গণিত স্যারের মার খেয়েছে যারা
মানুষ হয়ে দেশ সেবিছে তারা
এ বিশ্বাসে চলছে মারের ধারা
চলছে সাথে মানুষ হবার তাড়া।
একটি ছেলে পড়া লেখায় কাঁচা
বলছে মাকে আমায় তোরা বাঁচা
চোখ কান রাখছি বইয়ের পাতায়
কোন কিছু ঢুকছে না যে মাথায়।
বাবা-মায়ের চিন্তা হল শুরু
পাবে কোথায় এমন কোন গুরু;
অঘুম চোখে ভাবছে সারা রাত
দুঃখে-শোকে করছে বারিপাত।
হঠাৎ তারা পেল গুরুর খবর
ছেলে এবার মানুষ হবে জবর
যেতে হবে গণিত স্যারের বাড়ি
মানুষ হবে খেলে বেদম বাড়ি।
ছেলে নিয়ে যাত্রা হলো শুরু
ভয়ে ছেলের বুকটা দুরু দুরু
টেনে হ্যাঁচড়ে নিতেই স্যারের ধার
শুরু হলো গণিত স্যারের মার।
মারের ঠ্যালায় দিশেহারা ছেলে
লাফিয়ে উঠে গায়ের কাপড় ফেলে
নড়িসনা বাপ, চুপটি করে থাক
সারের মারে দেখছিনা তো ফাঁক।
হঠাৎ ছেলে উঠলো ভীষণ ক্ষেপে
বেহুঁশ হয়ে স্যারকে ধরে চেপে
লাঠি হাতে উচিয়ে ছেলে কয়
দেখবি এখন মানুষ কারে কয়!
ওল্টে পুল্টে লম্ফ মেরে পালায়
বলছে একি! পড়ছি ভীষণ জ্বালায়
গায়ের যত শক্তি ঢেলে পায়ে
ছুটলো স্যার জীবন বাঁচার দায়ে।
জুতো জামা ছিল যা তার গায়
শরীর থেকে খসে পড়ে যায় !
স্যারের পেছন বিদ্রোহী সে ছেলে
উর্দ্ধশ্বাসে ছুটছে লাঠি মেলে।
বাড়ি নিয়ে যেই দিয়েছে ছেড়ে
মুগুড় হাতে এলো ভীষণ তেড়ে
ছোরা নিয়ে করতে আসে জবাই
পায়ের জোরে পালিয়ে বাঁচে সবাই।
কিন্তু যাদের পা ছিল না মোটে
ঘরের জিনিষ কেমন করে ছোটে,
মুগুড় হাতে ভাংলো হাঁড়ি পাতিল
এই ছেলেটার জীবনটাই বাতিল!!