ছবি সুত্র: ভোরের কাগজ
উত্তরের হিমালয় থেকে নেমে আসা যমুনা, পদ্মা ও ব্রক্ষপুত্র এর বাহিত পলি দিয়ে সাগর মোহনায় গড়ে উঠা ভোলা নামক দ্বীপটির জন্ম। আনুমানিক ১২৩৫ সালের দিকে গড়ে উঠা দ্বীবটিতে ১৩০০ সালের দিকে মানুষ চাষাবাদ শুরু করে। ১৫০০ সালের দিকে মগ পর্তুগিজ জলদস্যুদের নজর পরে এ দ্বীপটির ওপর। তারা এ দ্বীপটিকে ঘাঁটি বানিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে লুটপাট করে ভোলার আদি নাম ছিল শাহবাজপুর। র্বামার আরাকান রাজ্যের বর্গী ও মগরা দক্ষিন শাহবাজপুরের আশেপাশের দ্বীপকে ঘাঁটি বানিয়ে লুটপাট চালিয়ে এ দ্বীপের সাধারণ মানুষের মনে ভীতি সৃষ্টি করে রাখত। শুনেছি ঐ প্রেক্ষপট থেকেই নাকি ছড়া রচিত হয়েছে ‘খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দিব কীসে’ ? বার্মার আরাকান রাজ্যের বর্গী ও মগরা যখন আবার মাথা চারা দেয়ার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে ঠিক সেময়ে ভোলায় আরেকটি গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে।
ভোলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের কাছেই নতুন এই গ্যাসের সন্ধান মিলছে। বাপেক্স আবিষ্কৃত এই গ্যাসক্ষেত্রে ৭০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটা ভোলাবাসীদের জন্য তো বটেই সে সাথে এটা দেশের জন্যই সুসংবাদ। দেশ যখন গ্যাসসহ জ্বালানি সংকটে ভুগছে তখন গ্যাস মজুদের সন্ধান আশা বেশ জাগানিয়া । ভোলার এই নতুন গ আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র হতে উত্তোলিত গ্যাস দক্ষিণাঞ্চলে শিল্প স্থাপনের জন্য খুবই সহায়ক হবে । গ্যাসের ওপর নির্ভর করে দ্বীপজেলা ভোলায় দেশি-বিদেশি কোম্পানি বিনিয়োগে উৎসাহী হবে বলে আশা করা যায় । এর ফলে দেশের অনগ্ররমান জেলায় গ্যাসভিত্তিক শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে এবং সেখানে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়ে দেশের দারিদ্রতা নিরসনে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করবে । খুব শীঘ্রই এটি হতে গ্যা উত্তোলন হোক এ কামনাই করি ।
সংবাদ সুত্র : ভোরের কাগজ : Click This Link
তারিখ : অক্টোবর ২৫, ২০১৭
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৫৩