এক সময় আবহকালীন আগনুকালী গ্রামবাসীর ঘুম ভাঙতো পাখির কিচির-মিচির শব্দে। সময়ের সাথে এ অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এখন আর পাখির দেখা নেই আগের মতো।
স্থানীয়দের ধারণা, কৃষি জমিতে অতি মাত্রায় কীটনাশক ব্যবহারে বিভিন্ন পোকা-মাকড়সহ পাখি খাদ্যে স্বল্পতা এর জন্য দায়ী। তাই নিজেদের গ্রামে আবারও পাখি ফিরিয়ে আনতে গাছে গাছে মাটির কলস বেঁধে এমন উদ্যোগ গ্রামেরই কয়েকজন তরুণ যুবকের। এর পাশাপাশি চলছে নতুন পরিকল্পনাও।
দি বার্ড সেফ হাউস টিম লিডার মামুন বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ ধরনের উদ্যোগটি নেয়া হয়। যার ফলে রাসায়নিক সার কমিয়ে মানুষ পাখি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়।
শুরু থেকে এটিকে নিছক সখ মনে করলেও পরে স্বতস্ফূর্ত ভাবে এসব যুবকের পাশে দাড়ান গ্রামবাসী।
তরুণ যুবকরা বলেন, গাছে বাঁধা কলসিতে শালিক, চড়–ই, দোয়েল এসব পাখি আশ্রয় নেয়। আমরা সবচেয়ে উচু জাতের গাছের মধ্যে কলসি বাঁধি। এর ফলে পাখিগুলো জমিতে সব পোকা-মাকড় খেয়ে ফেলে। যার ফলে ফসল অনেক ভালো হয়।
সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হাই বলেন, বিভন্ন কারণে অনেক দেশিয় পাখিগুলো মেরে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু এখন গ্রামের যুবক তরুণরা একটা ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। তারা গাছে কলসি বেঁধে পাখিদের আশ্রয় করে দিচ্ছে।
ইতোমধ্যে এসব কলসে বাসা বেঁধেছে চড়–ই, শালিক ও পেঁচাসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি পাখি। তবে শীতকালে এর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করছেন গ্রামবাসী।