আমার এক ফ্রেন্ড কেমিস্ট্রিতে অনার্স করেছে ন্যাশনাল থেকে। Recently সে চুয়েটে ভর্তি হয়েছে মাস্টার্স করার জন্য। আবার অন্য এক ফ্রেন্ড সার্কেলের একজন ন্যাশনাল থেকেই টেনে টুনে কোনভাবে পাশ করে লাস্ট ইয়ারে উটেছে। কিন্তু তার মাসিক আয় প্রায় ৪০/৫০ হাজারের কাছাকাছি। আবার এই সব দেখে আমার আরেক ফ্রেন্ড চলে গিয়েছে ডিপ্রেশনে। ওদের হয়, আমার হয় না। আমার এই জায়গাতেই রাগ টা উটে । সঠিক বলাটা উচিত হবে কিনা জানিনা। তাই নকল নাম ই ইউজ করছি। ধরলাম, চুয়েট হল তামিম, ৫০হাজার টাকা হল সাব্বির, এবং ডিপ্রেশন হল শান্ত। তো এখন আমার শান্তর উপর রাগ উটে এই কারণে , যে সে খালি আফসোস ই করে, jealous ফিল করে করে নিজের সুখ শান্তি দুটোই নষ্ট করে। দুঃখের বিষয় যে এটা শুধু আমার ফ্রেন্ড না, অধিকাংশ মানুষের জীবন কাহিনী। আমরা সারা জীবন আরেকজনের সাথে নিজেকে তুলনা দিয়ে আসি। ছোট থাকতে বাবা মা বলত ও ১০০তে ৯০ পেলে তুই পাবি না কেন, অমুকের ছেলে বুয়েতে টিকছে, তোকে ও ঠিকতে হবে, অমুক ৪০হাজার টাকা দামের জব করে, তুই কি করস , হেন-তেন, হাবিজাবি আরও বহুত কিছু। আচ্ছা যেটাই হোক মেইন কাহিনী তে আসি। তো এখন আমার রাগটা উটে কারণ শুভ ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছে। এখন আমি তার ডিপ্রেশনে যাওয়ার কারণটি বুঝিনা। তামিম যেখানের রাতদিন খবর নিয়েছে যে সে চুয়েটে কিভাবে পড়তে পারবে, সেখানে শুভ চুয়েটে ও পড়া সম্ভব ন্যাশনাল থেকে সেটাই জানত না। যেখানে সাব্বির COVID_19 LOCKDOWN এ বসে বসে গ্রাফিক্সের কাজ শিখেছে, সেখানে শুভ পুরোটা সময় কি করেছে আল্লাহ -ই জানে। তো তুমি শালা চেষ্টাই করনি কিছু করার, সেখানে যারা কস্ট করে সফল হয়েছে তাদের প্রতি ঈর্ষা করছ। কেন ভাই? তাকে আমি অনেকবার বলেছি ভাই বসে থেকে লাভ কি, চল টাইপিং শিখে ফেলি, প্রাকটিস করে ঘরে বসে বসে, তাকে যখন কথাটা বলছি আমি, তখন আমার টাইপিং স্পিড ইংরেজীতে 20wpm , বাংলায় পারতাম ই না। আর এখন আমার ৭০+ এবং ৪০+ wpm স্পিড, আর তার যাই লাউ সেই কদুই থেকে গিয়েছে। আর এখন যখন আমি কখনো টাইপ করতে বসি, তখন সে বলে আমি শো-অফ করছি। তো আমার এই ফ্রেন্ডটিকে আমি অনেক বুঝিয়েছি। কোন লাভ হয় নি। তার জেলাসি একটু ও কমেনি, উলটো আমাকেই সে বাঁশ মারা শুরু করেছে এই বলে যে, Mainu is always right. আমি কখনোই বুঝিনি এখনো বুঝিনা, আরেকজন তার লাইফে কি করেছে সেটার সাথে আমার সম্পর্কটা কি? ওর সাফল্যে আমাকে কেন ব্যাথিত হতে হবে? আরেকজনের সফলতা মানেই তো আর আমার ব্যর্থতা নয়। আরেকজন ব্যর্থতাই মানে আমার সফলতা নয়। তাহলে আরেকজন তার লাইফে ভাল কিছু করলে আমার ক্ষতিটা কোথায়??
আর তুলনা যদি করতেই হবে তুলনা করে খুশী ও থাকা যায়, অনেকে খেতে পারেনা, তাদের মাথা রাখার জায়গা নাই, কেউ অন্ধ বা পঙ্গু। সেখানে তুমি শালা ৩ বেলায় ৪ বার খাও, নরম বিছানায় ঘুমাও, স্মার্টফোন ইউজ কর। তোমার যা আছে তা নিয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করনা বাপ, তাই নিয়ে খুশি থাক। কিন্তু না, আমার কি নেই তাই খালি চোখে পড়ে। ওর এই আছে সেই আছে , ও মাসে এত কামায়, অমুক জায়গায় জব করে, অমুক জায়গায় থাকে। জীবনে উন্নতি করার চেষ্টা তো শালা করবে না, খালি আফসোস করবে আর জ্বলবে। জল শালা তোরা, জলে পুড়ে ছারখার হয় যা এককেরে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫১