অনুভূতি ঝুলে আছে বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে, মূল্য দাওনি বলে অভিমানী অনুভূতি মিশে যাবে অচিরেই মাটিতে তুমি কেবল বিতৃষ্ণা পাবে গো বিতৃষ্ণা। শুকিয়ে যাবে জল-মরুভুমি হবে তোমার বুক।
মোবাইলে তোলা ছবি। একই জায়গায় একই ছবি কিন্তু তোলা হয় বারবার । আশাকরি বোর হবেন না। পুরোনো চলে গেলে কে আর সামনে এনে এসব আবার দেখে। তাই নতুন করে আবার ছবি তুলি আবার পোস্ট করি । স্যামসাং এস নাইন প্লাস দিয়ে তোলা ছবিগুলো।
২। এই আমি বৃষ্টি হয়ে, যাচ্ছি ঝরে নিত্য
চোখের তোমার নেই অনুভব, পাথর ভরা চিত্ত,
ফুল হলে না আমার জন্য, হলে শুধু কাঁটা
হায়ঁ! দেখলে না উপুর হয়ে, কষ্ট বক্ষ ফাঁটা।
৩। চোখের পাতায় ঝুলে থাকে ভেজা অনুভূতি
ঠিক যেমন পাতায় পাতায় বসে থাকে অভিমানী বৃষ্টিরা
অথচ তুমি ছুঁয়ে দিলেই, শুকিয়ে যেতো বুকের ব্যথার ক্ষত
মন হতো প্রজাপতি, উড়ে বসতো গিয়ে তোমার মন বাগানে।
৪। পাতায় পাতায় বৃষ্টির ফোঁটা, সজীবতায় ভরা
আমার মনে রঙ লেগেছে, তোমার মনে খরা,
এই এসো না ভাসি চলো, বৃষ্টির জলের ধারায়
এই জানো না সুখের চোটে, মনটা দূরে হারায়।
৫। টাইগার লিলি হবে আমার, ফুল বাগানের টবে?
এই তুমি মন বাগানে, ফুটা ফুল হয়ে রবে।
চোখের জলের স্পর্শ দিবো, হয়ে উঠবে তাজা
এই তুমি হবে আমার, আজকে মনের রাজা?
৬। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে, ফুটে আছে বেলী
কাঠবেলীরই রঙ মেখে আজ, ইচ্ছে ডানা মেলি।
৭। পাপড়ি জুড়ে বৃষ্টির ফোঁটা, স্নিগ্ধতারই প্রহর
ছুঁয়ে দিলে সুখ শিহরণ, আমার মনের শহর।
৮। সবুজ পাতায় মুখ লুকিয়ে, কাঠবেলীরা হাসে
বৃষ্টি এসে ঝাপটে ধরে, খুবই ভালোবাসে,
ঝরা ফুলরা জলের ছোঁয়ায়, হয়ে উঠে তাজা
উঠলে রোদ্দুর দেবে শেষে, ফুলকে অথৈ সাজা।
৯। আল্লাহ তা'লার রহমত অতি, বৃষ্টি এলে ধরায়
ফুল আর পাতা তাই বুঝি তাই, বৃষ্টি বুকে জড়ায়।
বৃষ্টির ছোঁয়ায় পাতা তাজা, ধূলোবালি মরে
শুকনো মাটি বৃষ্টির জলে, উর্বরতা গড়ে।
১০। টাইগার লিলি ভিজে গেছে, মুক্তোর দানা গলে
হাওয়া এসে দুল দিয়ে যায়, এসে দলে দলে।
পাতা নড়ে ফুলও নড়ে, হীম আবেশে থাকি
এমন ছবি রোজই আমি, মন ক্যানভাসে আঁকি।
১১। দাও ছুঁয়ে দাও গাছের পাতা, ভিজে আছে ঐ যে
ছুঁলেই জল গড়াবে ধূলায়, মজা হবে কী যে,
লাগবে তোমার ভালো বাপু, হও প্রাকৃতিক এবার
যত খুশি উচ্ছলতা, ইচ্ছে তোমারয় সব দেবার।
১২। ঝকমকে এক দুপুরবেলা, পাতায় পাতায় বৃষ্টি
রোদ্দুর বৃষ্টি করে খেলা, আহা সুখের সৃষ্টি,
ভালো লাগে এমন বেলা, ভালো লাগে খুবই
বৃষ্টি ফিরে পেতে বারবার, মন হয়ে যায় লোভী।
১৩। বেলী ফুলের ঘ্রাণ উড়ে যায়, বৃষ্টির হাওয়ার তোড়ে
এমন বেলা যায় কেটে যায়, মুগ্ধতারই ঘোরে.....
আসবে পাশে হাঁটবে তুমি, বৃষ্টি ভেজা পথে
এই চলো না এবার উঠি, স্নিগ্ধ হাওয়ার রথে।
১৪। সবুজের বৃষ্টি স্নান, সজীবতা ছুঁয়ে যায় মুহুর্মুহু, ভালো লাগার আবেশে মন জড়িয়ে যায়। বৃষ্টির ছাট এসে পায়ে দিয়ে স্পর্শ, আহা সুখে ভিজে যায় চোখ। আমি মুগ্ধতা খুঁজি আর মুগ্ধতারা এসে বসে থাকে চোখের পাতায়।
১৫। নয়নতারা ভিজে গেছে দুই নয়নের জলে,
বৃষ্টির নাকি নয়নের জল, পড়ে অভিমানের ছলে.....
১৬। পড়ুক পড়ুক আরো পড়ুক, অঝোর বৃষ্টি গড়িয়ে
পাতায় পাতায় থাকুক লেগে, মুগ্ধতা দিক ছড়িয়ে।
হিম আবেশে ভালো লাগে, সজীব পাতা লতা
এমন ক্ষণে আমার সঙে হয়, ফুল পাখিদের কথা।
১৭। ঘ্রাণ ধুয়ে নিয়ে বৃষ্টি এসে, তবু বেলীরা চুপ বসে থাকে ডালে। রোদ্দুর পুড়া ক্ষণ পেরিয়ে ওরাও সুখে ভিজতে জানে। যাক না এবেলা ঘ্রাণ উড়ে হাওয়ায়। চুপসে যাওয়া ফুলরা ফের জেগে উঠে এক ফোঁটা বৃষ্টির ধারায়।
১৮। আফোঁটা ফুলে লেগে থাকে বৃষ্টির ছাট, চুকে গেছে ধূলোবালির জেগে থাকার পাঠ
এখানে কেবল সজীব প্রহর, পরিচ্ছন্ন আমার শহর
নিমন্তন্ন রইলো, তুমি এসো, আমায় নিয়ে সুখে ভেসো.....
ভেজা অনুভূতি গায়ে মেখে, আমার ছবিটাই নিয়ো মন ক্যানভাসে এঁকে।
১৯। গোলাপী রঙ রঙনে বৃষ্টি এখনো লেগে আছে, ওরা লাজুক লতা, খুশিতে আচ্ছন্ন হয়ে পাপড়ি মেলে দাঁড়িয়ে থাকে মানুষকে মুগ্ধতা দিতে। আর আমি মুগ্ধতার দামে এসব কিনে নেই। বুকের বামে সন্তর্পনে রেখে দেই........যখনই বিমর্ষ ক্ষণ ধরে ঝাপটে আমি স্মৃতির ডালা খুলে সুখ রোমন্থন করি মুহুর্তেই।
২০। ফুটবে বলে অপেক্ষায় ফুলরা বসেছিলো ডালে ডালে, আচম্বিতে নেমে আসে অজোর বৃষ্টি, সুখে মুহ্যমান ওরা ফুটার কথা বেভোল ভুলে বৃষ্টি স্নানে রত। আমি মুগ্ধতা কুঁড়াই ওদের দেখে।
২১। উপুর হয়ে আছে বেলী, জলের স্পর্শে তাজা
কাঠবেলীরা হলো প্রজা, বৃষ্টি আজকে রাজা।
ঝড়ো হাওয়া ঝরে গেলো, পাপড়ি ফুলের হাজার
গাছের নিচে বসেছে খুব, ফুল আর পাপড়ির বাজার।
২২। টাইগার লিলি ফুটে থাকে, মুগ্ধতার এক হাসি দিয়ে
এক পশলা বৃষ্টি এসে ওদের সুখে ভিজিয়ে দিয়ে যায়, তরতাজা প্রহর পাপড়িতে বহন করে ওরা হাসতে হাসতে চুপসে যায় রোদ এলেই। ভালো লাগে আমার এমন প্রহর।
২৩। মুক্তোর দানা বৃষ্টির ফোঁটা, লিলির গায়ে ঝুলে আছে মুগ্ধতার এক ক্ষণে, ছুঁয়ে দিলেই গড়িয়ে পড়ে মাটিতে, টুপটাপ জল গড়ায় আর লিলি হাসে আর দুল খায় আপন মনে।
২৪। কাঠবেলীরা বৃষ্টি স্নান শেষে নুয়ে পড়ে মর্ত্যে, রোদ এলেই এরা ফুটবে, সে আশ্বাসে ডাল আঁকড়ে বেঁচে থাকে মুগ্ধতায়। আল্লাহ তাআলার এসব সুন্দর সৃষ্টি ভালোবেসে আমি মুহর্তেই কবি হয়ে যাই অথচ কবিতা আমায় দেখে উল্টো পথে হেঁটে যায় । তাতে কী আমি আমার মত মুগ্ধতা কুঁড়াই বেঁচে থাকি উচ্ছলতায়। জীবন একটাই........মুগ্ধতা আর সুখ কুড়াতে তবে কেনো কার্পণ্য।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:১৬