"গাছ কেটে ফেলা হবে শুনে যে ছেলেটা ফুঁপিয়ে উঠে সেই ছেলেটার জন্য এই পৃথিবীটা সহজ জায়গা নয়। যুদ্ধ , বিগ্রহ , ইউক্রেন -রাশিয়া আর ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মাঝে সামান্য 'গাছের স্মৃতি' নিতান্তই মূল্যহীন এই অবিশ্বস্ত পৃথিবীর কাছে।"
সুত্রঃ বাবা..বাবা কেন এমন হয় ?
প্রচন্ড গরম পড়ছে এবার। সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গে দিচ্ছে। অসহনীয় অবস্থায় অসহায় বলা চলে। টেম্পারেচার ৪১ ডিগ্রী হলে অনুভূত হচ্ছে আরো বেশি। কারণ হচ্ছে গরম বাতাস। ঢাকা শহরে শীতল বাতাস কোথায়? শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শপিং কমপ্লেক্স, বহুতল কর্পোরেট অফিস, রেস্টুরেন্ট, প্রাইভেট হাসপাতাল।
না, শীতল বাতাসের অভাব নেই। ঠিকই তো।
শীতল বাতাস পেতে হলে আপনি সেখানে যেতে পারেন। শরীর ঠান্ডা করতে পারেন। সামর্থ্য থাকলে নিজের ঘরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রনের মেশিন লাগাতে পারেন। সেটা আপনার ঘরকে শীতল করবে আর পরিবেশ কে করবে গরম। তাতে আপনার কি?
ঢাকা শহরে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে। সৌন্দর্য বর্ধন মানে কোথাও ধুলো থাকবে না, মাটি থাকবে না, বৃষ্টির পানি থাকবে না, কংক্রিটের সান বাঁধানো মেঝে আর দেয়ালে পরিপাটি নগরী, চকচকে শহর।
এমন সুন্দর চকচকে শহর অনেকেই চায়। গাছ প্রকৃতি বৃষ্টি এগুলো হচ্ছে মায়া আর আবেগ। আর ইট কংক্রিটের প্রলেপ হচ্ছে যুক্তি, দারুণ আধুনিকতার পরিচয়। এইসব যুক্তি প্রগতি এগিয়ে চলে। মায়া আর আবেগ পৃথিবীকে পিছিয়ে দেয়।
তবে ব্যতিক্রম আছে কেউ কেউ। যদিও দিন দিন সেই সংখ্যা কমছে। আরো কমবে। সেই কম সংখ্যক মানুষের মধ্যে বিষাদময় ব্লগার স্বপ্নবাজ সৌরভ বাচ্ছা ছেলেটার কথা মনে পড়লো। তবে ইতিমধ্যেই অনেকেই প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে। সেই রাস্তায় দাঁড়ানো মানুষ গুলো যখন ছোট ছিল তখন গাছ কাটা হবে শুনলে স্বপ্নবাজের তিন বছরের ছেলেটার মত নিশ্চয়ই কাঁদতো। আর স্বপ্নবাজের ছেলেটা যখন বড় হবে তখন নিশ্চয়ই গাছ কাটার প্রতিবাদে রাস্তায় দাঁড়াবে।
সামান্য 'গাছের স্মৃতি' নিতান্তই মূল্যহীন হলেও আসলে মূল্যহীন নয়।
অবিশ্বস্ত পৃথিবীর জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে 'মায়া' ।এই মায়া পৃথিবীকে অনেক দিন বাঁচিয়ে রাখবে।
ছবিঃ ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০২৩ রাত ১:৪৮