ফেবুতে কিছু লোকজনকে দেখি প্রতি মুহূর্তের ছবি আপ্লোড করে। আমি নিজেও বহুত ছবি তুলি, ছবি ফেবুতেও দেই কিন্তু সবই অনলি মি করে রাখি। আমি ছবিগুলো আপ্লোড করি শুধুমাত্র ভবিষ্যতে যদি দেখতে ইচ্ছা হয় তাই। মানুষের প্রতি মুহূর্তের ছবি বারবার আপ্লোড করা দেখে একটা কথাই মনেহয় তারা প্রতি মুহূর্তে যা করে তাই বোধহয় মানুষকে দেখানোর প্রয়োজন অনুভব করে।
একথা ঠিক আমি যখন কোন উপলক্ষ্য পাই সাজগোজ করার তখন ছবি তুলি। সাজগোজ করার আল্টিমেট কারণই থাকে যাতে ছবিতে ভাল আসে।
একজনকে দেখি গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে হাজার হাজার ছবি তুলে নানানভাবে পোজ দিয়ে। আমরা যখন ছবি তুলি তখন নিজেরাও বুঝি ছবি তোলার ব্যাপারটা কিছুটা মানুষকে যন্ত্রে পরিণত করে। এত সব ছবি দেখে একটা কথাই মনে আসে এরা যখন এক সাথে থাকে এরা কি শুধু ছবিই তুলে!!! সব কিছু কেমন দেখাচ্ছি দেখাচ্ছি টাইপ লাগে।
আবার কেউ কেউ কি খাচ্ছি না খাচ্ছি তার ছবি তুলে প্রোফাইল ভরে ফেলে। এসব ছবি দিয়েও বা কি বুঝায়! মাঝে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেপেলেদের শিক্ষার উপর ভ্যাট বসানোর পর কিছু গর্দভকে দেখতাম খাবারের ছবির পাশাপাশি বিল রিসিটের ছবি তুলে দেখাচ্ছে যে তারা ভ্যাট দিয়েছে। আবার, এক রেস্টুরেন্টে খেয়ে দেয়ে আবিষ্কার করেছে যে তারা ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে তারপর রিসিটের ছবি + খাওয়ার ছবি দিয়ে চিল্লাপাল্লা করে ফেবুতে পোস্ট করেছে হ্যান ত্যান প্যান প্যান।
ফেবুতে কারো কর্মকাণ্ড অতিরিক্ত বিরক্তিকর মনে হলেই সোজা আনফলো করে দেই কিন্তু তবুও ইদানীংকালে এই বিষয়গুলো এত বেড়ে গেছে যে না চাইলেও চোখে পড়ে যায়। আর একটা বছরের জন্য অপেক্ষা করছি তারপর ফেবুতে যাওয়াই ছেড়ে দিবো। সময়ও নষ্ট হয়, ন্যাকামি দেখে মেজাজটাও খারাপ হয়ে যায়।
মানুষ এত ফেবু কেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে ইদানীং। কথা বলতে বলতে হঠাত কাউকে ফেবু গুতাতে দেখলে ইচ্ছা করে ফোনটা কেড়ে নিয়ে দূরে ছুঁড়ে ফেলে দেই একদম