somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

পাখির নিরাপদ বাড়ী
বৃক্ষ সঙ্কটসহ অনুকূল আবহাওয়া আর মানুষের আন্তরিকতাবোধের অভাবে শ্যামল বাংলার বিভিন্ন প্রজাতির পাখি যখন কালের আবর্তে হারিয়ে যেতে বসেছে, ঠিক তখন পাখির অভয়াশ্রম গড়ে তোলার ব্যতিক্রমী দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার মামুন বিশ্বাস ও

পাখির অভয়ারণ্য গড়ছেন শাহজাদপুরের মামুন-ইমন

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

স্বপন চন্দ্র দাস, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট সিরাজগঞ্জ:
গ্রামে আর সন্ধ্যা ঘনাতেই আগের মতো ঝাঁকে ঝাঁকে নীড়ে ফেরা পাখির দেখা মেলে না।

নিত্য উষায় পাখির কুজনে ঘুম ভাঙে না, গ্রাম লাগোয়া কাশবনে কিচির-মিচিরও মিয়ম্রাণ হয়ে আসছে দিন দিন।

কি বুকের ছাতিফাঁটা গ্রীষ্ম, কি ঘোর বর্ষা, হাঁড় কাপানো শীত কিংবা বসন্ত, পাখির কলতানে আর মুখরিত হয় না গ্রাম।

আবার কি করে গ্রামের প্রতিটি বাড়ির গাছে, বনে কি জঙ্গলে ফিরিয়ে ‍আনা যায় দোয়েল, কোকিল, ফিঙে, চড়ুই, টিয়াসহ গ্রাম বাংলার সব পাখিকে।



এমন ভাবনা থেকেই নিজের গ্রামকে পাখির গ্রাম হিসাবে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেন গ্রামের দুই যুবক মামুন ও ইমন।

শুরুতেই গ্রামের মুরুব্বিদের অনেকেই ‍তাদের এ চেষ্টাকে পাগলামি অভিহিত করেছেন। সমবয়সীরা আড়ালে টিপ্পনী কেটেছেন, ব্যঙ্গ করেছেন। এখন তাদের সহায়তাতেই গ্রামকে পাখির অভয়ারণ্য হিসাবে গড়ে তোলার পথে এগিয়ে চলছেন পাখিপ্রেমী মামুন ও ইমন। এরইমধ্যে তাদের কাফেলায় পেয়েছেন পাখিপ্রেমী গ্রামের আরো কিছু তরুণ-যুবককে।

তাদের লক্ষ্য গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের বাহক নানা প্রকার বিলুপ্ত হতে যাওয়া পাখির জন্য নিরাপদ বাসস্থান তৈরির মাধ্যমে পাখির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি এবং গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা।

এমনই ব্যতিক্রমী চিত্র দেখা গেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের আগনুকালী গ্রামে।



এমন ভাবনা থেকেই নিজের গ্রামকে পাখির গ্রাম হিসাবে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেন গ্রামের দুই যুবক মামুন ও ইমন।

শুরুতেই গ্রামের মুরুব্বিদের অনেকেই ‍তাদের এ চেষ্টাকে পাগলামি অভিহিত করেছেন। সমবয়সীরা আড়ালে টিপ্পনী কেটেছেন, ব্যঙ্গ করেছেন। এখন তাদের সহায়তাতেই গ্রামকে পাখির অভয়ারণ্য হিসাবে গড়ে তোলার পথে এগিয়ে চলছেন পাখিপ্রেমী মামুন ও ইমন। এরইমধ্যে তাদের কাফেলায় পেয়েছেন পাখিপ্রেমী গ্রামের আরো কিছু তরুণ-যুবককে।

তাদের লক্ষ্য গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের বাহক নানা প্রকার বিলুপ্ত হতে যাওয়া পাখির জন্য নিরাপদ বাসস্থান তৈরির মাধ্যমে পাখির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি এবং গ্রাম বাংলার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা।

এমনই ব্যতিক্রমী চিত্র দেখা গেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের আগনুকালী গ্রামে।


পাখিপ্রেমী মামুন ও ইমনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ গ্রামে ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে পাখির অভয়াশ্রম। নিজেদের অর্থায়নে ও আরো ৪/৫ জনের সহায়তায় তারা পাখিদের জন্য জন্য গাছে-গাছে করছেন পাখির ঘর-সংসার।

এজন্য গত সাড়ে তিন মাসে তারা মোট ২৩৭টি গাছে মাটির কলস বেঁধে দিয়েছেন। দেশীয় পাখিগুলো যাতে ওই কলসে নিজ নিজ আশ্রয় খুঁজে নেয়। এরইমধ্যে এ কাজে বেশ সফলতা অর্জন করেছেন তারা।

বেশ কয়েকটি মাটির কলসে পাখিরা এসে বাসা বেঁধেছে। এরই কয়েকটিতে শুরু হয়েছে প্রজনন প্রক্রিয়াও।

গত ২৯ জুলাই সরেজমিনে আগনুকালী ঘুরে উদ্যোক্তা ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।


তারা জানান, গ্রামের প্রতিটি রাস্তার ধারে, পুকুরের পাড়ে, জমির পাশে, বিভিন্ন বাড়ির গাছের ডালসহ গ্রামের আনাচে-কানাচের বিভিন্ন গাছের মগডালে কলস বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ফলে গাছে-গাছে আসতে শুরু করেছে পাখি।

এছাড়াও আশপাশের লিছিমপুর, রায়পাড়া, সিকদার পাড়া, মধ্যপাড়া, সাতবাড়ীয়া, ভেন্নাগাছি, লক্ষ্মীপুরসহ ১০টি গ্রামকেও এর আওতায় এনে গাছে কলস বেঁধে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

এ গ্রামের যুবক শাহীন আলম জানান, প্রথম দিকে গ্রামবাসী এদের পাগল বললেও এখন সবাই নানাভাবে তাদের কাজে উৎসাহ দিয়ে সহযোগিতা করছে।

সুজন ও নবী জানান, কিছু কলসে শালিক পাখি বাসা বেঁধেছে। বেশ কয়টিতে বাচ্চাও ফুটেও। অন্য প্রজাতির পাখিদের মধ্যে দোয়েল পাখি ওই কলসে যাতায়াত করলেও স্থায়ীভাবে বাসা বাঁধছে না।



একই গ্রামের যুবক কামরুল জানান, প্রথমে মামুন তার নিজ বাড়ির গাছে পাঁচটি কলস বাঁধেন। কিছু দিন যেতেই এসব কলসে আশ্রয় নেয় শালিক পাখি। এ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে মামুন ও ইমন মিলে শুরু করেন গ্রামের গাছে কলস বাঁধার কাজ।

কথা হয় এ আন্দোলনের মূল নায়ক মামুন বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি জানান, পাখি প্রকৃতির অন্যতম সম্পদ। পাখিদের অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করা না গেলে ধীরে ধীরে সব প্রজাতির পাখিই বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

দেশ থেকে ৪৭ প্রজাতির দেশীয় পাখি বিলুপ্ত হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাই গত বছরের ডিসেম্বর থেকে গাছে গাছে প্লাস্টিকের বক্স সেট করা মাধ্যমে পাখির অভয়ারণ্য সৃষ্টির উদ্যোগ নেই। তবে প্লাস্টিকের বক্সে সফলতা না পাওয়ায় চলতি বছরের মার্চ থেকে মাটির কলস বাঁধার কাজ শুরু করি। শালিক পাখি বাসা বাঁধলেও অন্যান্য পাখির মধ্যে দোয়েল আসা যাওয়া করছে। অন্য জাতের পাখির আবাসস্থল গড়ার লক্ষ্যেও কাজ চলছে।



মামুন জানান, পাখি সংরক্ষণ, প্রজনন ও নিরাপদ বাসস্থান গড়ে তোলার লক্ষ্যে ’দি বার্ড সেফটি হাউজ’ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হাই বাংলানিউজকে জানান, মামুন নিজ উদ্যোগে আগনুকালী গ্রামসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে পাখির জন্য আবাস্থল তৈরি করছেন। এটি মহতী উদ্যোগ। তাকে উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামীম আহম্মেদ বলেন, পাখির জন্য অভয়াশ্রম সৃষ্টির ব্যক্তিগত এ উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। এ বিষয়ে তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য গ্রামেও যাতে এ ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হয় সে জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে উৎসাহের পাশাপাশি সহায়তাও করা হবে।
https://www.facebook.com/TheBirdSafetyHouse
copy from:http://m.banglanews24.com/detailnews.php?nid=414118&cid=1024
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:৪৯
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×