somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

পাখির নিরাপদ বাড়ী
বৃক্ষ সঙ্কটসহ অনুকূল আবহাওয়া আর মানুষের আন্তরিকতাবোধের অভাবে শ্যামল বাংলার বিভিন্ন প্রজাতির পাখি যখন কালের আবর্তে হারিয়ে যেতে বসেছে, ঠিক তখন পাখির অভয়াশ্রম গড়ে তোলার ব্যতিক্রমী দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার মামুন বিশ্বাস ও

অতীত ভাল ... শকুনের নিকট মহাবিপন্ন ... পরিবেশবান্ধব শকুন হারানোর কিছু কথা ।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সে সময় তো ছিল শকুনের আমল । প্রকৃতির ঝাড়ুদার হচ্ছে শকুন । খুব দুর-অতীত তো নয় ।নব্বই দশকের কথা সিরাজগঞ্জ খোলা আকাশের দিকে তাঁকালে দেখা মিলতো দুই ডানা মেলে উড়ে বেড়ানো শকুন।


এক সময় সিরাজগঞ্জ সহ উওরাঞ্চলে সব জায়গাতে দেখা মিলতো পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী শকুনের। শ্যেন দৃষ্টির নিভৃতবিলাসী এ প্রাণীটি এখন আর দেখা যায় না প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে এখনো টিকে আছে বাংলা ও সরুঠোঁট প্রজাতির কিছু শকুন। জানা গেছে, নব্বই দশকে সিরাজগঞ্জের যমুনা ও করতোয়া নদীর উপরে আকাশ কালো করে দলবেঁধে আসতো শকুনের ঝাঁক।নদীতে ভেসে যাওয়া মরা গরু -ভেড়ার ওপর ভেসে চলতো ধূসর শকুন। আকাশে চক্কর দিতো শকুন-শকুনিরা। শকুক ৫-৭ কিলোমিটার পর্যন্ত উপরে উঠেও অত্যান্ত নিখুঁত ভাবে খাবারের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারে । মানুষের শকুনের প্রতি নাক সিঁটকানো মনোভাব রয়েছে কিন্তু পচা-গলা মাংস খাওয়াসহ ভয়াবহ অনেক জীবাণু হজম করে ফেলে শকুন। শকুনের গলা, ঘাড় ও মাথায় কোনো পালক থাকে না। প্রশস্ত ডানায় ভর করে আকাশে ওড়ে। লোকচক্ষুর আড়ালে বট, পাকুড়, অশ্বত্থ, ডুমুর ইত্যাদি বড় গাছে সাধারণত শকুন বাসা বাঁধে।
সুএে জানাযায়, বাংলাদেশে এর সংখ্যা তিন শর বেশি হবে না। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও পাকিস্তান মিলে রয়েছে প্রায় ১০ হাজার। গত তিন দশকে উপমহাদেশে ৭৫ শতাংশ শকুন মারা গেছে। বিশ্বে ২৩ প্রজাতির শকুন রয়েছে। এর মধ্যে চার ধরনের পরিযায়ী শকুন বাংলাদেশে আসে। এগুলো হচ্ছে হিমালয় গৃধিনী, ইউরেশীয়, ধলা ও কালা শকুন। হিমালয় গৃধিনী ও ইউরেশীয় শকুন প্রায়ই আসে, আবার চলে যায়। গবেষকরা জানান, এ প্রাণী মৃত পশু-পাখি খেয়ে পরিবেশ দূষণ কমায়। একই সঙ্গে অ্যানথ্রাক্সসহ বিভিন্ন রোগের জীবাণু ছড়ানোর হাত থেকেও পরিবেশকে রক্ষা করে। এ কারণে একে বলা হয় প্রকৃতির ঝাড়ুদার। দি র্বাড সেফটি হাউজের প্রতিষ্ঠাতা ও উদ্যোক্তা মামুন বিশ্বাস জানান,পাখিকুলের মধ্যে শকুন দীর্ঘজীবি। শকুনের গড় আয়ু একশ” বছর।বাংলা শকুনের ইংরেজি নাম হচ্ছে যিরঃব-ৎঁসঢ়বফ ঠঁষঃঁৎব ,বৈঞ্জানিক নাম এুঢ়ং ইবহমধষবহংরং ।গবাদি পশু ও কৃষি জমিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কিডনি নষ্ট হয়ে মারাও যাচ্ছে এসব শকুন। শুধু শকুন নয় কীটনাশকের ব্যবহারের ফলে শকুনসহ অনেক প্রজাতির পাখিই হারিয়ে যেতে বসেছে। আর এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হচ্ছে।তিনি আরো বলেন ২০১০ সালে গবাদিপশুর চিকিৎসায় ডাইক্লোফেনাক জাতীয় ওষুধের ব্যবহার সরকার নিষিদ্ধ করলেও প্রায় ৬৮ শতাংশ ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে। শকুনের জন্য ক্ষতিকর কিটোপ্রোপিন ওষুধের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার দাবি জানান ।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এক সময়ে এ অঞ্চলে কয়েক প্রজাতির শকুন বসবাস করতো। কিন্তু ভারসাম্যহীন প্রকৃতিতে বর্তমানে শকুনের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। গবাদি পশুর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ডাইকোফেনাক জাতীয় ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় শকুনের কিডনি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে এর বিলুপ্তি তরান্বিত হচ্ছে। শকুন, চিল, বাজ, ঈগল, পেঁচাসহ বৃহদাকার শিকারী ও মাংশাসী প্রজাতির পাখির খাদ্যাভাব, বাসা তৈরি, বসবাস ও প্রজননের জন্য প্রয়োজীনয় উঁচু ও পুরাতন বৃক্ষ নিধন, বন উজাড়, প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্টও পরিবেশবান্ধব শকুনের বিলুপ্তির প্রধান কারণ। এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে , আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই দীর্ঘজীবি প্রাণিটিকে আর হয়তো বা চোখেই দেখবে না ।
মো:মামুন বিশ্বাস,শাহজাদপুর,সিরাজগঞ্জ
email:[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×