প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ দেশের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে, এতে সরকার চাপে পড়বে, এটা পুষিয়ে নিতে জিনিসপত্রের দাম বাড়াবে, আর একবার দাম বাড়লে তা কি আর কমে?
একমাস দুইমাস দেশে টাকা না পাঠাইলে সরকার দেশ চালানোর জন্য ঋণ করবে, জনগণকেই সেই ঋণ পরিশোধ করতে হবে। প্রবাসীরা বড়জোর দুইমাস এই বয়কট চালাতে পারবেন, এই দুইমাস আপনার পরিবার মিতব্যয়ী হয়ে চললেও প্রশাসন কিন্তু যা বেতন ভাতা নেওয়ার সেটা নিবেই, তারা বেতন কম নেবে না, এতে যে আর্থিক সংকট দেখা দেবে তা পুষিয়ে নিতে ঋণ করা বা জিনিসের দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় নাই।
আর হুন্ডি মানেই তো দেশের টাকা পাচার, আপনি একলাখ টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দেশে পাঠালেন মানে দেশ থেকে একলাখ টাকা বের হয়ে গেলো, এটা টাকা পাচারে সাহায্য করা। আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে অনিয়মের বিরুদ্ধে, সেটা করতে গিয়ে অনিয়মের দোসর বনে গেলে তো লাভ বেশি হলো না।
মানে একদিকে যারা দূর্নীতি করতেছে আপনি তাদেরকে দূর্নীতিতে সহায়তা করতেছেন আবার তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতেছেন।
এইভাবে কিছুদিন চলতে থাকলে সরকার নড়েচড়ে বসবে, হুন্ডি ব্যবসায়ীদের ধরা শুরু করবে। তাদের ধরতে গোয়েন্দা লাগাবে। হুন্ডি রিস্কি হয়ে গেলে পরে ব্যবসায়ীরাও ভালো রেট দিতে পারবে না, অনেক হুন্ডি ব্যবসায়ী ধরা খাবে, ব্যবসায়ীরা ধরা পড়লে অনেকের কস্ট করে রুজি করা টাকা মরবে। ফলে আবার বৈধপথে টাকা পাঠানো শুরু করতে হবে, কিন্তু ততদিনে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে, হুজুগে বাংগালী হুজুগ বাদ দিয়া এইটু চিন্তা করেন, অন্যের যাত্রা ভংগের জন্য নিজের নাক কাটবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৯