রোযা অবস্থায় বমি হয়ে গেলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে কী না, এ ব্যাপারে ধর্মতাত্ত্বিকরা ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়েছেন।
মাযহাবের বিবরণ:
এক. ইমাম আওযাঈ, আতা ইবনে রাবাহ, আবু সাওর প্রমুখের মতে ইচ্ছাকৃত অথবা অনিচ্ছাকৃত ভাবে বমি হওয়ার কারণে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে।
দুই. ইমাম চতুষ্টয়, আবু ইউসূফ, মুহাম্মদ,হাসান বসরী,ইবনে সীরিন, সুফিয়ান সাওরী, ইবরাহীম,আলকামা, আমির শা"বী প্রমুখের মতে ইচ্ছাকৃত বমি করার কারণে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। অনিচ্ছাকৃত ভাবে বমি হওয়ার কারণে রোযা নষ্ট হবে না ।ইমাম তাহাভীর মত এটাই ।
আল্লামা শামী র. ফাতাওয়ায়ে শামীতে (খন্ড..২, পৃষ্টা..৪১৪) বমি সংক্রান্ত ২৪টি প্রকার বর্ণণা করেছে। তন্মধ্যে দুই প্রকারে সর্বসম্মতি ক্রমে রোযা নষ্ট হয়ে যায় ।
১.ইচ্ছাকৃত বমি করার কারণে।
২অনিচ্ছাকৃত ভাবে বমি হয়েছে তারপর গিলে ফেলার কারণে।
ইমাম তাহাভীর যুক্তি:
শরীরের কোন অঙ্গ হ'তে কিছু বের হওয়ার কারণে রোযা নষ্ট না হওয়ার ব্যাপারে সবাই একমত। সুতরাং বমি হওয়ার কারণে রোযা নষ্ট না হওয়াই
যুক্তিযুক্ত। কিন্তু, হুযুর সা. ইচ্ছাকৃত বমি করার কারণে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে বলে ইরশাদ করেছেন; বিধায়, ইচ্ছাকৃত বমি করার কারণে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। অনিচ্ছাকৃত ভাবে বমি হওয়ার কারণে রোযা নষ্ট হবে না।
সারসংক্ষপে:
রমযান মাসে দিনের বেলায় ইচ্ছাকৃত বমি করার কারণে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। অনিচ্ছাকৃত ভাবে বমি হওয়ার কারণে রোযা নষ্ট হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩৬