এক নজর দেখেই বলে দেওয়া যায় ছেলেটি দুষ্টুর শিরোমণি।
ওর ঘাড়ের রোয়াগুলো খাড়া। শক্তপোক্ত শরীর। কোঁকড়ানো চুল। গায়ে প্রচণ্ড জোর। ভয়-ভাবনাহীন বুদ্ধিদীপ্ত চোখে দুষ্টুমির পূর্বাভাস।
আমি নিজেই ওর খপ্পরে পড়ে গিয়েছিলাম একবার।
ডান বাম কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। পায়ের জোরে কোনোমতে বাড়ি ফিরতে পেরেছিলাম। কিন্তু গায়ের জোরে ফেল। দেখতে দেখতে একশ চার ডিগ্রি জ্বর। কাঁথার তলে শুয়ে আবোল-তাবোল বকছি।
ট্যাবলেটে কাজ হয় না। বৈদ্য এসে মন্তর পড়ে ফুঁ দিল, তাতেও কিচ্ছু হলো না। তারপর পুরান ঝাড়ূ আর নিমের ডালার বাড়ি পড়লো পিঠে। এবার কাজ হলো কিন্তু শরীর ফুলে ঢোল। টনটনে ব্যথা। বেশ করে ভোগলাম। আড়াই দিন।
জ্বর নেমে গেল। মাথাটাও খুলল। তারপর বুঝতে পারলাম, কি সাংঘাতিক বিচ্ছুর কবলে পড়েছিলাম আমি!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫২