somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভেসে যাওয়া প্রেম!

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



দুটো ছেলেমেয়ের গল্প!
ছেলেটা ও মেয়েটা ইন্টারমিডিয়েটে পড়ে। কিভাবে যে চোখের দেখায় প্রেম হয়ে গেলো তা আমাদের মনে নেই। ওরা হয়তো বলতে পারবে! তবে ওরা কলেজে এলেই ক্লাসের ফাঁকে পুকুর পাড়ে, গাছের ছায়ায় প্রেমকীর্তন করে।

একদিন মেয়েটা অথবা দুজনের একজন কলেজে না আসলে আরেকজনের যে কিভাবে দিনটা কাটে তা ওরাই জানে! আহত পাখির মতো ছটফট করতে থাকে ভেতরে ভেতরে।

তাদেরই কথা!
তাদের প্রেমের কথা!
এখন লিখতে বসেছি।

তখন মোবাইল এর যুগ ছিল না।
সময়টা ছিল এনালগ বাংলাদেশ থাকাকালীন অবস্থায়!

ইন্টারমিডিয়েট এর সময়গুলো কাটতে থাকে তাদের।
একদিন মেয়েটা কলেজে আসেনা। সারাদিন ছটফট করে ছেলেটা।
পরের দিনও একই অবস্থা। মেয়েটা আসেনা।
এভাবে পুরো সপ্তাহ কেটে যায়।
ছেলেটা অস্থির হয়ে যায়। ভাবতে থাকে নানাকথা। এরকম তো কখনো হয় না। কি হয়েছে! আসে না কেন সে! কতো দিন ধরে দেখেনা তার চাঁদমুখখানা! কিন্তু ভেতর থেকে মন বলে কি যেন হারাতে বসেছে সে। এরকম তো কখনো হয় নি মনের। কি হল! একেকটা দিন একেক মাসের মতো লাগে তার কাছে। পৃথিবী তেতো মনে হয়।

সাতটা দিন কোনমতে পার করলো ছেলেটা। তার কাছে মনে হল সাত সাতটা বছর কেটে গেছে সে তার প্রিয়াকে দেখেনা!

তারপরের কথা আরও করুণ!

ছেলেটা একদিন কলেজ বন্ধ থাকার পর কলেজে যখন আবার গেলো, দেখল মেয়েটা তখনো আসেনি!
অজানা আশঙ্খায় তার মন কাঁপছে। কারো কাছ থেকে কোন খবরও পাচ্ছে না সে।

সে মেয়েটার বাড়িতে খোঁজ নিবে ঠিক করলো। তার এক বন্ধুকে নিয়ে সেদিনই সে মেয়েটার বাড়িতে পৌঁছে গেলো।

খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারলো, চারদিন কী এক অসুখে ভুগে আজ দুদিন হল মেয়েটা মারা গেছে!
ছেলেটার মাথায় যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত হল!

কোনরকমে চোখের পানি চেপে বন্ধুকে সাথে নিয়ে মেয়েটার কবরের পাশে এলো সে। কবরটা গ্রাম থেকে আধা কিলোমিটার দূরে। বড় বড় গাছগুলো জানান দিচ্ছে বহু বছরের পুরনো কবরস্থান এইটা। ইতিহাসের অনেকটা সময় নিয়ে সে গ্রামের মানুষগুলোকে খেয়ে নিচ্ছে।
চারপাশে বেশ কয়েকটা বড় বড় কৃষ্ণচুড়ার গাছ। সময়টা ছিল কৃষ্ণচুড়ার ফুলে ছেয়ে যাওয়ার। গাছগুলো লাল হয়ে আছে।

প্রায় তিন-চার বিগে জমিজুড়ে অনেকগুলো কবর। এরই পাশে একদম এক কোনে মেয়েটার কবর।
নতুন কবর! চিনতে কষ্ট হয় না। তাছাড়া মেয়েটার বাড়ি থেকে একটা ছোট ছেলেকে সাথে নিয়ে এসেছিলো সে। ছোট ছেলেটাই দেখিয়ে দিলো।

তারপর?

তারপর যা হবার তাই হল!
ছেলেটার বুক নিংড়ানো কষ্ট, জমে থাকা না পাওয়ার ব্যথা সব এক সাথে প্রকাশ পেলো।
সে ঝাঁপ দিয়ে কবরে উপর পড়লো!
বলতে লাগলো কতো বিরহজনিত কথা। কিছু স্পষ্ট, কিছুবা অস্পষ্ট!
পাশে দাড়িয়ে সাথে যাওয়া বন্ধু আর ছোট ছেলেটা অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে।
ছলছল করে উঠে তাদের দুজোড়া চোখগুলিও।





================================================================
বাংলা বইয়ের সুবিশাল অনলাইন লাইব্রেরীঃ Bangla eBooks Download PDF
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×