগুলো এখন তাঁতানো ছুরির মতো চকচকে ধারালো। কালারব্লাইন্ড চোখগুলো এখন রঙের হোলি দেখতে চায়। খুব সজোরে আঘাত হানতে চায় এই সভ্যতায়। আর শুয়োরের পালের মতো ঘ্যাৎঘ্যাতানি করতে থাকে কচুবনে যে মহান নেতা? অর্থ্যাৎ সরকার আর বিরোধী দলের পাল্টিখেলার দৃশ্যে যখন মোটা কালো শিঁকে বন্দি হয় সাধারণ মানুষ, তখন কে আঙ্গুল উঁচিয়ে কালো ইশারা করে? কে কলমের ডগায় টাকার খেলা করে? পুলিশ? এই জীবকে আর কি দোষ দেবো বলুন। আমরাতো জানি কুকুরের লেজ কখনো সোজা হয় না। কোন সরকার কি পেরেছে এমন চোঙা তৈরী করতে, যে চোঙায় লেজ সোজা হবে? কোন বিজ্ঞানী কি পেরেছে লেজ সোজা করবার সফ্টওয়ার তৈরী করতে? কোন মন্ত্রদেবী কি আজও মন্ত্র শিখেছে এমন যা তাদের লেজ সোজা করবার জন্য উপযোগী করে তোলা যাবে?
কি বললেন? ফকরুদ্দিন?
আর একবার বলুন প্লিজ?
কি পুতুল?
কি?
পাপেট?
একটু জোরে বলুন প্লিজ?
আহ! শব্দ দূষণে শুনতে পেলাম না। চারদিকে আওয়াজের ছড়াছড়ি। সমস্ত রঙ সাদা হয়ে গেলো। জানি নিশ্চই রাত নামবে না এখনই। আর রাত নামলেই বা কি, সব রাততো আর ভয়ঙ্কর রূপ নিতে জানেনা। ভয়ঙ্কর রাতগুলোতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো আর কে হাঁটে এমন চুপি চুপি? নিজামী? গোলাম আজম? তারাতো সেই কবে হেঁটে গেছে! তাহলে এই বিরল রাত্রে যাদের চলাফেরা আমরা দেখি, তারা কারা? কুকুর, পাহারাদার, কালোবাজারী, খেতে না পাওয়া কোন এক টোকাই? এইতো? আর এই রাত্রে সাদা রঙ সাদা আর কালো রঙ কালো থাকেনা। ধূসর হয়ে যায়। আর এই ফুটপাতের ধুসর রঙ নিয়ে খেলা করে হাটের টোকাই।
আরে আইজ্যা চোরারে ধইরা আনছিরে...যাইবি কই হারামজাদা? তোরে ধইরা নিয়া কাবাব
বানায়া খামু।
কিরে কালাম হাতে ইন্দুর লইয়া কি বিরবির করতাছস?
আব্বা আইজ্যা চোরারে ধরছি। আমলীকেরা তো পারে নাই, আমি পারছি।
চুপ হারামী। এলা কথা মুখে আনতে নাই। ইন্দুররে কস্ আইজ্যা? পুলিশ
হুনলে তরে ধইরা লই যাইবো। ফালা। মরা ইন্দুর নিয়া তামাশা!
এইভাবে চলতে থাকে বাংলাদেশের পলিটিক্যাল মুভমেন্ট। যে দেশে নুন আনতে পান্তা ফুরায় সে দেশ কিভাবে চিতল মাছের স্বপ্ন দ্যাখে? তবুওতো হাজারো কালামেরা বড়ো চোরকে ধরতে চায়,কিন্তু মুখ বন্ধ করে দেয়, কারা? মশালের দীপ্ত আগুনের ফুলকির মতো কখনো কখনো মানুষ জেগে ওঠে আবার সাইবেরিয়ার বরফের মতো গলে গলে বিদ্যুতের জন্য জোয়ার ভাটা সৃষ্টি করে। এই ভালোবাসবাসির দেশে কেন এতো তপ্ত হয় বালু, কেন বুড়িগঙ্গার মতো দখল হয়ে যায় মায়ের শাড়ীর আঁচল! জানা নেই। এই অজানা পাতাল ফুঁড়ে আরেকদল মানুষ সংসার ভাঙতে চায়।
মাগী, পিরিত ঠাপাইস? বাপের বাড়ী থেকে টাকা নিয়ে
আয় না হলি তোরে তিন তালাক দেবো।
বাপের অবস্থা জানেন না? কনতে টাকা দিবি?
আবারা মুখে মুখে কতা? চুতমারানী বাইরো বাড়ী থেকে।
পারোতো এই একখান কতা কতি।
কি কলি! এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক, বাঈন তালাক।এই যে, দাদারা মাথা গরম করে দিনের পর দিন একেক সংসার ভাঙ্গেন তারা কোন রেশনের চাল খান? আবার যিনারা রাতের পার্টি সেরে চুপি চুপি পরের বউয়ের সাথে রাত কাটায় তারা? যারা দাবী করে আমার বউ তোমার বউ, সবার বউ সবার বউ! তারা? তারা কোন দীঘিতে সাঁতার দেয়, কোন বাঁশি তে ফুঁ দেয়? কোন সুরের কথা কয়? আলো ও অন্ধকারের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় কোন মহাজনেরা? লাউয়ের ডগার মতো তরতর করে বেয়ে ওঠে যে মানুষেরা তাদের শেকড় কত
গভীরে প্রথিত? সে খবর কতটুকু জানেন সেই মহাজনের দলেরা? আমার আর আপনার এই দেশে একই সময়ে, একই গল্পে সূর্যতো একবারই ওঠে। রাত আসে রাত যায়, দিন আসে দিন যায়, রাত আর দিন তো আলাদা আলাদা হয়ে ওঠে না। আমরা তো একই বিষুব রেখায় অবস্থিত। তবে মনস্তা ত্বিক জটিলতায় কেন বারবার হানাদারের মতো হানা দেয়, জল পরীর ছানার মতো তুলে নিয়ে গিয়ে পিরিত করে? আসমান... জমিন কাঁপিয়ে বিদ্যুতের ঝলক দেয়, ছবি তোলে।
ছিঃ ছিঃ এইসব কথা কইয়েন না ভাই, ওরাতো মহাশক্তিধর, কালনাগ। ওদের পাপ হয়না।
হয়। তবে কথা কয়না, প্রকাশ পায়না, কেউ জিজ্ঞাসা করলে তবে জিভ কেটে নেয়ার হুমকি দেয়। অথচ জনগণ জানে- ডাকা কুকুরের দাঁতের বিষের কথা, মানুষের দলেরা ভয় পায়না। ফুঁসে ওঠে গোলাম রব্বানী ও বিপ্লবী মানুষেরা। শুরু হয় নতুন সংগ্রাম। খালি হয় অনেক মায়ের কোল। এদেশে মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘোরানোর জন্য আরেকভাইও নিজের অজান্তে নিজেই আত্মহুতি দিতে পারে এ কথা সবার জানা। তবুও হুশ হয়না কোন সরকার পক্ষের। যে দেশে সরকার এবং গনতন্ত্রের জন্য এতো যুদ্ধ হয়েছে সে দেশের সরকারী কর্মকান্ডের মনিবেরা নিজেরাই দানব। এই দানবদের কে হত্য করতে হবে এই আশায় বুক বাঁধে কামররুল হাসান এর পবিত্র অনুসারীরা।
রুদ্ধ দ্বারঃ
অবরুদ্ধ সময়ে ধর্ষিত হয় মৌলিক অধিকার
আর ঝুলন্ত মূলার পেছনে ছুটে চলি গাধার বাচ্চারা।
এখানেও আবার সেই পুরানো গল্প। সামনে ঝুলন্ত মূলার টোপ। এই সুযোগে পিঠের উপর চেপে বসেছে নতুন বোঝা। আমরা জনগন সত্যিই গাধা থেকে গেলাম, মানুষ হলাম না। আসলে আমাদের ভাগ্যটাই খারাপ। না হলে এমনতো হবার কথা ছিলো না। যেই লঙ্কায় যায় সেই হারামজাদাই রাবন হয়ে বসে। আমরা দেখেছি নবাবীর আমল থেকে আজ অবধি যখনই যে ক্ষমতার গাছে চড়ে তারাই ফল পাড়ার স্বপ্ন দেখান, আর কিছু কাছের বন্ধুরাই আছেন তারা খুব স্বযতেœ মই কেড়ে নিয়ে কানামাছি খেলেন। এই কানামাছি’র মতো ছেলে খেলা খেলতে গিয়ে প্রটোকলনুযায়ী নিচে থাকা সাধুরা কখনো কখনো ডোবায় পড়ে যান। আর উপর থেকে রাবন রাজারা দর্শনার্থীদের চোখে ছাই দিয়ে বোঝান।
এবার বুঝুন মানুষ সাহেবেরা, যারা নিজের জন্য গর্ত খোড়ে তারাই সেই গর্তে পড়ে যায়। আমাকে
বিশ্বাস করুন। আমি আপনাদের সত্যিকারের বন্ধু। আপনারা আমাকে সাহায্য করুন, প্লিজ।
হ্যাঁ হ্যাঁ কথাটা তো ঠিক, চোখেও দেখছি তাই। আমরা আপনার সাথে আছি।
দেখ দেখ কি জ্ঞানীর মতোন কথা। তাহলে বল আমাদেরকেও ফল পেড়ে দেবে?
তোমাদের জন্যই তো আমি গাছে উঠেছি। দয়া করে মইটা লাইগিয়ে দাও এবার!
জনগন অতি উৎসাহে উৎসবের মতো করে মইকে গাছের সঙ্গে জোড়া লাগায়। রাবন রাজারা খুশি হন। কিন্তু বোকা মানুষের দল জানে না খাঁচায় বন্দি বাঘের নাকি কান্নায় অতি দরদী হয়ে শেকল
খুলে দেবার ফল। এখন আমরা নাটকের শেষ পর্যায় আছি প্রায়, এই মুহুর্তে আমাদের প্রয়োজন একটা চতুর শেয়াল। আর এই শেয়ালের চরিত্রটিকে রূপদান করতে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্নজন নিজেকে সংস্কার করে নেওয়ার প্রস্তুতি নেন। আর কিছু সত্যিকারের শেয়ালরা মুরগী সাবাড় করে বাকি মোরগের সাবাড় করার প্রক্রিয়াকে একটু নজর বন্দি করে, আড়ালে রেখে গ্রামীন চেকের ফতুয়া পরে সভ্য শেয়ালে পরিণত হবার স্বপ্ন দ্যখেন। আর এই স্বপ্নবাজদের চোরা স্বপ্নের খবর কিভাবে যেন লিক আউট হয়ে যায়। আমরা যারা গাধার বাচ্চা তারাতো নিমের ডাল অথবা ছাই দিয়ে প্রতিভোরে দাঁতে শান দিই আর জিকির করতে থাকি এই মূলাগাছ একদিন বড়ো হবে, জাপানীদের মতো সাদা হবে, খেতে দারুণ টেষ্টি হবে। আর সৃষ্টি কর্তার কাছে প্রতি ওয়াক্তে প্রার্থনা করি যে-
“ হায় ঈশ্বর আমাদের মালিককে দীর্ঘায়ু দাও”
কিন্তু আমার মনে হয় সত্যি সত্যি একদিন এই মূলা গাছগুলোকে আমাদেরকে না দিয়ে সবার চোখের সামনে কোন এক ছয়তারা খঁচিত ব্যবসায়ী মহাজনদের কাছে বিক্রি করে দেবেন। আর আমরা যখন মূলা গাছের প্রতিক্ষায় দিন গুনবো এবং সবুর করতে না পারবো তখন নিশ্চই বিদ্রোহ শুরু হবে। আর মূলাগুলো খাওয়ার চেষ্টা করবো ঠিক তখনই মালিক আর ব্যবসায়ী মহাজনের বান্ধা লাঠিয়াল দিয়ে জোর করে আমাদের মুখে ঠুসি পরিয়ে বিদ্যুতের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখার আপ্রান চেষ্টা করবেন। যেমন বদ্ধঘরে একজন সুন্দরী তরুণীকে যেভাবে কয়েকজন কুকুর অস্ত্রের মুখে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে আর নিরুপায় তরুণীটি যুদ্ধ করে বারবার হেরে যায়, চিৎকার করে। তখন নিশ্চই কোন উপায়ন্তর না পেয়ে এই জনগন স্বদেশীদের মতো করে নিজের জীবনকে বায়ান্ন তাসের মতো বাজি রেখে গুপ্ত ঘরে চলে যাবে। আর জলের গভীরে লুকিয়ে রাখা বাক্্রটির ভেতরে লুকিয়ে রাখা ভ্রমরকে হত্যা করার চেষ্টা করবে আর অমনি নাটের গুরু রাবনদের জীবনের অধ্যায় শেষ হবে। আর তা না হলে সব থেকে বড়ো উচিৎ হবে যে, পুকুরে যেমন রাক্ষস মাছ মেরে ফেলার জন্য বিষ প্রয়োগ করে ঠিক তেমনি এদেশে বিশুদ্ধ বীজ বোপন করতে হলে আগে প্রয়োজন জলাশয়ের মাছের মতো করে সমস্ত দেশের কীট মানুষকে একেবারে হত্যা করা অথবা বিষটোপ দিয়ে জীবানুমুক্ত করা, তারপরেই নতুন মাছের আবাদ। এরপরও যদি আমরা মাছের গায়ে ফোস্কা পড়তে দেখি তাহলে বুঝতে বাকি থাকবে না যে, কোন কালে বা লক্ষ লক্ষ বছর আগে এই মাটিতে হয়তো বা কোন পাপের ফসলের আবাদ হয়েছিলো যার ভূতুর্কি এখন আমাদের দিতে হচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ রাত ৯:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




