বর্তমানে যে মিডিয়া সন্ত্রাস রাষ্ট্র পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে তা একেবারে অস্বীকার কেউ করতে পারবে না। মাসুদা ভাট্রি সেই মিডিয়া সন্ত্রাসের একটি নটী মাত্র। কথায় আছে চোরের মায়ের বড় গলা। মাসুদা ভাট্রির ক্ষেত্রেও তাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ সে নিজে পাকি বিয়ে করে বিলেতে নাগরিকত্ব নিতে চেয়েছিল কিন্তু পাকির কিছুদিন গুতা খেয়ে ব্যর্থ হয়ে তসলিমা নাসরিনের সাহায্য নিয়ে সে ব্রিটেনে নাগরিকত্ব লাভ করে। অথচ এই মাসুদা হচ্ছে এখন সবচেয়ে বড় চেতনাবাজ। চেতনাধারীদের আমি অবশ্যই সম্মান করি কিন্তু অতি চেতনাবাজদের ব্যাপারে আমি সকলের মত সন্ধিহান। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে বেশি চেতনাবাজ তার গায়ে ততবেশি পাকি প্রীতি দুর্গন্ধ।
সে যাইহোক অনেকের মত আমিও তসলিমা নাসরিনের আত্নজীবনী ক নিয়ে অনেক সমালোচনা করেছি। অনেকের মত না পড়েই শুধু শুনে শুনে সমালোচনা করেছি। কিন্তু বইটি পড়ার পর অনেকটা উপলব্ধি করেছি ব্যাপারটি। তবে আমি বলছিনা যে তার সব কথার সাথে আমি একমত। অনেক ভিন্নমত আছে কিন্তু বাস্তবতা তো মানতে হবে।
তসলিমা নাসরিন খুব দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে একজন নারীবাদী লেখক হয়েও অন্য একজন নারীর চরিত্র নিয়ে কথা বলছেন। কারণ পরিষ্কার চরিত্রহীনকে চরিত্রহীন বলা অন্যায় নয়।
তসলিমা নাসরিন বলেছেন ২০০৩ সালে আমার আত্মজীবনীর তৃতীয় খণ্ড 'ক' যখন বাংলাদেশে বেরোলো,আমি কেন নারী হয়ে দেশের এক বিখ্যাত পুরুষের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছি, আমি কেন নারী হয়ে নিজের যৌনতার কথা লিখেছি, সারা দেশের নারী-বিদ্বেষী আর ধর্মান্ধ মৌলবাদি গোষ্ঠি উন্মাদ হয়ে উঠলো আমাকে অপমান আর অপদস্থ করার জন্য, আমাকে অবিরাম অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালি তো দিতেই লাগলো, আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে শুরু করলো, সেই মিছিলে সামিল হলো মাসুদা ভাট্টি। আমার বিরুদ্ধে এ যাবৎ প্রচুর কুৎসিত লেখা লিখেছে লোকে, সর্বকালের সর্বকুৎসিত লেখাটি লিখেছে মাসুদা ভাট্টি। সবচেয়ে জঘন্য, সবচেয়ে অবিশ্বাস্য, সবচেয়ে ভয়ঙ্কর, সবচেয়ে নোংরা ,সবচেয়ে নিকৃষ্ট, সবচেয়ে বীভৎস সে লেখা। এত ভয়াবহ আক্রমণ আমার চরমতম শত্রুও আমাকে কোনওদিন করেনি। ক বইটি নাকি ল্যাম্পপোস্টের নিচে বসে শরীরে ঘিনঘিনে ঘা ওলা রাস্তায় পড়ে থাকা এক বুড়ি বেশ্যার আত্মরতি।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন হয়ত মাসুদাকে প্রকাশ্যে চরিত্রহীন বলায় নিজেকে অনেকের কাছে বিতর্কিত বিষয় করেছেন কিন্তু মাসুদা যে চরিত্রহীন এটা তো সত্য। কাহারও সাথে অবৈধ যৌনাচার করলে শুধু চরিত্রহীন বলা হয়না। মাসুদা কিন্তু ততটা বিব্রতবোধ করেনি যখন তাকে চরিত্রহীন বলেছিল। কিন্তু কি কারণে জানি ৫৫জন সাংবাদিক ও সম্পাদক মাসুদাকে অবৈধ যৌনাচারকারী মনে করেছেন।
কিছু তথাকথিত বিশিষ্ট এখন পুরুষ থেকে নারী হওয়ার জন্য উতলা হয়ে গেছে। পুরুষবাদী যদি ভাল না হয় তবে অবশ্যই নারীবাদীও ভাল নয়। কথায় বলবে নারী পুরুষ সমান আবার কোন পুরুষ কোন নারীর মুখোশ উন্মোচন করে তাকে পুরুষ বাদীর তকমা লাগাবে আবার কোন নারী যদি কোন পুরুষের মুখোশ উন্মোচন করে তাহলে কেন নারীবাদী অপবাদ দেওয়া হবে।
অতএব নারীবাদী পুরুষবাদী নয়। যে যতটুকু দোষী সে কথা বলুন। এখানে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মাসুদাকে চরিত্রহীন বলায় তথাকথিত নারীবাদীরা নারী লাঞ্ছনার কথা বলে বক্তব্য বিবৃতি দিচ্ছেন তারা কি পুরুষবাদীর অপর পিঠ হয়ে গেল না?
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:১১