somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এলোমেলো স্মৃতিচারণ.......

২৮ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শাশুড়ির বাড়ি... এখন শুধুই হাহাকার
================================
স্মৃতিগুলো একদিন ধূসর রঙ হবে। স্মৃতির পাতা মলিন, পোকা খাওয়া একাংশ হবে। হয়তো মনে পড়বে না আজ এদিন গত পরশু অথবা গত ২৩ মে ২০১৯। ভুলে যাবো যে চিরতরে চলে যায় তাকেও। এ যে এক নিয়ম জীবনের। এর উর্ধ্বে তুমি আমি সে কেউ নয়। কিছু স্মৃতি লিখে রাখা সমীচীন মনে করছি। কারণ কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পথ আর আমার জানা নেই । ভবিষ্যতে হয়তো লেখাগুলো পড়ে স্মৃতিকে জাগ্রত করার প্রচেষ্টা করা যেতে পারে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে তাঁর গল্প কিছুটা হলেও শুনাতে পারবো।

তাঁর চার ছেলে চার মেয়ে, তাঁর তৃতীয় সন্তান আমার বর (বদের হাড্ডি), তা-সীন তা-মীমের বাপ (আস্ত বদ বেডা)। তিনি আমার শাশুড়ি হন। গত ২৩ মে ২০১৯ তারিখ রাত নয়টায় আল্লাহর প্রিয় হন। আমার বিয়ের কয়েকবছর শ্বশুর বেঁচেছিলেন। শাশুড়ি তখন গ্রামেই থাকতেন। শ্বশুর মারা যাওয়ার পর থেকে তিনি আমার মানে আমাদের সাথেই ঢাকাতে ছিলেন। আমি নিজ চোখে দেখেছি তিনি কিভাবে আটটি ছেলেমেয়েকে মুঠোয় আঁকড়ে রেখেছিলেন। ভাঙ্গনের সুর ছিলো না তাঁর সংসারে। তিনি কাউকে আলাদা হতে দেননি। প্রায় ষোল বছর আমরা একসাথে ছিলাম। তিনি আমার সাথে থাকার ফলে আমার চাকুরী জীবন নিশ্চিন্তে কেটেছে। আমার দু' ছেলে তাঁর হাত ধরেই বড় হয়েছে।

তাঁর অবদান আমি কখনো ভুলবো না। আমার ছেলেরা যা পছন্দ করতো সেটাই তিনি রেঁধে খাওয়াতেন। তাঁর কোনো ক্লান্তি আমার চোখে পড়েনি। রান্না বান্না নিয়েই তাঁর জীবন কেটেছে। সংসারের হাল তিনি ছেড়ে দেননি। ছেড়েছেন মাত্র তিন বছর হলো। আমি আলসে মানুষ রান্না বান্না সংসারের দায়িত্ব আমি আর নেইনি। রাইন্ধা বাইড়া অফিস কইরা বাচ্চা পাইলা আমার পক্ষে কষ্টকর ছিলো। কারণ আমি আদুরে মাইয়া। মা বাবাও আদর কইরা মানুষ করছে । কাজের বেলা আমার বড় বোন ছোট বোনই করতো। আমার কথা বললে আম্মা কইতো আরে দেখস না কেমন রোগা পাতলা গাঁয়ে শক্তি আছেনি যে কাম করতো। আমি ঠিক তখনো বাঁইচা যাইতাম।

আমার শাশুড়ি তাদের গ্রামের বাড়িতে গেলেও অন্য বউরা রান্না বান্না কাজ কাম করতো তিনি আমাকে দিয়ে করাতেন না। সবাইকে বলতেন তা-সীনের মা এসব পারবে না, তোমরাই করো, ব্যস কাজ থেকে বেঁচে যেতাম। প্রতিবছর আমরা গ্রামের বাড়িতে যেতাম । আমি টো টো করে ঘুরে বেড়াতাম ক্যামেরা হাতে নিয়ে। নদীর পাড়ে যেখানে ইচ্ছে সেখানে। যেখানে অন্য বউরা বাড়ি থেকে বের হতোই না। আম্মাকে বললেই হতো আম্মা এই জিনিস খেতে মন চায়। ব্যস তিনি অন্য বউদের দিয়ে রান্না করাতেন। শাশুড়ি আমার বরের মাঝেই বেশী ভরসা খুঁজে পেতেন। তাই বড় ভাই থাকতেও তিনি আমাদের কাছেই থাকতেন। এতে লাভবান আমরাই হয়েছিলাম। ঘরের একজন মুরুব্বী মাথায় শান্তির ছাতা। অবশ্য দেবর আর দেবরের বউ বাচ্চা আমার সাথ্ থাকে । মানে যৌথ ফ্যামিলি আমরা। বাচ্চাদের রেখে আসা আমার জন্য নিশ্চিন্ত প্রহর অফিস। শাশুড়ি যখন রান্না ছেড়ে দিলেন তখন প্রায় বছর খানেক আমি সকালে রান্তা করতাম। অবশ্য সব সময় একজন হেল্পার আমাদের বাসায় থাকেই। যার কারণে রান্না বান্নায় তেমন কষ্ট হয় না বা হচ্ছে না। পরে রান্নার দায়িত্ব দেবরের বউয়ের হাতে গিয়ে পড়লো এখন পর্যন্ত দেবরের বউ রান্না করতেছে। শাশুড়ি বলে দিতেন কী দিয়ে কী রান্না হবে, এতে আমাদের কোনো চিন্তা থাকতো না। কারণ তার ছেলেরা তাঁদের মায়ের পছন্দ করা খারারের মেন্যু দেখে আমাদেরকে উচ্চবাচ্য বলার সুযোগ পেতো না।

দুই বছর আগে দশ রমজানের রাতে শাশুড়ি অসুস্থ হয়ে পড়লেন, ক্রিটিনাইন একটু বাড়তির দিকে। রক্তশূন্যতা আর হাই প্রেসার। ব্যস তার কষ্টে দিনগুলো শুরু। দেখেছি তার পড়ে যাওয়ার দৃশ্য মানে বিছানায় পড়ার দৃশ্য। কষ্টের দিনগুলো তাঁর পাশেই ছিলাম । তাই কষ্টগুলো বড্ড বেশী উপলব্ধি করি আর তাঁর মাঝেই আমি আমাকে দেখতে পাই। তাঁকে দেখে বারবার বলি জীবন কিছুই নয়, জীবন কিছুই না। তাঁর সাথে আমার অমিলও বেশী ছিলো কারণ উনারা ময়মনসিংহ আর আমি একলা সিলেট মানে হবিগঞ্জের। কস্ট হতো খাওয়া দাওয়ায়, তাদের কালচারের সাথের আমার কালচার কখনো মিলতো না। সবাই মিলে সিলেটকে পঁচাতো কেবল আমি কান্না করতাম। তারপরও আমি কখনো কারো সাথে মনোমালিণ্যের দিকে যাই নি। ভেবেছি সবাই মিলেমেশ থাকাটাই অনেক আনন্দের ব্যাপার। আমার অনেক কিছুই উনার হয়তো পছন্দ ছিলো না আমারও উনার অনেক কিছু পছন্দের ছিলো না তাতে কী তারপরও আমরা একসাথে এক ছাদের নিচে প্রায় ষোল বছর কাটিয়ে দিয়েছে। অবশ্যই ভালোবাসার বীজ বুকে রোপন করা ছিলো। আমার ছেলেরা না খেলে উনি খেতেন না। না খাওয়া পর্যন্ত অনেক জ্বালাতে সবাইকে। সবাই বিরক্ত হতো সেদিকে তিনি ভ্রুপেক্ষ করতেন না বলেই যেতেন তা-সীন খায়নি আজ, আমি রেগে বলতাম আম্মা তা-সীন না খাইলে ক্যামনে খাওয়াইতাম আপনিই কন। তা-সীনও না খেয়েও বলতো দাদু খেয়েছি তুমি চিন্তা করো না। আমরা কেউ বাসায় একটু দেরী করে ফিরলেই তিনি চিন্তা করতেন আর দেবরের বউকে ফোন দিতে বলতেন। দরজার দিকে মুখ করে বিছানায় শুয়ে তাকিয়ে থাকতেন কখন আমরা সবাই বাসায় ফিরবো। আরও কত শত স্মৃতি জড়িত শাশুড়ির সাথে। আবারও হয়তো লিখতে বসবো।

সেদিন বৃহস্পতিবার সারাদিনই তিনি একটু বেশী অসুস্থ হয়ে পড়লেন। অফিস থেকে এক ফাঁকে দেখে এসেছি। আবার বিকেলে শরীর খারাপ, সেদিন তিনি সারাদিনই কালেমা পড়েছেন। প্রায় দুই তিন মাস যাবত তাকাননি। সেদিন বড় চোখে তাকিয়ে সবাইকে দেখেছেন। আমরা ইফতার করে তার মাথার কাছে বসে সূরা ইয়াসিন পড়েছি। তা-সীনও সূরা ইয়াসীন পড়েছে। পড়া শেষে আমি তাঁর মাথার কাছে বসতেই তিনি আমার দিকে মাথা নিয়ে আসলেন ঘুরিয়ে যেনো আমার কোলেই। আমি মাথায় বিলি কেটে দিতেছি আর দিতেছি দেখলাম যেনো একটু আরাম পাচ্ছেন কারণ প্রচুর শ্বাসকষ্ট আর হাই প্রেসার তখনো। মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে ঘুমিয়ে পড়লেন। আমি উঠে গেলাম, কিছুক্ষণ পর এসে দেখি জেগেছেন আমার মাথায় বিলি কেটে দিলাম আবারও ঘুমালেন। তারাবীর নামাজ পড়তে গেলাম ভাবলাম নামাজ পড়ে এসে বসবো তাঁর কাছে। নামাজ কিছু বাকী থাকতেই তা-মীম আমাকে ডাকছে মা আসো দাদুর বেশী শরীর খারাপ। কী নিরব শুয়ে আছেন, সবাই কালেমা পড়তেছি জোরে জোরে, আমি পায়ের তলা মালিশ করে দিচ্ছি আমার বর হাতের নাড়ী ধরে আছে বাসার সবাই তাকে ঘিরে আছি। মুহুর্তেবই দপ করে তাঁর শ্বাসকষ্ট ভালো হয়ে গেলো, স্বাভাবিক নি:শ্বাস, একটু একটু চোখ বন্ধ, পশ্চিমে চোখ ঘুরিয়ে নিতেই দেখলাম মুখে ফেনা ব্যস তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে। এত কাছ থেকে মৃত্যু এই প্রথম আমি দেখেছি। ভাবতেই পারি না এত মানুষের মাঝখান থেকে কেবল উনিই চলে গেলেন। মাথায় হাত দিলাম কপালে হাত দিলাম হাতে স্পর্শ করলাম ধীরে ধীরে ঠান্ডা হতে শুরু করলো। জীবন কিছুই নয়, জীবন এক ঝরা পাতা। বিত্ত বৈভব অহংকার তবে কেনো মানুষ করে। কেনো এতো চাহিদা এত হাহাকার এত অপূর্ণতা মানুষের মাঝে । কেনো মানুষ হিংস্র হয় কেনো মানুষ খুনী হয়। আর ভাবতেই পারছি না। অনেক বলার ছিলো অন্যদিন হয়তো বলে ফেলবো নির্দ্বিধায়।

শাশুড়িকে দেখে দেখে তাঁকে নিয়ে অনেক লেখাই লিখে ফেলেছিলাম... তার মাঝে তিনটি লেখা এখানে থাকুক স্মৃতি হয়ে। প্লিজ বিরক্ত হবেন না এসব অলেখা পড়ে। আমি কবিও না লেখকও না কিন্তু।

১।
=কষ্ট লাঘব করে দাও প্রভু=
নি:শ্বাসের আসা যাওয়ায় বিশ্বাস খুঁজি আমরা কয়জন
কখনো তাকিয়ে থাকি পায়ের দিকে কখনো চোখের পাতায়,
বুকের খাঁচায় উনি পুষে রেখেছেন এক ঝগড়াটে পাখি
দিনভর খাউমাউ জুড়ে দিয়ে উনাকে পাগল করে রাখে;
উনি নি:শ্বাস খুঁজে পান না নি:শ্বাস ছেড়ে।

কী এক বিভৎস মুহুর্তগুলো অশীতিপর মানুষটির,
মুখে বোল নেই, চোখজুড়ে মাকড়শারা বেঁধেছে বাসা
কী আকূতি বেঁচে থাকার, একটু স্বস্তির নি:শ্বাস নেয়ার
আহা রে তা আর হয়ে উঠে না; ক্রমেই বাড়ে তার যন্ত্রণা।

ক্যানোলার ঘা হাতে, নীলাভ গায়ের চামড়া,
একটু আঁচড়েই ক্ষয়ে যায় চামড়া, মাংসগুলো আছে ঝুলে,
যতনে গড়া দেহে তার চিহ্নভিন্ন সুইয়ের গুতা;
দীর্ঘশ্বাসগুলো যেনো থেমে সেই কবে,
এখানে এই দেহে কেবল অপেক্ষা, বেঁচে থাকা অথবা
একেবারে বেলাশেষের খেয়ার পা রাখার।

সহসা কেঁপে উঠে আমার বুক, সহসা কেঁপে যায় তার
নাতি নাতনি আর তার আত্মজদের কলিজা,
কারো কেঁপে উঠে চোখ, ভিজে যায় পাতা.......
কানের কাছে কেবল আল্লাহ্ আল্লাহ্ আল্লাহ রব,
কেউ সুরা ইয়াসিন কেউ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্........
আমি কেবল তার যন্ত্রণা লাঘবের প্রার্থনা করি বার বার।

ক্ষমা করার মালিক তো তিনি,
তার বান্দার কষ্ট তিনি সইবেন কাহাতক,
তিনিই মুক্ত করবেন তিনিই কষ্ট দিবেন তিনিই সব জানেন
তিনিই ভালো বুঝেন, তাঁর উপরে আর কেহ নাই কিছু বলার
কিছুর জানার নেই আর মাবুদ আমাদের; তুমি রহিমু রহমান
তুমি দয়াশীল তুমি মেহেরবান, তোমার বান্দার দেখভাল
কেবল তোমার হাতে, আমরা কেবল প্রার্থনায় হই নত
তুমিই ভালো জানো তোমার বান্দার হাল তুমি করবে কী।

২। ©কাজী ফাতেমা ছবি
=কষ্টের পাহাড় জমা বুকে
ধৈর্য্যের ওপারে সুখ আছে, তা কেমন করে, কোথায় সে সুখ?
নির্ভেজাল জীবন, কেবল সন্তান মানুষ করা আর
সংসার সংসার করে সময় কাটানো মানুষটি আজ বিছানায় শুয়ে,
তার যন্ত্রণার প্রতিটি শব্দ বুকে যেনো হাম্বলের বাড়ি।

আমি অপলক তাকিয়ে কেবল তার মাঝে আমাকে দেখি,
হে পরোয়ার দিগার, সুস্থ আমায় নিয়ে যেয়ো..
এমন বিভৎস, দু:সহ কষ্ট দিয়ো না যেনো শেষে,
বুক আমার ভারী হয়, হিমালয় পাহাড় চাপা।

কত যতনে গড়া সংসার, কত সুন্দর বিছানা পরিপাটি,
রান্নায় মন দেয় নারী, কে কী খাবে, স্বাদ কেমন হবে
ভাবনা আকাশ পাতাল নিয়ে কেবল অন্যের সুখ সুবিধা
খুঁজে নেয়া মানুষটি আজ দুনিয়ায় বেখেয়ালী মানুষ অন্য।

বুক উঠানামা ক্রমান্বয়ে, নি:শ্বাসের ব্যাঘাত প্রতিনিয়ত তার
ফুসফুস পাচ্ছে না পর্যাপ্ত অক্সিজেন, চোখগুলো রক্তবর্ণ
যেনো এখনি গলে যাবে, আমি আর তাকাতে পারি না,
চোখের কোণ বেয়ে গড়িয়ে যায় ক'ফোটা জল।

পরনির্ভরশীলতার এক জীবন, বিতিকিচ্ছিরি এক মুহুর্ত
কেউ কাৎ করালে তিনি কাৎ, নয়তো সটান শুয়ে যন্ত্রণায়;
বাক শক্তি সে কবেই চলে গেছে, ডাকলে না শুনার ভান
দু:খে ভেতর ফেটে যায় আমার, একি! দুরাবস্থা বহাল আজ।

কী এক জীবন, মোহ মায়া আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকি
যতই আগাচ্ছি, চাকচিক্যতার আড়ালে খুঁজি সুখ,
মুহুর্তেই মনে এসব ভ্রম, সবই ভ্রম, যেতে হবে তাঁর ডাকে
যেদিন চলে আসে ডাক, চলে যাবো নিশ্চুপ আমি,
ফরিয়াদ তব তাঁর কাছে আমার, নিয়ে যেয়ো সময় হলে
আমার ভার দিয়ো না প্রভু অন্য কারো হাতে,
কেউ যেনো না বলে তাকে পরিচর্যা বড় কষ্ট ।

৩। ©কাজী ফাতেমা ছবি
#শ্বাশুরির বিদায় বেলা
ভিতরবাড়িতে হাহাকার জমা যেনো লক্ষ...
তাঁর রুমের সামনে দাঁড়ালেই কেঁপে উঠে বক্ষ,
বাঁধ মানে দু'চোখ
আরেকবার দেখার স্বাধ, মন উন্মুখ।

বিছানাখান তাঁর পড়ে আছে খালি
আহা জীবন তুই যেনো চোরাবালি!
সহসা পা পড়ে যায় ফাঁদে, আর ফেরা যায় না
জীবন মাঝি হাতে নিয়ে শক্ত, বৈঠা আর বায় না,
শ্বাসের উঠানামা
আহা জীবন সারেগামা....
সুর তুলে বুকে, বাজে বেঁচে থাকার ঝংকার
আযরাইল অদৃশ্য, কখন করে প্রাণ সংহার।

আমি আমরা বয়সীর চারপাশে আছি বসে
উনি বিড়বিড় করে জীবন অঙ্ক যান কষে,
কখনো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ,
রহম করো রহম করো ইয়া আল্লাহ্ ইয়া আল্লাহ্
কখনো সূরা ইয়াসিন,
তখনো বুকে উনার বাজে নিঃশ্বাসের বীন।

দোয়া দরুদ মুহুর্মুহু বেজে উঠে ঠোঁটে ঠোঁটে,
কখন জানি উনার মুখেও বোল যায় ফুটে,
কালেমা ঠোঁটে নিয়ে উনি বিছানায় সটান শুয়ে
ঈমাণের ভিত এতটা মজবুত, আল্লাহ রহিমুর রহমান
হে মাবুদ তোমার দয়া তোমার রহমত
আমাদের উপর বহমান।

এতটি প্রাণী তাঁর আপনজন, চারিদিক ঘিরে
শেষ বেলা তাঁর চোখ খুলে যায়,
বড় বড় চোখ আমাদের দেখেছিলো ফিরে ফিরে,
তাঁর হাত পা বুক ছুঁয়ে আছি আমরা, হয়রান ডেকে ডেকে
হুট করে থেমে যায় নিঃশ্বাস,
তিনি চিরতরে চলে গেলেন আমাদের রেখে।

পরিবারের মাথার ছাতা, দমকা হাওয়ায় গেলো উড়ে
উনাকে বলেছি আমরাও একই পথের যাত্রী
আসছি আম্মা....সে পথ নয় আর দূরে,
দুঃখী চোখে কেবল জল আর প্রার্থনা...
লাঘব করে দিয়ো তাঁর কষ্ট যন্ত্রণা
মাবুদ তুমি জান্নাত করো নসীব, ভালো রেখো তাঁকে
উনার অপরাধ করো মার্জনা,
আর তাঁর সন্তানদের শোক সইবার
ক্ষমতা দিয়ো তাদের হৃদয় বাঁকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:২৩
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×