somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্য যারা পাগল, তারাই এই লেখাটা পরবেন - বাংলাদেশিরুপধারি মুনাফেকরা দোয়া করে আসবেন না

১৪ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদ মানে কি? বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ মানে এইটা বিশ্বাস করা যে “ আমরা বাংলাদেশীরা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জাতিগুলোর মধ্যে অন্যতম” । কেন? (কেউ কেউ হয়তো আমার কথায় মুখ টিপে হাসছেন,কেউ হয়তো অট্টহাসিই দিবেন- তবে বেশী সাহস না দেখানোই ভালো! কাছে পেলে গলা টিপেও ধরতে পারি )।বলা হয়- জয়ীরাই ইতিহাস রচনা করে।কিন্তু ইতিহাস আমরা বাংলাদেশীরাই রচনা করেছি সবসময় ,যখন বাঙালি ছিলাম তখনও।সেই তিতুমির থেকে শুরু করে হাজি শরিয়তুল্লাহ, মাস্টারদা, সূর্যসেন,খুদিরাম,প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার,বাঘা যতিন,নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু – ব্রিটিশ কুত্তাদের অত্যাচারের ২০০ বছরের যত অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত,বীরের মতো প্রতিবাদ- এই বর্তমানের বাংলাদেশ নামক ভুখন্ডের সুপুত্ররাই করেছে।মাঝখানে নেতাজির বিক্রমে ভয় পেয়ে ইংরেজ কুত্তাদের পালিত গান্ধির ষড়যন্ত্রের ফসল আমরা পেয়েছি আরেক বেজাত জিন্নাহর সমন্বয়ে- আদি বাংলা ভাগ! যাহোক, তাতে তেমন ক্ষতিবৃদ্ধি হয় নাই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো নেতা (বাংলাদেশের জনক) জন্মিয়েছেন এই বাংলাদেশেই।আমরা সেই ৫০০০ বছর ধরে বিদেশী হানাদারদের অত্যাচারী শাসন আর লুণ্ঠনের স্বীকার হয়েছি একথা সত্যি, কিন্তু বারবার মাথা তুলে দাঁড়িয়েছি। ওরা বাধ্য হয়েছে আমাদের জাতিসত্তার সাথে মিশে যেতে,নিজেদের সংস্কৃতিকে কাটছাট করে হলেও আমাদের সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে টিকিয়ে রাখতে।আমরা কখনও হার মানি নাই।আমাদের কেউ কেউ বলে মিশ্র জাতি। আরে বেকুব, অর্বাচীন- বিজ্ঞান পড়।জেনেটিক্সের নামও তো এই কুলাঙ্গারগুলা মনে হয় জীবনে শুনে নাই!এই বিভিন্ন জাতির মানুষের মিশ্রনের কারনেই আমাদের বাংলাদেশী জাতিসত্তা আজ আরও উন্নত হয়েছে।প্রাচিন মিশরে ভাইবোনের মধ্যেই বিয়ে হত,আর তাঁর ফলে জন্মগতভাবেই তারা নানারকম দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হতো এবং তাদের আয়ু স্বভাবতই হতো খুবই কম (২০-২৫ বছর)।আমরা কি জিনিস তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে ১৯৭১ সালে লম্বা চূড়া হাঁটুতে বুদ্ধিওয়ালা পাকিস্তানী শুয়ারের বাচ্চারা।ওদের জারজ জামায়াতের মুনাফিকগুলা না থাকলে আরও আগে ওরা বাপ বাপ কইরা এই পবিত্রভুমি বাংলাদেশ থেকে পালাতো।আমাদের বাংলাদেশীরা যেখানেই যায় সেখানেই জয়জয়কার (সত্যি বলতে- কুকর্মেও )।

আমাদের এই বাংলাদেশীদের একমাত্র- না না দুইমাত্র দুর্বলতা ঃ ১) আমাদের কোন জাতীয় আদর্শ নেই এবং ২) আমাদের একটা ধারনা নিজেদের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে বাংলাদেশীরা অলস-অকর্মন্য-আমাদের দিয়ে কিছু হবেনা(দুরনিতিবাজদের সাথে চল,তোমার একার উন্নতি তো অন্তত হবে?!)- আমাদের বর্তমান রাজনিতিকরা এবং বিশেষভাবে আলাদা করে জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ ও তার ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবির এরাই এই মহাসুযোগ নিচ্ছে। দেশের যত সমস্যার মূলে এরাই।আসলে প্রত্যেক জাতির কিছু দুর্বল সদস্য থাকেই- তাদের ELIMINATE করতে হয়, দেশের শান্তির জন্য। এমনকি আমাদের দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগনের ধর্ম ইসলামেও বলা আছে- শান্তি কায়েমের জন্য প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করা জায়েজ।
"আমি বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদে বিশ্বাস করি এবং এর চেতনা আমার মনে ধারন করি শক্তভাবে"। ........................তারপর আরও পরিস্কার করে বলি - আমি বিম্পি করিনা , কিন্তু আমি বাংলাদেশে বিশ্বাস করি, বাংলদেশ- এরভাষা ,ইতিহাস, ঐতিহ্য,সংস্কৃতি সব আমার গর্ব, আমার আশা আকাঙ্খা, স্বপ্ন, বর্তমান, ভবিষ্যৎ, দুঃখ, আনন্দ-উল্লাস, ক্রোধ,ঘৃণা সবই বাংলাদেশকে নিয়ে।আমি জীবনে কখনও পাকিস্তান সহ্য করতে পারিনা, তাদের সমর্থকদেরও না, যারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তাদের আমি সময় ও সুবিধামত পেলে মেরে ফেলব( কোন বিচারের ধার ধারব না), যারা আজ বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে ভারতের সমর্থন করে আমি তাদের ঘৃণা করি।আমি শুধু বাংলাদেশীদের ভালোবাসি, এবং বাংলাদেশকে যারা ভালবাসে তাদের ভালবাসি।আমি উগ্র বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে মত্ত কিন্তু আমি বিম্পিরে ঘৃণা করি কারন তারা জামায়াত-শিবিরের দোসর।ঠিক তেমনি আওয়ামীলীগকেও ঘৃণা করি কারন তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে ব্যবসা করে,তাদের অত্যধিক ভারতপ্রিতি।আমি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলা দেখতে গিয়ে গলার স্বর বসিয়ে দিগবিজয়ীর বেশে বাড়ি ফিরি,হারলে কষ্ট ভুলে থাকতে একসাথে ১০ টা মিডাজলাম খাই, তাও ঘুমাতে পারিনা- কষ্ট কমেনা।আমি গনজাগরন মঞ্চ, হেফাজতে ইসলাম দেখে হাসি, তাচ্ছিল্যের হাসি- ওরা বড়োজোর ১ কোটি হবে ??!! নাকি তাও হবেনা? আমার মতন আছে আরও ১৫ কোটি।বাংলাদেশ শুধুমাত্র আমাদের কারনে কোনোদিন আফগানিস্তান-পাকিস্তান হবেনা, সাভার ট্র্যাজেডির মতো দুর্ঘটনার পরেও গার্মেন্টস শিল্প এগিয়ে যাবে তরতর করে, পদ্মা সেতু-হলমার্ক কেলেঙ্কারির একদিন বিচার হবেই, সোহেল রানাকে হেলিকপ্টারে ঘুরাতে নিতে যাওয়ার লোভ দেখিয়ে ১০০০ ফুট উপর থেকে আমরা ফেলে দিব, রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র সুন্দরবনে আমরা হতে দিবনা( ভারতের কুচক্রান্ত-আমাদের গর্ব সুন্দরবন ধ্বংসের ), আমরা বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে গটগট করে বহির্বিশ্বের ইমিগ্রেশন দিয়ে হেঁটে যাবো- ওরা সম্মান আর শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে।ক্রিকেট মাঠে দেখেন না " বাংলাদেশ বাংলাদেশ" গর্জনে স্টেডিয়াম কেমন প্রকম্পিত হয়ে উঠে?!!! কেউ কেউ হাসছেন আমার লেখা পড়ে- আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলছি আজ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশীরা এইসব সাফল্য অর্জন করবেই। আসুন, আমরা আমাদের যাদের সাহস আছে তারা প্রকাশ্যে এই স্বপ্ন সফলের জন্য হাত মিলাই ( যাদের সাহস নাই তারা গোপনে হাত মিলাতে আসতে পারেন ) এবং কাঁধে কাধ মিলিয়ে দেশটাকে আমাদের সপ্নের জায়গায় নিয়ে যাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মেলা (গনজাগরন মঞ্চ) আর হেফাজতে ইসলাম নিয়ে চিন্তার কিছু নাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আপনার আমার যথেষ্ট ভালই আছে- ওই জন্যে মঞ্চে গিয়া গলাবাজি করা লাগেনা,বেলুন উরাইতে আর মোমবাতি জ্বালাইতে হয়না।আর মুমিন মুসলমান হইতে আর ইসলাম চর্চার জন্যে আমাদের হেফাজতে জামায়াতে ইসলামে "ও দরকার নাই। ইসলাম পালনের জন্য এবং সেই অনুযায়ী মুসলিম হিসেবে জিবন-যাপনের তরিকা মহান আল্লাহ সুভানাল্লাহ তাআলা আমাদের দিয়ে গেছেন ১৪০০ বছর পুবেই আর দিয়েছেন রাসুলের সুন্নাহ হাদিস শরিফ- আর জন্মের সময় দিয়েছেন বিবেক । বাংলাদেশ বাংলাদেশ" শ্লোগানে দেশ প্রকম্পিত করি আর দেশের আবর্জনাগুলকে বঙ্গপসাগরে নিক্ষেপ করি (জীবিত না, মৃত- কারন এইসব পতিত বাংলাদেশীরূপধারী কালসাপদের বিশ্বাস নাই এবং এইসব বাংলাদেশিরুপধারি ভারতীয় ও পাকিস্তানীদের বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদে স্থান নাই)।

বাংলাদেশী জাতিয়বাদ দেশের মানুষের কোন ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর অথবা একই সাথে বড় সুবিধা অসুবিধাকে গুরুত্ব দেয়।
আমাদের কৃষি,রপ্তানি বাণিজ্য, গার্মেন্টস সেক্টর ..............................বলে শেষ করা যাবেনা আমাদের সম্ভাবনার কথা। আমরা বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দেব যে বাংলাদেশ একটা দেশ- কারো তাঁবেদার রাষ্ট্র নয়। দরকার হলে এজন্যে রক্তের হোলি খেলা হবে!!! আরও অনেক কথা বলার আছে---------------- আপাতত শেষ করছি আমাদের জাতীয়কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতা দিয়ে --------
“জাগো সৈনিক-আত্মা।জাগো সৈনিক-আত্মা!
বন্ধুরা এসো ফিরে।বন্ধুর পথে চলিব আবার,বন্ধুরা এসো ফিরে
নারী । হায় ফিরদউসের ফুল!
নিত্য প্রবল হও ।অন্তরে আর বাহিরে সমান নিত্য প্রবল হও!
আগ্নেয়গিরি বাঙলার যৌবন ।ঘুমাইয়া ছিল আগ্নেয়গিরি বাংলার যৌবন
তুমিকি গিয়াছ ভুলে ? তুমিকি গিয়াছ ভুলে ?
চির বিদ্রোহী । হার মেনেছ বিদ্রোহীকে বাধতে তুমি পারবেনা “ ------------শেষ সওগাত (১৯৫৮)


আমার পরবর্তী লেখায় এই কট্টর বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদ নিয়ে এবং তার দিক নিরদেশনা নিয়ে আরও লেখা আসবে । যারা বাংলাদেশের জন্য পাগল শুধু তারাই পরেন, বাংলাদেশী মুনাফিকরা সাগতম নয় আমাএ ব্লগে ।

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:৪২
৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×