উপরের ছবিটি দেখলেই আপনাদের কাছে ক্লিয়ার হয়ে যাবে পোস্টটির শিরোনাম এমন অদ্ভুত কেন । যতদূর জানি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলন শুরু হয়েছিল নতুন ৮ম পে স্কেলে বেতন বৈষম্যের জন্য এবং শিক্ষকদের প্রধান দাবী ছিল শুধুমাত্র তাদের জন্য স্বতন্ত্র পে স্কেল করা । এই আন্দোলনের নেতৃত্ব পর্যায়ে ছিল ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি । কিন্তু ১১ই জানুয়ারী বিকেলে অনুষ্ঠিত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ শিক্ষক সমিতির মিটিং-এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবারের আন্দোলন হবে শিক্ষার্থীদের পুরোপুরি জিম্মি করে । শুধু ক্লাস কিংবা মিড-টার্ম পরীক্ষাই নয়, স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাও । অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাকে শিক্ষকরা তাদের আন্দোলনের আওতার বাইরে রেখেছে, সেখানে খুনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এক ধাপ মাতবরি করে এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে ।
আমার অনেক পরিচিৎ ছোট ভাই/ছোট বোন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত । তারা এখন এই সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার সিদ্ধান্তে দোলাচলে পরে গেছে । অনেকের একটি মাত্র পরীক্ষা, অনেকের দুইটি-তিনটি পরীক্ষা আবার অনেকের পরীক্ষা শুরু হওয়ার দ্বারপ্রান্তে । এমতাবস্থায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে যে ব্যাচ এবার অনার্স শেষ করবে, তারা । তাদের প্রশ্নের কোনরকম জবাব নেওয়ারও সুযোগ নেই, কারণ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি না থাকার কারণে এখানে শিক্ষকরাই সর্বেসর্বা । তাদের যে কোন ধরণের উটকো সিদ্ধান্ত এখাঙ্কার ছাত্রছাত্রীরা মেনে নিতে একরকম বাধ্যই হয় ।
এমতাবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করা ছাড়া, এই ছাতছাত্রীগুলোর যেন আর কিছুই করার নেই ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৬