হাসির বিভিন্ন উপকারিতা আজ প্রমানীত। শারীরিক, মানসিক, সামাজিক; সব ক্ষেত্রেই এই উপকারিতা বহুবিধ। এই পর্বে শারীরিক উপকারিতা নিয়ে কিছু কথা।
একটা ভালো, আসল হাসির পর ৪৫ মিনিট পর্যন্ত আমাদের বিভিন্ন পেশী শিথিল থাকে। হাসি আমাদের শরীরের স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরন কমায়, ইমিউন কোষ এবং বিভিন্ন সংক্রমন প্রতিরোধী এন্টিবডির সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হাসি শরীরে এন্ড্রোফিনের নিঃসরন বৃদ্ধি করে যা সাময়িক ব্যাথা উপশমকারী। রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে হাসি আমাদের হৃদপিন্ডকে অধিকতর কর্মক্ষম রাখে। এটা উচ্চ-রক্তচাপও কমায়। আশ্চর্য হলেও সত্যি, হাসি শরীরের ক্যালোরী পোড়ায়। না, এটা জিমের বিকল্প না, কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে দিনে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের হাসি প্রায় ৪০ ক্যালোরী পোড়ায় যা বছরে ৪/৫ পাউন্ড ওজন কমানোর জন্য যথেষ্ট।
উল্লেখ্য, নকল হাসির কোন উপকারিতা নাই। সুতরাং আসল হাসি হাসুন, সুস্থ থাকুন।
আপনাদের হাসানোর জন্য কিছু জোকস দিলাম, আশাকরি ভালো লাগবে।
শিক্ষকঃ তোমার ক্লাশে আসতে এতো দেরী হলো কেন?
ছাত্রঃ স্যার, রাস্তাতে একজনের একটা ৫০০ টাকার নোট হারিয়ে গিয়েছিল,
শিক্ষকঃ আচ্ছা, তুমি তাকে টাকাটা খুঁজতে সাহায্য করছিলে?
ছাত্রঃ জ্বী না স্যার, আমি টাকাটার উপর দাড়িয়ে ছিলাম।
নববর্ষের আগের দিন। রফিক হেটে যাচ্ছিল বনের ভিতর দিয়ে। ঘুটঘুটে অন্ধকার। হঠাৎ শােনা গলে অশরীরী আওয়াজ, ‘রফিক’।
রফিক: কে? কে কথা বলে?
অশরীরী: ভয় পেয়ো না। আমি ইচ্ছাপূরণ দৈত্য। আজ এই আনন্দের দিনে আমি তােমার একটি ইচ্ছা পূরণ করব। বলাে, কী চাও তুমি?
সাহস ফিরে পেল রফিক। বলল, আমার জন্য পুরাে বিশ্ব ভ্রমণ করে আসবে এমন একটা ট্রেন সার্ভিস চালু করে দাও, যেন আমি ঘুরে ঘুরে সব দেশের নববর্ষের উৎসব উপভােগ করতে পারি।
দৈত্য: এটা তাে খুব কঠিন একটা কাজ, তুমি বরং অন্য কিছু চাও।
রফিক: তাহলে আমাকে এমন ক্ষমতা দাও, আমি যেন যেকোনো মেয়ের দিকে তাকালে তার মন বুঝতে পারি।
দৈত্য: (একটু চিন্তা করে...) ট্রেন কি এসি, নাকি নন-এসি লাগবে?
মিলিটারি ট্রেনিং একাডমেীতে ট্রেনিং চলছে । অফিসার ক্যাডেট রফিককে জিজ্ঞেস করল, "তোমার হাতে এটা কি ?
রফিক: এটা বন্দুক, স্যার।
অফিসার: না! এটা বন্দুক না, এটা তোমার ইজ্জত, তোমার র্গব, তোমার মা হয়, মা। তারপর দ্বিতীয় ক্যাডেট শফিককে জিজ্ঞেস করল: তোমার হাতে এটা কি?
শফিক: এটা...........রফিকের মা, ওর ইজ্জত, ওর র্গব! আমাদের খালাম্মা হয়, খালাম্মা।
সম্পাদক: আপনি বলছেন এই কবিতাটা আপনার লেখা?
কবি: হ্যাঁ, এর প্রতিটা লাইন আমার নিজস্ব লেখা।
সম্পাদক: তা হলে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ, আপনি আমার প্রণাম গ্রহণ করুন।
রফিক আর শফিক দুই বন্ধু গাড়িতে করে যাচ্ছিল। রফিক পরপর দুবার লাল বাতি দেখেও গাড়ি না থামিয়ে দ্রুতগতিতে রাস্তা পেরিয়ে এলো।
শফিক: করছিস কী? লাল বাতি দেখেও তুই গাড়ি থামাচ্ছিস না!
রফিক: আমি আমার বাবার কাছে এভাবেই গাড়ি চালানাে শিখেছি।
চলতে চলতে কিছুক্ষণ পর চাররাস্তার সিগনালে সবুজ বাতি জ্বলতে দেখে রফিক গাড়ি থামাল।
শফিক: কী হলাে? এখন কেন গাড়ি থামাচ্ছিস?
রফিক: সামনের রাস্তা দিয়ে বাবা যাতায়াত করেন!
স্ত্রী: তুমি এক নম্বর অকম্মার ঢেকি।
স্বামী: এটা কিন্তু তুমি খুবই ভুল বললে। আমি এক থেকে তিন গুণবো, তার মধ্যে তুমি স্যরি বলব।
স্ত্রী: আর যদি এর মধ্যে স্যরি না বলি?
স্বামী: তাহলে তুমিই বলে দাও কত পর্যন্ত গুণবো!
ক্লাসে নতুন ছাত্র এসেছে।
শিক্ষক: খােকা, তােমার বাবা কী করেন?
ছাত্র: মা যা বলেন, তাই করেন!
এক ছাত্রের তৃতীয়শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় রচনা কমন পরে নাই। অগত্যা স্ব-জ্ঞানের উপর নির্ভর করে সে পরীক্ষার খাতায় একটা গরুর রচনা লিখলো, লেখাটি হুবহু তুলে দিলাম।
গরু রচনা
গরু একটি উপকারী প্রানী। গরুর ৪টি পা থাকায় কোন হাত নাই। গরুর ২টি চোখ, ১টি নাক, ২টি কান, কিছু দাত, একটি গাল এবং লেজের আগায় ও নাকে কিছু চুল আছে। গরুর মাথা থেকে সব গরুর গোসত, পাছার গোসত একটু দামী ও বুকের মাংস কম দামী হয়। গরু সাধারনত ৩ প্রকার হয়। বিবিন্ন গরু বেশী গরম হয় বলে নাকে নাকান লাগাতে হয়। বলদ গরু শানত হয় আর গাই গরু শুধু গরুর বাইচ্চা জনম দেয়। গাই গরু সাধারনত মেয়ে গরু হয়।
গরুর গোবর এবং পেশাব জমিকে উর্বর করে। গরু লোকসংখ্যা কমাতেও সাহাইয্য করে। কারন গরুর গোসত খেয়ে হার্ট এটেক, এসটোরক ও এলারজি হয়ে মানুষ মারা যায়। গরুর রিন আমরা কখনও শোধ করতে পারবো না। আল্লাহ সব গরুকে বেহেশতে নসিব করুক।
ইন্টারনেট থেকে সংকলিত
হাসির উপর ওষুধ নাই - ২
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৯:২৪