হয় শরীর সুস্থ রাখো, নয় চাকরিকে ‘আলবিদা’ বলো। হ্যাঁ, শরীর ফিট রাখতে এ বার এমনই দাওয়াই দিল এক চিনা সংস্থা। আধুনিক কর্মব্যস্ত লাইফস্টাইলে অফিস থেকে বাড়ি, আর বাড়ি থেকে অফিস, এই সময়টুকুর মধ্যে শরীরচর্চা করার পর্যাপ্ত সময় নেই মানুষের হাতে। অফিসে এসেও বেশির ভাগ সময়ই কাটে কম্পিউটারের সামনে, চেয়ারে বসে। যার ফলে আমাদের অজান্তেই শরীরের কোটরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগ। আর এর ফল হয় মারাত্মক। আজ হার্টের সমস্যা তো কাল শিরদাঁড়ায় ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, স্পনডেলাইটিস লেগেই রয়েছে। কিন্তু এ ভাবে কর্মীদের বেশির ভাগই অসুস্থ হয়ে পড়লে তো মুশকিল। তাই মুশকিল আসান করল খোদ কোম্পানিই।
চিনের বেশির ভাগ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাতেই কর্মীদের বহু ক্ষণ অফিসেই কাটাতে হয়। ফলে বাড়ি ফিরে শরীরচর্চার কোনও সুযোগই হয় না। তাই কর্মীদের সুস্থ রাখতে প্রতিদিন ১০,০০০ পা হাঁটার নিদান দিল এই সংস্থা। এই সংস্থায় কাজ টিকিয়ে রাখতে গেলে কর্মীদের রোজ ১০ হাজার পা অর্থাৎ ৮ কিলোমিটার হাঁটতেই হবে। আর যদি কোনও কর্মী এই নিয়ম না মানেন বা লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে না পারেন তা হলে তাঁকে ৫০ থেকে ১০০টা ‘পুশ-আপ’ দিতে হবে। নির্দেশ ঠিকমতো পালন করা হচ্ছে কি না তা দেখতে আস্ত একটা অ্যাপস বানিয়ে ফেলেছে ম্যানেজমেন্ট। উপায় না দেখে এখন চার চাকা, দু’চাকা, মেট্রো সব ছেড়ে অন্তত কিছুটা পথ হেঁটে অফিস আসা শুরু করেছেন এই সংস্থায় কর্মরত কর্মীরা। এমনকী লাঞ্চ টাইম বা অবসর সময়েও মোবাইল গেম বা ফেসবুকে মন না দিয়ে হাঁটতে বেরচ্ছেন তাঁরা!
বাংলাদেশের অফিস আদালতের মানুষের হাটার অভ্যাস কম, তাই প্রথম অবস্থায় চীনের অর্ধেক তথা ৫০০০ কদম বা ৪ কিলোমিটার হাটার বিধান রেখে আইন পাশ করার বিষয় বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে । এর ফলে অফিস আদালতের চাকুরী জীবিদের শরীর ফিট থাকবে , সরকারের ও কতৃপক্ষের কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় কমবে, অফিস আদালতে উপস্থিতি হার বাড়বে , সরকারী ও বেসরকারী যানবাহনের উপর চাপ ও ব্যয় কমবে, সর্বোপরি দেশের জন্য লাভই লাভ । জামের জন্য জন্য ঢাকায় এখন হেটে চলায় ও গাড়ীতে চলাচলে একই সময় লাগে বলে গাড়ীতে চলাচল করলে সময় সাস্রয় হবে এ কথা ধুপে টিকবেনা । অতএব গাড়ীতে করে অফিসে যাতায়াতের পক্ষে নো যুক্তি, দৈনিক ৫০০০ কদম হাটার জন্য আইন করার পিছনেই যুক্তি বেশী ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫২