গেমসটির নাম ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস্।
(Clash of Clans)
এই গেমসের নবম পর্ব থেকে মক্কার
কাবা শরীফ ভাঙ্গতে হয়।
.
গেমসটিতে পয়েন্ট বাড়ানোর জন্য
এই কাবাকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে
হয়। (নাউযুবিল্লাহ)
.
অনেকের যুক্তি এটা কাবা শরীফ না।
১। এটা কাবা থেকে ভিন্ন।
২। কাবা হলে মিনার থাকতো না।
৩। কাবায় তো কোনো পতাকা নেই।
৪। সেখানে গিলাফ তো দেখতে পাচ্ছি না।
৫। মক্কায় তো মরুভূমি। কিন্তু, গেমসে তো সবুজ ঘাস
আছে। তাই এটা কাবা না।
(কথাগুলো দুর্বল ঈমানের পরিচয়)
.
যুক্তি খন্ডনঃ
১। গেমস নির্মাতারা এত বোকা না যে
তারা হুবহু কাবা উপস্থাপন করবে।
২। ইনোসেন্ট অব মুসলিম তৈরি করে
যা ভুগতে হয়েছে, গেমসের বেলায় যদি এমনটা ঘটে তবে কোটি ডলারের সম্পূর্ণ প্রকল্প গোল্লায় যাবে।
তাই একটু বিকৃত করে উপস্থাপন করেছে। যাতে সহজে চেনা না যায়।
৩। মুসলিমরা খুবই সেনসেটিভ। কোনো ধরনের কটাক্ষ করে না, সহ্যও করে না। যার তরতাজা প্রমাণ শার্লি হেবদো। তাই একটু ঘুরিয়ে কাবা ভাঙার ফাঁদ পাতা হয়েছে।
৪। কাবা ঘরের সাথে গেমসের ছবির আকার আকৃতির কোনো ভিন্নতা নেই। হুবহু এক।
৫। সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য কথা এটা কেন কালো ..? অন্য রঙের কি অভাব ছিলো..?
৬। এখানে দুইটা পয়েন্ট।
ক) কালো রঙ যা কাবা নির্দেশ করে।
খ) চারকোনা। যা কাবা নির্দেশ করে।
এই দুইটার একটি যদি না থাকেত তবে এটাকে কাবা বললে ভুল হতো।
.
কিন্তু, এটা যে পরিকল্পিত প্রজেক্ট।
ঐদুটো পয়েন্ট বাদ দিয়ে তো কাবা
হবে না।
.
ঈমান রক্ষার্থে আন্দোলন করুন।
ওরা আমাদের ঈমান হারা করতে চায়। এমন সুযোগ দিবেন না।
এই ফাঁদে পা দেয়া মানে ঈমান ধ্বংস করা।
--
বি: দ্র: হালাল স্পষ্ট আর হারামও স্পষ্ট। এর মাঝামাঝি যা অস্পষ্ট তা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন আল্লাহর রাসুল (স। সুতরাং এই গেম খেলা থেকে বিরত থাকাই সর্বোত্তম তাক্বওয়া। আল্লাহ আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দিন। আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪