somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১৫ বছরের সঙ্গিকে চির তরে ত্যাগ করলাম। X(

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই দীর্ঘ সময়ে বেশ কয়েকবার মনে প্রাণে চেষ্টা করেছি ত্যাগ করার জন্য পারিনি। ১৫ বছরে ১৫০ বারেরও বেশি ব্রেক আপের চেষ্টা করেছি কিন্তু প্রতিবারেই চুড়ান্ত ভাবে ব্যর্থ হয়েছি । আর ভুল হবেনা। কারণ এবার সু-স্পষ্ট ভাবে জেনেছি কাজটি হারাম।
-----
-----
-----
----
-----
-----

জি ভাই আমি ধূমপানের কথা বলছি। সকল চেষ্টা যখন ব্যর্থ তখনই জানলাম ধূমপান হারাম। প্রাসঙ্গিক কোরআন ও হাদিসের দলিল দ্বারা এটা প্রমাণিত যে, "রাসুলে পাক হযরত মোহাম্মাদ ( সাঃ) এর সময় কালে যদি এই তামাক বস্তুটির আবির্ভাব ঘটতো তাহলে নবীজি নিশ্চয়ই তা নাম ধরে হারাম ঘোষনা করতেন" তাই আর দেরি করলাম না তাৎক্ষণিক ভাবে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমা চেয়ে তওবা করে নিলাম।

আমি জানি অনেক ভাই আছেন যারা ধূমপান বিরোধী লেখা পড়তেও চান না জানতেও চান না। আমিও এতদিন এমনটিই করে এসেছি।
তাই সকলের নিকট অনুরোধ লেখা ও ভিডিও গুলোর মধে থেকে একটি হলেও পড়ুন অথবা দেখুন।

আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে আমল করার তৌফিক দিন আমিন।

ধূমপান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়া- IREF (পিডিএফ ডাউনলোড)
এ গ্রন্থে ধুমপান- বিড়ি-সিগারেট, তামাক, কল্কি সেবন সম্পর্কিত হারামাইন শরীফাইনের আলেমগণের বিবিধ ফতোয়া সংকলন করা হয়েছে। তাছাড়া এ বিষয়ে গ্রহণযোগ্য আল-আযহার শরীফের আলেমগণের বিভিন্ন ফতোয়াও নিয়ে আসা হয়েছে।

Dhumpan Shaikh Motiur Rahman Madani - YouTube


সংগৃহিত কয়েকটি সংক্ষিপ্ত লেখাঃ


ধূমপান হারাম নাকি মাকরুহ ?


ধূমপান শব্দটি কুরআনে সরাসরি নাই হাদিসেও সরাসরি নাই। আল্লাহ্‌র নবীর যুগে কেও বিড়ি/সিগারেট খাইতনা ছিলইনা এইটা আমাদেরকে বের করতে হবে এইটা নিতিমালা আছে নিতিমালা দিয়ে। এখন কুরআনের নিতিমালা তালাশ করলে যে কেও দেখবে যে ধূমপান সম্পূর্ণ হারাম এটা অনেকেই না বুজে বলে মাকরুহ !

আসেন কুরাআন দেখি…

সিগারেটের গায়ে লিখা থাকে ধূমপানে মৃত্যু ঘটে ধূমপান শাস্ত্যের জন্য ক্ষতিকর এগুলো সবই সীকৃত।

আল্লাহ তা আলা বলছেন :”" আর তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। “”{সুরা নিসা ২৯}

আল্লাহ দয়া করে একটি দেহ দিয়েছেন একে ধ্বংস করা হারাম করে দিয়েছেন ।আত্মহত্যা সে জন্য হারাম কারণ দেহের মালিক আল্লাহ আমরা শুধু মাত্র ব্যাবহার কারী এটার ক্ষতি করার অধীকার আমাদের নেই এখন দেহের ক্ষতি করা যেহেতু হারাম সে জন্য ধূমপান করা হারাম।

এছাড়াও,

"তোমরা নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না। আর মানুষের প্রতি অনুগ্রহ কর। আল্লাহ অনুগ্রহ কারীদেরকে ভালবাসেন। "{সুরা বাকারা ১৯৫}

কাজেই এটা সরাসরি আল্লাহ্‌র নির্দেশ তোমরা নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না ধূমপানকারী নিজের জীবনকে মৃত্যুর দিখে ঠেলে দিচ্ছে এটা সরাসরি আল্লাহ্‌র হুকুমের লঙ্গন অথএব এটা হারাম।

তাদের (মুমিনদের) জন্য যাবতীয় পবিত্র বস্তু হালাল ঘোষনা করেন ও নিষিদ্ধ করেন হারাম(ক্ষতিকারক) বস্তুসমূহ {সুরা আরাফ ১৫৭}যেহেতু ধূমপান ক্ষতিকর সেহেতু ধূমপান হারাম।

এমনি ভাবে পিয়াজ রসূন(কাঁচা) খেয়ে মসজিদে আসা নিষেধ আছে পিয়াজ রসূনের ঘন্ধ কতটুকু হাদিসে পরিষ্কার বলা আছে যাবের ইবন আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত রাসুল সাঃ বলছেন যে ব্যাক্তি এই সবজিটি খায় সে যেন আমাদের মসজিদের কাছেও না আসে নিশ্চই ফেরেশতাঁরা কষ্ট পায় সে জিনিষ এ যে জিনিষ এ মানুষ কষ্ট পায় {সহিহ মুসলিম শরিফ}।

ধূমপান কারীর কাছে অধূমপায়ীরা যেমন কষ্ট পায় ফেরেশতারাও কষ্ট পায় তাহলে তার ইবাদত’তো পরে তাকে তো বলাই হয়েছে সে যেন মসজিদের কাছেও না আসে।

তারপর মৃত্যুর সময় যারা ইস্তেকামত থাকে তাদের সঙ্গে ফেরেশতাঁরা থাকে এখন যদি ধূমপান কারীর কাছে ফেরেশতারা আসতে না পারে তাহলে কি হবে শয়তান আসবে এজন্য ধূমপান কারী বে-ইমান হয়ে মারা যাবার আসঙ্কা খুব বেশি কারণ তাদের কাছে রহমতের ফেরেশতা আসতে পারেননা শয়তান থাকে গ্রাস করে নিবে।

এরপর ধূমপান কারীর নাক মুখ দিয়ে ধূয়া বের হয় আর নাক মুখ দিয়ে ধূয়া বের হবে জাহান্নামিদের দোজখে যারা যাবে আর যে ব্যাক্তি দুনিয়েতে বসে জাহান্নামিদের সঙে সাদৃস্যতা পালন করলো তার স্থান জাহান্নামেই হবে।

রাসুল সাঃ বলছেন যে ব্যাক্তি যার সঙে মিল রাখে সাদৃস্যতা রাখে কিয়ামতে সে তার সাথেই উঠবে {সুনানে আবু দাওদ}।

এরপর ধূমপান কিয়ামতের একটি আজাবের লক্ষণ সুরা দূখান এই নামেই নাম দূখান মানেই ধূয়া কিয়ামতের আগে আকাশ ধূয়ায় ছেয়ে যাবে

আল্লাহ তা আলা বলেনঃ অতএব আপনি সেই দিনের (কিয়ামতের) অপেক্ষা করুন, যখন আকাশ ধূয়ায় ছেয়ে যাবে। {সুরা দূখান ১০}

আর এই লোকগুলো কিয়ামতের লক্ষণ/আলামত সে পাণ করছে {আল্লাহ মাফ কর}

এরপর ধূমপানকারী ধূয়া/আগুন প্রবেশ করায় আগুন কি মুসলমানদের খাদ্য না অখাদ্য এইগুলা হারাম এজন্য এগুলা বর্জন করা মুসলিমদের জন্য অবশ্যই কর্তব্য।
---------- শায়খ জসিমুদ্দীন রাহমানী


ধুমপান করা হারাম

ইসলাম তার অনুসারীদের জন্য ধুমপান করাকে হারাম করেছে। কিন্তু এ নিয়ে সমাজের অনেকের মধ্যে কিছু দ্বিধা বা সংশয় কাজ করে। তাই এই নিবন্ধে ধুমপান হারাম হওয়ার কারণ গুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করবো ইনশা আল্লাহ।
(১) ধুমপান করা হারাম । কারন ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ... ক্ষতিকর, ধুমপানে মৃত্যু ঘটে, ধুমপানে ষ্ট্রোক হয়। আর এটা আত্মহত্যার শামিল। আর নিজেকে নিজে হত্যা করা সম্পূর্ণ হারাম।

রশাদ হচ্ছে- وَلا تَقْتُلُوا أَنْفُسَكُمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا (سورة النساء: ۲۹) অর্থ ঃ- আর তোমরা নিজেরা নিজদেরকে হত্যা করো না। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে পরম দয়ালু। (সুরা:নিসা:২৯)

وَلا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ وَأَحْسِنُوا إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
অর্থ ঃ- এবং নিজ হাতে নিজদেরকে ধক্ষংসে নিক্ষেপ করো না। আর সুকর্ম কর। নিশ্চয় আল¬াহ সুকর্মশীলদেরকে ভালবাসেন। (সুরা:বাক্বারা: ১৯৫)

(২) ধুমপান করা অপচয়, যারা অপচয় করে তারা শয়তানের ভাই।

وَلَا تُبَذِّرْ تَبْذِيرًا. إِنَّ الْمُبَذِّرِينَ كَانُوا إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ وَكَانَ الشَّيْطَانُ لِرَبِّهِ كَفُورًا. অর্থ ঃ- আর তেমরা অপচয় করো না। নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। আর শয়তান তার রবের প্রতি খুবই অকৃতজ্ঞ। (সুরা ; বনী ইসরাঈল : ২৭)

সুতরাং যে কাজ করলে মানুষ শয়তানের ভাই হয়ে যায় সে কাজটি অবশ্যই হারাম।

(৩) ধুমপান একটি নিকৃষ্ট কাজ, আর এ ধরনের কাজকে হারাম ঘোষনা করাই আল্লাহর রাসুলের (সাঃ) অন্যতম দায়িত্ব।
ইরশাদ হচ্ছে। وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَائِثَ (سورة الأعراف : ১৫৭) অর্থ ঃ- এবং তাদের জন্য উত্তম বস্তু হালাল করে আর নিকৃষ্ট বস্তু হারাম করে। (সুরা : আ’রাফ : ১৫৭)

(৪) কোন মানুষকে কষ্ট দেয়া হারাম।

عن جابر قال قال رسول الله : من اكل من هذه قال اول مرة الثوم ثم قال الثوم والبصل والكراث فلا يقربنا في مساجدنا- هذا حديث حسن صحيح অর্থ:- জাবের থেকে বর্ণিত রসুল (সাঃ) বলেছেন: যে ব্যক্তি কাচা পেয়াজ, রসুন, র্কুরাছ (দুর্গন্ধময় এক জাতিয় খাবার) খাবে সে যেন আমাদের মসজিদের নিকটেও না আসে। (তিরমিজি) সুতরাং ধুমপানের দুর্গন্ধ অধুমপায়ীদের জন্য আরো বেশী কষ্টকর। তাই ধুমপান করাও হারাম।

(৫) ধুমপানকারী বেঈমান হয়ে মারা যাওয়ার আশংকা আছে। عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ النَّبِىِّ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ ্র مَنْ أَكَلَ مِنْ هَذِهِ الْبَقْلَةِ الثُّومِ – وَقَالَ مَرَّةً مَنْ أَكَلَ الْبَصَلَ وَالثُّومَ وَالْكُرَّاثَ – فَلاَ يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا فَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ تَتَأَذَّى مِمَّا يَتَأَذَّى مِنْهُ بَنُو آدَمَ গ্ধ. صحيح مسلم للنيسابوري অর্থ:- জাবের থেকে বর্ণিত রসুল (সাঃ) বলেছেন: যে ব্যক্তি কাচা পেয়াজ, রসুন, র্কুরাছ (দুর্গন্ধময় এক জাতিয় খাবার) খাবে সে যেন আমাদের মসজিদের নিকটেও না আসে। কেননা মানুষ যাতে কষ্ট পায় ফেরেস্তারাও তাতে কষ্ট পায়। (মুসলিম)। অতএব, ধুমপায়ীর নিকট আল্লাহর রহমতের ফেরেস্তারা আসবে না। সুতরাং মৃত্যুর সময় শয়তানের খপ্পরে পরে বেঈমান হয়ে মারা যাবে। (সহীহ মুসলিম, ২/৮০)
ধুমপানকারীগন বাথরুমে গিয়েও ধূমপান করে। বাথরুমের দুর্গন্ধ আর ধুমপানের স্বাদ মিলিয়ে খায় বলেই সিগারেটের বিজ্ঞাপনে লেখা থাকে “স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়।” অথচ বাথরুম মল-মূত্র ত্যাগ করার জায়গা খাবার জায়গা নয়।

(৬) ধুমপানকারী জাহান্নামীদের সাথে সাদৃশ্যতা রাখে। কারণ জাহান্নামীদের নাক-মুখ দিয়ে ধোঁয়া বের হবে। عن ابن عمر ، قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : (من تشبه بقوم فهو منهم) . سنن أبي داود অর্থ:- ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্নিত রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাথে সাদৃশ্যতা রাখে সে ঐ সম্প্রদায়েরই একজন। (সুনানে আবু দাউদ)। সুতরাং ধুমপানকারী জাহান্নামীদের সাথে মিল রাখার কারনে সে নিজেও জাহান্নামীদের একজন। আর যে কাজ করলে মানুষ জাহান্নামে যায় সে কাজটি হারাম।

(৭) ধোঁয়া আল্লাহর আযাব তথা কিয়ামতের লক্ষন। ইরশাদ হচ্ছে। يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ অর্থ:- যেদিন স্পষ্ট ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হবে আকাশ। (সুরা দুখান:১০) ধুমপানকারীগন নাক-মুখ দিয়ে ধোয়া বের করে আল্লাহর গযব কেই আহবান করে।

(৮) ধুমপানের কারনে মানুষের বিবেক-বুদ্ধি লোপ পায়। অথচ আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান বুদ্ধি সংরক্ষন করা ফরজ। নষ্ট করা হারাম। এই কারনেই মদকে হারাম করা হয়েছে। কারণ তা মানুষের বিবেক-বুদ্ধি নষ্ট করে দেয়।

(৯) ধুমপানের কারনে ধুমপানকারীর ঠোটের সৃষ্টিগত রূপ বিকৃত হয়ে যায়, আর কোন অঙ্গ ইচ্ছাকৃত ভাবে বিকৃত করা হারাম। এবং উহা শয়তানের কাজ। وَلَأُضِلَّنَّهُمْ وَلَأُمَنِّيَنَّهُمْ وَلَآمُرَنَّهُمْ فَلَيُبَتِّكُنَّ آذَانَ الْأَنْعَامِ وَلَآمُرَنَّهُمْ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللَّهِ وَمَنْ يَتَّخِذِ الشَّيْطَانَ وَلِيًّا مِنْ دُونِ اللَّهِ فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا مُبِينًا. অর্থ:- ‘আর অবশ্যই আমি তাদেরকে পথভ্রষ্ট করব, মিথ্যা আশ্বাস দেব এবং অবশ্যই তাদেরকে আদেশ দেব, ফলে তারা পশুর কান ছিদ্র করবে এবং অবশ্যই তাদেরকে আদেশ করব, ফলে অবশ্যই তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবে’। আর যারা আল্লাহর পরিবর্তে শয়তানকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে, তারা তো স্পষ্টই ক্ষতিগ্রস্ত হল। (সুরা নিসা:১১৯)

(১০) ধুমপানের কারনে ধুমপানকারীর অভ্যন্তরে ধোঁয়া প্রবেশ করে আর ধোঁয়া আগুন থেকে সৃষ্টি আর আগুন ভক্ষন করা হারাম। নিশ্চই আল্লাহ তায়ালা আমাদের খাবারের জন্য আগুন সৃষ্টি করেন নাই।
এটি ইমেল করুনএটি ব্লগ করুন!Twitter-এ ভাগ করুনFacebook-এ ভাগ করুন
সংগৃহিত


ধূমপান কেন হারাম?
১. মুসলমানদের জন্য খাদ্যদ্রব্য দুই প্রকার। হালাল আর হারাম। এর বাহিরে কিছু নেই। আল্লাহ বলেন, “তিনি (আল্লাহ) তাদের জন্য পবিত্র ও ভাল বস্তুকে হালাল করে দেন, আর খারাপ বস্তুকে করেন হারাম”।
(সূরা আরাফঃ ১৫৭) সিগারেট কি পবিত্র ও ভাল বস্তু? অবশ্যই এটা খারাপ বস্তু, আর উপরক্ত আয়াত দিয়ে আল্লাহ খারাপ বস্তুকে হারাম করেছেন।

২. আল্লাহ বলেন, “এবং খাও ও পান কর, কিন্তু অপব্যয় ও অমিতাচার করোনা। কেননা, আল্লাহ অপব্যয়কারীদের ভালবাসেন না?” (সূরা আরাফঃ ৩১) এই পৃথিবীর সবাই জানে, ধূমপান করা মানে টাকার অপচয় করা। এমন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ আছে কি যে সিগারেটকে অপচয় বলবে না? আর সকল অপচয় হারাম। ধূমপানের জন্য যে পরিমান অর্থ সারা পৃথিবীতে ব্যয় হয়,তা দিয়ে কোটি কোটি ক্ষুধার্ত ও দরিদ্র মানুষদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা যেত।

৩. সিগারেটের গন্ধ আশপাশের মানুষকে কষ্ট দেয়। এই গন্ধ যে কতটা অসহ্য তা শুধু অধূমপায়ীরাই বুঝে। ঘুম থেকে উঠার পরে একজন ধূমপায়ীর মুখে যে দুর্গন্ধ হয়,তা দুনিয়ার কোন বাজে গন্ধের সাথেও তুলনা করা যাবেনা। রাসুল (সঃ) বলেছেন,“যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাস রাখে সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়৷” (বুখারী) ধূমপানকারী তার ধুমপানের দ্বারা স্ত্রী-পরিজন, বন্ধু বান্ধব ও আশে-পার্শের লোকজনকে কষ্ট
দিয়ে থাকে৷ অনেকে নীরবে কষ্ট সহ্য করে মনে মনে ধূমপান কারীকে অভিশাপ দেন ৷ তাছাড়া বিভিন্ন গবেষনায়
দেখা গেছে, চেইন স্মোকারদের স্ত্রীদের ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা বেশি।

৪. মহানবী (সঃ) রসুন বা পেয়াজের গন্ধ নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন কেননা এই গন্ধ অন্য
মুসল্লিদের কষ্ট দেয়। আর সিগারেটের গন্ধ তো সেগুলো হতে কয়েক হাজারগুন বেশি কষ্টদায়ক।

৫. আল্লাহ বলেছেন,“তোমরা নিজেদের হত্যা করোনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তোমাদের প্রতি অতি দয়ালু। ” (সূরা নিসাঃ ২৯) রাসুল (সঃ) বলেছেন, “তোমার প্রতি তোমার শরীরের অধিকার আছে।”বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর ১০ লাখের বেশি মানুষ মারা যায় ধূমপানের কারণে। যারা ফুসফুসের ক্যান্সারে মারা যায়, তাদের মধ্যে ৯০% হল ধুমপানের কারণে। এছাড়া হৃদ রোগ, গ্যাস্ট্রিক আলসারসহ অনেক জীবননাশকারি রোগ
সৃষ্টি করে ধূমপান।এমনকি গর্ভবতী মায়েরা ধূমপান করলে তাদের বাচ্চাদের বিকলাঙ্গ হয়ে জন্মানোর সম্ভবনা অনেক বেশি থাকে। ইসলামে কখনো এভাবে নিজের বা মানুষের ক্ষতি করা সম্পূর্ণ হারাম।

৬. আল্লাহ বলেছেন,“এবং তোমরা নিজ হাতে নিজেকে ধ্বংসে পতিত করো না।”(সূরা বাকারাঃ আয়াত ১৯৫) ধূমপান ক্যান্সার, যক্ষা প্রভৃতির মত ধ্বংসাত্মক রোগের কারণ। ধূমপান নিজে নিজেকে ধ্বংস করে দেয়।

৭. ধূমপান যে বিষপান এটা সবাই একবাক্যে স্বীকার করে। এমনকি ইউরোপে একসময় এটাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং ধূমপানকারীকে শাস্তি প্রদানও করা হত। ইসলামে সকল বিষাক্ত জিনিস ভক্ষন করা নিষিদ্ধ। রাসুল (সঃ) বলেন,“যে ব্যক্তি বিষ পানে আত্মহত্যা করবে,সে জাহান্নামের আগুনের মধ্যে অনন্তকাল তাই চাটতে থাকবে। সেখানে সে চিরকাল অবস্থান করবে।” (সহিহ মুসলিম)

৮. আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জাহান্নামীদের খাদ্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন,“এটা তাদের পুষ্টিও যোগাবেনা ক্ষুধাও নিবারণ করবে না৷” (সূরা আল-গাশিয়াহ : ৭) ধুমপানের মধ্যে এ বৈশিষ্ট্যই রয়েছে যে তা পানকারীর পুষ্টির যোগান দেয় না, ক্ষুধাও নেভায় না৷ ধুমপানের তুলনা জাহান্নামী খাবারের সাথেই করা যায়৷

৯. বাস্তবতার আলোকে দেখা যায় এটা সমাজের ভাল মানুষের কাজ না। সমাজে যারা বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়ায় তাদের ৯৮% ভাগ ধূমপান করে থাকে৷ যারা মাদক দ্রব্য সেবন করে তাদের ৯৫% ভাগ প্রথমে ধুমপানে অভ্যস্ত হয়েছে তারপর মাদক সেবন শুরু করেছে৷ ধূমপান করা, বিক্রি করা ও তাকে উৎসাহ দেওয়া সম্পূর্ণ হারাম।

সংগৃহিত


সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৩
৪৭টি মন্তব্য ৪৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

লুঙ্গিসুট

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



ছোটবেলায় হরেক রঙের খেলা খেলেছি। লাটিম,চেঙ্গু পান্টি, ঘুড়ি,মার্বেল,আরো কত কি। আমার মতো আপনারাও খেলেছেন এগুলো।রোদ ঝড় বৃষ্টি কোনো বাধাই মানতাম না। আগে খেলা তারপর সব কিছু।
ছোটবেলায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

লিখেছেন নতুন নকিব, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:২৫

স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মত মুফতি তাকি উসমানী সাহেবের কিছু কথা

ছবি কৃতজ্ঞতা: অন্তর্জাল।

একবার শাইখুল হাদিস মুফতি তাকি উসমানী দামাত বারাকাতুহুম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হল, জীবনের সারকথা কী? উত্তরে তিনি এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×