somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্ব রাজনীতিতে পরিবর্তনের সূরঃ একটা পর্যবেক্ষণ

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমার একটা অভ্যাস আছে। সময়-সুযোগ পেলেই আমি আমার পুরানো পোষ্টগুলোতে চোখ বুলাই। বিশেষ করে পোষ্টের মন্তব্যগুলো পড়ি। ঈদের ছুটিতে তেমনই কিছু চোখ বুলালাম। ২০২০ এর মাঝামাঝি আর ২০২১ এর শুরুর দিকে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি আর বিশ্বমঞ্চে আমাদের সাধের আম্রিকার মোড়লগিরি নিয়ে দু‘টা পোষ্টে আর মন্তব্যে কিছু কথা বলেছিলাম। আশা করি নাই যে, এতো তাড়াতাড়ি কিছু নমুনা দেখতে পারবো। সেসব নিয়েই আজকের পোষ্টের অবতারনা।

বিশ্ব রাজনীতিতে বড় বড় দু'টা ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছে। দু'টাই চলমান এখনও এবং আরো বহুদিন চলমান থাকবে নিঃসন্দেহে। আমি খুবই আগ্রহ নিয়ে বিষয়গুলো লক্ষ্য করছি। একটা এই দশকের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা, আরেকটা সম্ভবতঃ এই শতকের সবচাইতে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হতে চলেছে। আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম, এই দুই বিষয়ে ব্লগে কোন পোষ্টই নাই। অপেক্ষা করলাম, ভাবলাম কেউ না কেউ তো অবশ্যই দিবেন এই সূদুঢ়প্রসারী বিষয় দু'টা নিয়ে পোষ্ট। নিজে লেখার চাইতে সেখানে গিয়ে খানিকটা বাৎচিৎ করা আমার জন্য সুবিধাজনক। কিন্তু হা হতোস্মী! শেষে নিজেই কলম…….থুক্কু…….কি বোর্ড ধরলাম। না, রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে না। আগেই ইঙ্গিত দিয়েছি। ইয়েস…...মধ্যপ্রাচ্যে পট পরিবর্তন এবং বিশ্বে আমেরিকার আধিপত্য খর্ব নিয়ে। এবং অতি-অবশ্যই এই দু'টা একে অপরের সাথে সম্পর্কিত।

আমেরিকার সুপার পাওয়ার হওয়ার পিছনে প্রধান নিয়ামক দুইটা। একটা হলো তাদের ডলার, অন্যটা তাদের অস্ত্র। অবশ্য ডলারকেও তারা অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে। তবে, সেটাতে পরে আসছি। আগে মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে খানিকটা কচলা-কচলি করে নেই!

মধ্যপ্রাচ্যে সব সময়েই আমেরিকা সবচাইতে বড় খেলোয়াড়। তাদের আঙ্গুলী হেলনেই এতোদিন হয়ে এসেছে সব ঘটনা-দুর্ঘটনা। কিন্তু এবার সৌদি আরব আর ইরান তাদের দীর্ঘদিনের বৈরিতা ভুলে সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে, আর সেটা করছে আমেরিকার অনুপস্থিতিতে চীনের মধ্যস্থতায়। দারুন না বিষয়টা!!!

চলেন তাহলে দৃষ্টি ফেরাই মধ্যপ্রাচ্যে।

সাত বছর আগে সৌদি আরব আর ইরানের মধ্যে যে তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছিল, তার অবসান হয়েছে চীনের মধ্যস্থতায়। তারা আবার দূতাবাস খোলার প্রক্রিয়ায় আছে। দু'দেশের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু করছে; ফলে মধ্যপ্রাচ্যের ব্যালেন্স অফ পাওয়ারে বেশ বড় একটা পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। আসলে এতোদিন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া কোন বিকল্প ছিল না। ফলে মার্কিন খবরদারী তারা পছন্দ করুক আর না করুক, মানতে বাধ্য ছিল। এখন দিন পাল্টাচ্ছে আর তার প্রভাব দেখা দিতে শুরু করেছে মধ্যপ্রাচ্যে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা আমেরিকার কুটনৈতিক ব্যর্থতা। তারা চীনকে ভু-রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মনে করে তাইওয়ান ইস্যুতে শুধু নাক না, গোটা শরীর গলিয়ে দিয়ে তাদের ফোকাস মধ্যপ্রাচ্য থেকে এতোটাই সরিয়েছে যে, সেটা চীনকে এখানে প্রভাব বিস্তার করার একটা সূবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে। আমেরিকার ইলিনয় স্টেট ইউনিভিার্সিটির রাজনীতির অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, অতীতের তুলনায় মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার নিস্ক্রিয়তা আর চীনের সক্রিয়তা এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর পরিবর্তিত চিন্তাধারা এই পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করছে।

যুক্তরাষ্ট্র এখন মূল ভূমিকা পালন করছে বাহুবলীর, অপরদিকে চীন যেহেতু জানে এইক্ষেত্রে তারা সহসা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কুলিয়ে উঠতে পারবে না, তাই তারা মনোযোগ দিয়েছে অর্থনীতি আর কূটনীতির দিকে। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সরাসরি গ্যান্জামে না গিয়ে পরোক্ষভাবে তাদের প্রভাব কমানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছে। এখানেই বাইডেন ধরা খাচ্ছে শি জিনপিংয়ের কূটনীতির কাছে। এভাবেই বিশ্বমঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রকে দূর্বল করার মিশনে নেমেছে চীন।

ওদিকে ওমানের মধ্যস্থতায় সৌদি-ইয়েমেনের দীর্ঘ আট বছরের যুদ্ধ বন্ধ হচ্ছে। যদিও ওমান লাইম লাইটে, কিন্তু পেছন থেকে তাকে শক্তি যোগাচ্ছে ইরান। কারন কে না জানে, সৌদিদের ঘুম হারাম করে দেয়া হুথিদের মূল শক্তি হলো ইরান। ইতোমধ্যেই যুদ্ধবিরতী হয়েছে। আলোচনা চলছে ইয়েমেনের সমুদ্র বন্দরগুলো থেকে সৌদি অবরোধ তুলে নেয়ার।

কাতারের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে বাহরাইন। ইরানের সাথে দহরম মহরমের কারনে জিসিসি'র দেশগুলোর মধ্যে যে তিক্ততা হয়েছিল সেটা অবসানের সর্বশেষ পর্দা উঠছে এবার। সিরিয়াও শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছে। সব মিলিয়ে গোটা মধ্যপ্রাচ্যেই শান্তির সুবাতাস বইতে শুরু করেছে।

সম্প্রতি চীন-সৌদির তিন হাজার কোটি ডলারের চুক্তি, বাইডেনের বিগত সৌদি সফরে লাল গালিচা সম্বর্ধনা না দেয়া, অথচ শি জিনপিংকে সৌদি সফরে লাল গালিচা সম্বর্ধনা দেয়া, এসবই মধ্যপ্রাচ্য তথা আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের নজর কেড়েছে। এগুলো কিসের ইঙ্গিত? আপনারা হয়তো জানেন যে, সৌদি অপরিশোধিত তেলের প্রায় এক-চতুর্থাংশ চীন একাই আমদানী করে। অপরদিকে চীন পৃথিবীতে যতো বিনিয়োগ করেছে, তার প্রায় এক-পঞ্চমাংশ সৌদিতে করেছে। একেবারে উইন উইন সিচুয়েশান, কি বলেন!!

মধ্যপ্রাচ্যের এহেন পরিস্থিতি মহা চিন্তায় ফেলেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোড়া ইজরায়েলকে। ওস্তাদের মতো শিষ্যও ঘরে আর বাইরে বহুমুখী সমস্যায়। ওস্তাদের ঘরের সমস্যার উপরে আলোকপাত পরে করছি, আগে শিষ্যের ব্যাপারটা বলি। হামাস-ফাতাহ সমঝোতার কথাবার্তা চলছে। ইজরায়েল ভাবছে, এতোদিন শুধু হামাস রকেট মারতো, এখন হামাস আর ফাতাহ যদি একসাথে রকেট মারা শুরু করে তাহলে উপায়? আর তার সাথে লেবানন থেকে হেজবুল্লাহ যদি যোগ দেয়? ওদিকে সিরিয়ার সাথে তিউনিসিয়া আর সৌদির সম্পর্ক স্বাভাবিক হচ্ছে। আরব দেশগুলোকে ইরানের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দিয়ে আর ওস্তাদের মাধ্যমে আরবদের মধ্যে বিভক্তির কার্যক্রম চালু রাখার যেই ফায়দা তারা এতোদিন নিচ্ছিল বা নিতে চাচ্ছিল তা ভেস্তে যেতে বসেছে। দশের লাঠি একের বোঝা হয়ে তাদের কাধে চাপে কিনা তা নিয়ে টেনশান; তার উপরে আবার আভ্যন্তরীণ তুমুল সরকার বিরোধী আন্দোলন! মাথার ঘায়ে একেবারে কুত্তা পাগল অবস্থা!!!

এর সাথে মধ্যপ্রাচ্যের বাইরের আরেকটা বিষয় না বললেই না। আমেরিকার বিশ্বাসঘাতকতায় মুগ্ধ তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র ফ্রান্স এখন সূর বদলাচ্ছে। ফরাসী প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইউরোপকে আমেরিকার বলয় থেকে বেড়িয়ে এসে নিজেদেরটা নিজেদেরই বোঝা উচিত। ইউরোপের উচিত হবে না তাইওয়ানের ব্যাপারে নাক গলানো। তিনি আরো বলেন, ফ্রান্স ক্রীতদাসের মতো মার্কিন নীতি অনুসরণ করবে না।

এবার আসি ডলার প্রসঙ্গে। আমেরিকার সুপার পাওয়ার হওয়ার পেছনে যে ডলারের ভূমিকা অনস্বীকার্য, সেটাও আজ হুমকির মুখে। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধে রাশিয়ার জন্য পাতা গর্তে নিজেরাই পড়ে গিয়েছে আমেরিকা আর মিত্ররা। রাশিয়ার উপর বিভিন্ন অর্থনৈতিক অবরোধের কারনে শক্তিশালী হয়েছে রাশান রুবল আর চীনা ইউয়ান। যতোই দিন যাচ্ছে, আরো নতুন নতুন দেশ ডলার বাদ দিয়ে রুবল আর ইউয়ানের দিকে ঝুকছে। ফলে দিনে দিনে ডলারের গুরুত্ব কমছে, আর ইউয়ান আর রুবলের গুরুত্ব বাড়ছে।

বিশ্বের বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরব ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, চীন, দক্ষিন আফ্রিকা নিয়ে গঠিত জোট) এ যোগদানের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। গত বছর সৌদি তেলের উৎপাদন দুই শতাংশ কমানোর ঘোষণায় আমেরিকা কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই সৌদির এই আগ্রহ। তুরস্ক, ইরান, ইন্দোনেশিয়া, আর্জেন্টিনাসহ আরো অনেক দেশও এই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সৌদি আরব যদি ব্রিকসে যোগ দিয়েই ফেলে তাহলে মার্কিন অর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখে পড়বে মোটামুটি সুনিশ্চিত। যদি তাই হয়, আর ব্রিকস মুদ্রা বাজারে চলেই আসে তাহলে বলতে গেলে পুরো বিশ্বকেই ডলারের বদলে ব্রিকস মুদ্রায় জ্বালানীর জন্য লেনদেন করতে হবে। আমরিকান ডলারের এই সম্ভাব্য পতনকে বলা হচ্ছে ডি-ডলারাইজেশান, যা ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা এটার জন্য বাইডেনের বেকুবীকে দায়ী করছেন। তাদের বক্তব্য হলো, একজন দূরদর্শী বিশ্বনেতাকে তার কাজের ইম্প্যাক্ট আগেই বুঝতে হবে। বাইডেন আর তার মিত্ররা যে বড় গলায় হাক-ডাক করে রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক অবরোধ জারী করেছিল; যতোই দিন যাচ্ছে, ততোই সেটা তাদের জন্য বুমেরাং হয়ে দাড়াচ্ছে। বাইডেনকে বাফুন (buffoon…..a ridiculous but amusing person; a clown) বলা হচ্ছে খোদ আমেরিকায়। অবরোধের ফলে রাশান রুবল যুদ্ধ শুরুর আগের চাইতে এখন বেশী শক্তিশালী হয়েছে। আরেকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। আমেরিকা কিছু হলেই যেভাবে তাদের ডলার-অস্ত্র দিয়ে বিভিন্ন বৈরী সরকারগুলোকে সাইজ করার ধান্ধা করে, ফেডারেল রিজার্ভে রাখা বিভিন্ন দেশের ডলার নিয়ে ব্ল্যাক মেইলিং করে; তাতে রাষ্ট্রগুলো তাদের রিজার্ভ কারেন্সীর ক্ষেত্রে ডলার বাদ দিয়ে বিকল্প খোজার প্রবণতা দিন কে দিন বাড়াচ্ছে। এটাও আমেরিকার মিডিয়ারই বক্তব্য। আর এসব কিন্তু বিশ্বের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অর্থনীতির দেশ না…….ব্রাজিল, ভারত, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, চায়নার মতো বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোও করছে।

এই ডামাডোলে আমাদের বাংলাদেশের কি অবস্থা? রাশিয়ার ঋণ চীনা মুদ্রায় শোধ করার সাহস সঞ্চয় করতে পারলেও রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় তেল কেনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। যেটা সম্প্রতি পাকিস্তান গ্রহন করার সাহস দেখিয়েছে। বাংলাদেশের এই ধীরে চলা নীতি কি একটু বেশীই ধীর না? ভারত তো আগে থেকেই রাশান তেল কিনছে। ফ্রান্স পর্যন্ত তরল গ্যাস বানিজ্যের ক্ষেত্রে চীনা মুদ্রা ব্যবহার করছে। এমনকি জাপানও রাশান তেল কিনছে। তাহলে?

আভ্যন্তরীণ সমস্যায়ও যুক্তরাষ্ট্র জর্জরিত। বিগত সরকারের বিদায়ের সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা, ব্যাঙ্কিং খাতে ধ্বস (এই বিষয়ে ব্লগার আমি তুমি আমরা চমৎকার একটা পোষ্ট দিয়েছেন), পেন্টাগনের গোপণ নথি ফাস জনগনের আস্থায় চিড় ধরিয়েছে। শেষ করছি আমেরিকান থিঙ্কট্যাঙ্ক ব্রাউনস্টোন ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট জেমস টাকারের আশংকা দিয়ে, ''আমেরিকানরা তাদের দেশের ঐতিহ্যগত মুল্যবোধ হারিয়ে ফেলছে। ফলে পৃথিবী জুড়ে তাদের আধিপত্যের সমাপ্তি দেখা দিতে পারে।'' এই ঐতিহ্যগত মুল্যবোধ বিষয়টা কি? সম্প্রতি প্রকাশিত ওয়াল স্ট্রীট জার্নালের এক জরীপে দেখা যাচ্ছে, দেশপ্রেম, ধর্ম এবং সন্তানধারনের মতো মুল্যবোধগুলোর গুরুত্ব ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। গত ২৫ বছরে দেশপ্রেমকে গুরুত্ব দেয়া নাগরিকের সংখ্যা ৭০% থেকে ৩৮% এ নেমে এসেছে। ধর্মকে আগে গুরুত্ব দিতো ৬২ শতাংশ আমেরিকান। এখন দেয় ৩৯ শতাংশ। আর শিশুদেরকে লালন-পালন করাকে অগ্রাধিকার দিতো ৫৯% মানুষ, যা এখন নেমে দাড়িয়েছে ৩০% এ। টাকারের মতে, মুল্যবোধের এই পরিবর্তন যদি অব্যাহত থাকে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের আগের গৌরব আর ফিরে পাবে না।

যতোটা সম্ভব সংক্ষেপে বর্তমানের পুরো চিত্রটা তুলে ধরার চেষ্টা করলাম, তারপরেও পোস্ট বড় হয়ে গেল। বিশ্বের ভু-রাজনৈতিক এই পট পরিবর্তন কতোটা দীর্ঘস্থায়ী অথবা টেকসই হবে, সেটা সময়ই বলে দেবে। কাজেই আপাততঃ গ্যালারীতে বসে খেলা দেখা আর পপকর্ণ চিবানো ছাড়া কোন গতি নাই। দেখতে থাকেন, কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়!!!

ছবিসূত্র।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০
২১টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×