ইদে মানুষের ঘরমুখো যাত্রার কয়েকদিন আগে কর্তাব্যক্তিদের বলতে শুনলাম – এবারও ইদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে। আমি সে কথা শুনে স্মৃতির বাড়ি গেলাম। সে বলল না গত কয়েকবছরে এমন ঘটনা ঘটে নাই। স্মৃতির বাড়ি থেকে ফিরে ভাবনার ঘরে গিয়ে বসলাম। ভাবনা বলল স্মৃতি যদি এ কথা বলে থাকে তাহলে কর্তা ব্যক্তিদের ইঙ্গিত কোন বছরের দিকে? কাছাকাছি কোন বছরে যাত্রীরা স্বস্তিতে বাড়ি যেতে পেরেছে? এরই মধ্যে কর্তাব্যক্তিদের ঘোষণা - ইদে যাত্রীদের দুর্ভোগ সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে। আমার মনেও স্বস্তি আসল। যা হোক কম দুর্ভোগে এবার ইদে বাড়ি যেতে পারব। কিন্তু ভাবনার কাছে বলতেই সে বলল এই সহনীয়তার মাপকাঠি কি? ভাবনার প্রশ্নে আমার টনক নড়ল। প্রতিদিন যেভাবে মানুষ বাসে, ট্রেনে, ট্রাকে, লঞ্চে গাদাগাদি করে বাদুর ঝোলা হয়ে যাচ্ছে টেলিভিশনে দেখতে পাই তাকে সহনীয় দুর্ভোগ বলা যায় কি? আবার বাস ট্রাকে ১০-১২ ঘণ্টা জ্যামে আটকে থেকে গরমে আলু সিদ্ধ হওয়াকে সহনীয় দুর্ভোগ বলা যায় কি? দুর্ঘটনায় হাত পা চোখ হারানোকে সহনীয় দুর্ভোগ বলা যায় কি? এই সহনীয় দুর্ভোগ স্বীকার করে ইদের আগের দিন বাড়ি যাবার কথা ভাবছি। সে সময় মনে হল বউকে ব্যাপারটা জানাই। বউকে জানাতেই বউ বলল এত কষ্ট করে আসার দরকার নেই। ইদের দিন বিকালে চলে আস।নইলে পরদিন আস। আরামে আসতে পারবে। কি লক্ষী বউ আমার।
ইদে ঘরমুখো যাত্রীদের দুর্ভোগ সহনীয় হোক বা না হোক আমার কিছু যায় আসে না। আমার বউটা ত সহনীয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫৭