বিঃ দ্রঃ-এই মত কারো উপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য নয়। শুধু নিজের বিবেককে প্রশ্ন করে দেখুন, আপনি যা করছেন তা কি ঠিক করছেন কিনা।
ভারতকে বধ করে আমরা এখন ফাইনালের স্বপ্নে বিভোর। কিন্তু সেই স্বপ্ন ঝুলে আছে অনেকগুলো যদি কিন্তুর উপর। আগামীকালের ম্যাচে ভারতের হার আর পরের ম্যাচে যদি আমরা শ্রীলংকার সাথে জিতে যাই তাহলে ফাইনাল আমাদের। শ্রীলংকার সাথে জিততে না পারলেও ভারতের হারে আমাদের রাস্তা থাকবে ফাইনালের। সে ক্ষেত্রে লংকার সাথে বড়ো ব্যবধানে হারা চলবেনা আমাদের। আর কাল ভারত যদি জিতেই যায়, তাহলে লংকাকে হারানো ছাড়া আর কোনো রাস্তা থাকবেনা। তার মানে হলো, কালকের ম্যাচের দিকে চেয়ে থাকতে হচ্ছে আমাদের।
এখন বলি কেনো এই পোস্টের অবতারণা। ভারত-পাকিস্থান ম্যাচ মানে বাংলাদেশের জন্য আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ম্যাচের উত্তাপ। আর আমরা হুজুগ পাগল জাতি, যতোটা না ভারত কিংবা পাকিস্থান তাদের খেলা নিয়ে মাতামাতি করে, তার চে ঢের বেশি উন্মাদ হয়ে যাই আমরা বাঙালরা। আফ্রিদি ম্যারি মি, পাকিস্থান জিন্দাবাদ কিংবা ইস্ট অর ওয়েস্ট ইনডিয়া ইজ দ্যা বেস্ট, শচীন ১০টেন্ডুলকার এই সমস্ত প্ল্যাকার্ড বাংলার দর্শকদের হাতে শোভা পায়। এমনকি চাঁদ তারা খচিত পতাকা হাতে নিয়ে গ্যালারীতে বসতেও আমরা দ্বিধা করিনা।
যারা এই কুকর্মগুলো করেন, তাদের অবগতির জন্য বলি, পৃথিবীতে আমরাই একমাত্র জাতি, যারা অন্য দেশের পতাকা নিয়ে এই নির্লজ্জ আস্ফালন করি। কেউ কেউ আবার এক কাঠি সরেস, ভারত কিংবা পাকিস্থানের পতাকা উড়ানোকে জায়েজ করার জন্য সাথে ছোট্ট করে বাংলার পতাকা লাগিয়ে নেন।
আপনাদের মনে যদি বিন্দুমাত্র দেশপ্রেম অবশিষ্ট থাকে, তাহলে দয়া করে এ সমস্ত কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকুন। কালকের ম্যাচে সমীকরন মাথায় রেখে আমাদেরকে পাকিস্থানকে সাপোর্ট করতে হবে। তবে সেটা যেনো ওই সমীকরণ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে। নিশ্চিত করে বলতে পারি, ছাগু সম্প্রদায় ওই সমীকরণের দোহাই দিয়ে কালকে গ্যালারী চাঁন-তারায় রাঙ্গিয়ে দেবে। সেটা যদি হয়, তাহলে কালকে গ্যালারীতে লংকা-কান্ড হয়তো বেধেই যাবে।
আর আমাদের সাকিব তো বলেই দিয়েছেন, কারো উপর নির্ভর করে নয়, নিজেদের যোগ্যতা দিয়েই ফাইনাল খেলতে চান।
কোনো ভাদা বা পাদা যেনো গ্যালারীতে আস্ফালন না করে, সেটা বাংলার জনগনই দেখবে। ভালো থাকেন সবাই।