ক্যানন ক্যামেরা তোলা বিভিন্ন সময়ের তোলা ছবি। আশা করি ভালো লাগবে।
১।#চলো_হারাই_আজ_মল্লিকা_বনে
হলুদ রোদের লুকোচুরি-ফাগুন দিনের ফুলে
তুমি আমি হলুদ সাজে-হাওয়ায় যাচ্ছি দুলে।
না ছুঁয়ো না চোখের পাতা-নিভে যাবে রোদ্দুর
ছড়াক হাওয়ায় প্রেম আমাদের-কাঁপুক এ বুক দুদ্দুর!
মল্লিকা ফুল রঙ হলুদে-সাজিয়েছি দেহ
হলুদ রোদ্দুর চোখে এসে-বুলায় আলোর স্নেহ।
কমলা টিপ হলুদ শাড়ি -চোখের নিচে অঞ্জন
তোমার বুকে ছুটাছুটি-প্রেম পাখি হই খঞ্জন!
২। =যেখানে ধূলোমাটিতে রোয়া আছে শান্তির চারা=
মাছের আঁশটে ঘ্রাণ মাখানো একটি দুপুর,
দূর হতে ভেসে আসে বাতাসের সুর
রোদ্দুরের সাথে দুপুরের কানাকানি আর
মেঘ-রোদ্দুরের লুকোচুরি খেলা
এ যেনো গা ছুঁয়ে থাকা একটি মিষ্টি বেলা।
কান পেতে শুনি......
কে কয় কথা রিনিঝিনি সুরে দূরের বাঁশবনে,
ঐ যে বাঁশগুলো হেলে দুলে বাতাসের তালে তালে নৃত্যে মত্ত,
ভালো লাগার প্রহর আলতো ছুঁয়ে যায় মন;
ঠিক তখনই.............
ঔদাসিন্য সব দূরে ঠেলে পা রাখি ধূলো বালির পথে,
বন্ধ চোখে নি:শ্বাসে নেই বাতাসের ঘ্রাণ।
৩। প্রজাপতি_প্রহর
ধার দিবি কি তোর ডানা দুটো-ও প্রজাপতি?
উড়ে যাবো বাবার দেশে,
যেথায় আমার স্মৃতিগুলো উপুর হয়ে আছে
দিবি কি তোর ডানা দুটো-
কি-বা এমন হবে ক্ষতি
ও প্রজাপতি।।
৪। #ফিরে_যাবো_সেই_সেই_সভ্যতায়
সভ্যতার দ্বারে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম একদিন
অতীত ভেবে গায়ে কাঁটা শিহরণ জেগেছিল
চিন্তার বেড়াজালে কেবল সেই সেই সভ্যতা আটকে যায়,
যেখানে কাদা ধূলো বালির মেঠোপথ ছিল,
সেই উঁচু নিচু উসকো খুসকো পথ মাড়িয়ে
গড়গড়িয়ে শ্লথ গতিতে হেঁটে যেতো গরু'রা
তাদের পিঠে ছিল জোয়াল......
জোয়ালে আটকে থাকতো, কাঠ কিংবা বাঁশ অথবা
মানুষের বোঝাই।
অক্লান্ত পরিশ্রমের সূতোয় ধরে পথ এগোতো গাড়িয়াল ভাই।
৫। #মেয়েবেলা_সেই_মেয়েবেলা
মেয়েবেলা সেই মেয়েবেলা, দুরন্তপনা আসি ছোঁয়ে
কে রেখেছে এখানটাতে ভালোবাসা রোয়ে!
মেয়েবেলা সেই মেয়েবেলা
যেথায় বসতো রোজ বিকেলে-ডানপিঠেদের মেলা।
দূর্বাঘাসের গালিচাতে-বসে কাটাই রোজ বিকেলে
মেয়েবেলা সেই মেয়েবেলা-এখন বলি সে ছিলো খুব সেকেলে,
মধ্য বয়স-যাই ফিরে যাই টাইম মেশিনে সেই মেয়েবেলায়
হারাই আমি-হ্যাঁ এখনো, ওদের মাঝে-দৌঁড়ঝাপ করার আজব খেলায়।
৬। আমার_গায়ের_ধূলোমাটি
আমার গায়ের ধূলো মাটি-শিশির ভেজা দূর্বাঘাসে
পিঁপড়া ফড়িঙ প্রজাপতি-কিংবা বসে রোদ্দুর হাসে।
আমার গায়ের তরু লতা -বৃষ্টি ভেজা সবুজ পাতায়
টলমলে জল মুক্তোর দানা-বসে থাকে ঘাসের মাথায়।
আমার গায়ের বটের ছায়ায়-বাঁশি বাজায় রাখাল ছেলে
বটের ডালে কোকিল জোড়া-সুখের তরে পাখনা মেলে!
কুহু সুরের পাগল হাওয়া-আমার গায়ের আকাশ জুড়ে
ফুটে থাকে শিমুল অশোক-শিউলি ফোটা আলোর ভোরে।
৭। #চলো_ব্যাঙ_হয়ে_যাই
চলো ব্যাঙ হয়ে যাই তুমি আমি, লম্ফ ঝম্প দিয়ে বসি গিয়ে পদ্ম পাতায়
সুখের ঠেলায়, চলো ব্যাঙ হয়ে যাই এবেলা-জলের উপর পাতার ছাতায়
রোদ্দুর পোহাই দু'জন মিলে, এ'পাতা আর ও'পাতায়-
ছন্দ গড়ি মনের খাতায়
চলো ব্যাঙ হয়ে যাই জলের উপুর
সাঁতার কাটি প্রেমের জলে উদাস দুপুর
সুর তুলে গাক্ উদাস পাখি - যাক না প্রেমে ডাকি ডাকি-
চলো জলের উপর দৃষ্টি রাখি, প্রেমের হাওয়ায় উদাস থাকি।
৮। #মুগ্ধতাতে_আছি
ঘাসফুলের ঐ পাতার উপর-মৌ'পোকাদের বসছে মেলা
গুনগুনিয়ে গাইছে সুরে-দেখতে দেখতে যায় যে বেলা,
অপেক্ষাতে ছিলাম তোমার-আসলে না যে, বসে আছি
খেলছো নাকি প্রেমের ছলে- আমার সাথে কানামাছি?
নাই-বা আসলে কথা দিয়ে-ভাল আছি সুখের ছোঁয়ায়
চারিদিকে মুগ্ধতার রেশ-মাঘের শেষের স্নিগ্ধ হাওয়ায়!
কতকিছু দেখছি চোখে-প্রজাপতি রঙিন পাতা
এই দেখো না গাছের তলায়-খুলে বসছি কাব্যের খাতা।
৯। ঘাটে_বাঁধা_আছে_নৌকা_মাঝি
ঘাটে বাঁধা আছে নৌকা- ভাসতে ইচ্ছে মনে-চল্ ভাসি পাশাপাশি
তুই মাঝি-আমি মাঝি-বৈঠা হাতে জলে ভাসাভাসি
চল্
দুটো নৌকায় দুজনা রাখি পা- এবেলা না হয় খেলি নৌকা দৌঁড় খেলা
এপার হতে ওপারে যাব-ফিরে আসবো এপারে-
কেটে যাক না হয় পুরো একটি বেলা।
কে জিতে কে হারে, দেখে নেই এবার!-ওয়ান টু থ্রি
আহা কুয়াশাচ্ছন্ন, মিষ্টি রোদ দিন-হীম হাওয়া বইছে ঝিরিঝিরি।
জলের ছিটায় সিক্ত হই-স্বস্তি নেই টেনে বুকে-
তুই মাঝি ভেসে যা-আমার আগে
না হয় আমি যাই-কে কারে আর রুখে।
আচ্ছা তুই কি আমায় হারাতে চাইবি? নাকি আমি হেরে যাবো?
ফেলে যাবি এপারে-তোকে কি আর ফিরে পাবো?
১০। নদীর_চর_আমাদের_সমুদ্র_সৈকত
শুকনো নদীর বালুচর পথই হোক-আমাদের সমুদ্র সৈকত
চলো ঘুরে আসি এবেলা ওপথ,
ঝিনুক নাই-বা কুঁড়ালাম এখানে-জলে পা ডুবিয়ে খানিকটা হাঁটব
ভিজে যাক বসন, গল্পোচ্ছলে দু'জনার সুখ দু:খ বাটব।
আজ আর দূর্বাঘাসে নয় আসন পেতে বসা
নোংরা হোক গায়ের কাপড়, হোক ভিজে বালির গালিচা আজ চষা,
পা ছড়িয়ে বসে আমরা, মানুষ দেখব-দেখব মানুষের হাসি
উচ্ছ্বাস দেখব আর, খুঁজব ঠোঁটে তাদের মুগ্ধতা রাশি রাশি।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৪১