©কাজী ফাতেমা ছবি
কেমন করে যেন আনন্দ ঘুড়ির সুতোটা ধরে ফেলেছিলাম
কল্পলোকের সিঁড়ি বেয়েই এতদিন খুঁজেছি আনন্দ ঘরের ঠিকানা,
কখনো ভেবেছি হয়তো সুতোটা ছিঁড়ে যাবে অথবা
পা পিছলে পড়ে যাবো আর আনন্দ ঘুড়ি উড়ে যাবে
অন্যদের সীমানায় অন্য আকাশে।
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে
আমি গিয়েছিলাম সকলের মাঝে সকলের সঙ্গে বসে
আনন্দ উপভোগ করতে, কেমন করে বুঝাবো সে
সীমাহীন আনন্দ আমার বুকের নদীতে খেলেছিলো উথাল পাথাল ঢেউ।
অচেনা অজানা মানুষগুলোর পাশ ঘেঁষে বসে অনুভব করেছি
কতটা আন্তরিকতায় ভরা অচেনা বন্ধুদের মন মানসিকতা
উচ্চমার্গীয় স্বভাব আচরণ বন্ধুত্ব সুলভ;
গল্প কথার ফুলঝুরিতে হেসেছি খুব হিহি হি হি হাহাহাহা;
আমার ব্লগার বন্ধুরা, ভাবিনি দেখা হবে কখনো
বুঝিনি এমনভাবে চিনে নেবো, অনুভব করিনি মনের সাথে মন
এমনভাবে সুখের আবেশে মিশে যাবো;
কত দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসা প্রিয় প্রিয় মানুষগুলো,
একেকটা মুখোচ্ছবিতে রাজ্যের খুশি আঁকা ছিলো।
দেখা হয়ে গেলো না চাইতেই, যেমন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি
আহা কী সুখী সুখী মুখগুলো অনায়াসে আমাকে চিনে নিয়েছিল
চোখের কোণে কেবল খুশির ঝিলিক., হয়তো দু'এক ফোঁটা
খুশির অশ্রুও ছিলো, বেখেয়ালী মানুষ আমি
খেয়ালীপনায় হারিয়ে গিয়েছিলাম ওদের মাঝে, প্রিয় সব
মানুষের ভিড়ে নিজেকে খুঁজে পেয়েছি একজন সফল
ব্লগার হিসেবে।
কত অপরিচিতি মুখ হয়ে গেলো নিমেষেই চেনা, পাহাড় সম আপন
আড্ডা গল্প আর শীতের পিঠে খাওয়ার ধুম
সেকী সুখ আবেগ ঝরে পড়েছিল আপনজনদের চোখের আয়নায়;
আমি কেবল হাসি হাসি মুখগুলো ক্লিকে ক্লিকে করেছি স্মৃতির দেয়ালে বন্দি।
অতি প্রিয় রাবেয়া বু, প্রিয় নাজমা আপা, লিলিয়ান আপা, তিতির আপা
শাহিদা তানিয়া আপা, পনি আপা, সবাই এক সঙ্গে খেয়েছিলাম ভাপা;
আরও আছেন সঙ্গে যারা, তারা লিটন ভাই, নীল দা, জাদিদ ভাই,
যেদিকে তাকাই প্রিয়দের মুখই খুঁজে পাই।
ছিলেন শিমুল ভাবী, স্বপ্নবাজ সৌরভ, শাকি, প্রামাণিক ভাই, হাবিব স্যার, এটিএম মোস্তফা ভাই
নীল আকাশ, শাহিন বিন রফিক ভাইয়া, মীম ভাইয়া, হুমায়ুন ভাই
এদিক ওদিক নাম না জানা কত ভাইয়া করে গেলে শুধু খাই খাই।
আলমগীর ভাই, চারু মান্নান ভাই, মোকসেদ ভাই,
সকলে মিলে একদিন আজ বিকেলে নিয়েছিলাম আড্ডাঘরে ঠাঁই।
প্রাণোচ্ছল মানুষগুলোর ভিতরে আমিও ডুব দিয়েছিলাম উচ্ছ্বাসে
কতটা ভালোবাসে মানুষ আমায় টের পেয়েছি আজ,
এই তো জীবন সকল স্বার্থ দূরে ঠেলে আমরা একত্রিত হয়েছি,
মুখে ঠোঁটে হাসির কলরোলে ঝংকারে অনুষ্ঠানে উপছে পড়া
আনন্দের দাঁড় টেনে নিয়েছিলেন নীল দা জাদিদ ভাইয়া।
সে ছিলো এগারো তম ব্লগ দিবস, ঊনিশের অনুষ্ঠান এসে ঠেকেছিলো
পঁচিশে ডিসেম্বর, আড়ম্বরপূর্ণ আনন্দের বেড়াজালে সহসা পড়ে গিয়েছিলাম আটকা;
বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ কান পেতে শুনেছিলাম মিহি সুরের বাঁশি আহা,
মুখে মুখে একই শ্লোগান, সামহোয়্যার ব্লগ দীর্ঘজীবী হোক।
সেই স্মৃতিমুখর ক্ষণে হাতে পেয়েছিলাম বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজ ম্যাগাজিন
হৃদয়ের তারে বেজে উঠেছিলো সুরের মুর্চ্ছণা আনন্দের ঝংকার
হ্যাঁ মনের তারে বেজেছিলো সুখের বীণ।
ছাপার অক্ষরে লেখা কত গল্প উপন্যাস আর ছড়া কবিতা
আর ভ্রমণ কাহিনী স্মৃতি কথা গাঁথা হয়েছে উফ্;
একশত দুই গুন খুশি বুকের বামে উথাল পাথাল নৃত্য তুলে আজ।
স্মৃতির দেরাজে তুলে রাখলাম এ দিন, এইসব আনন্দ কলতান,
যত প্রিয় মুখ, একদিন দেরাজের তালা খুলে করবো সুখ আহরণ
স্মৃতির জলে ভেসে ভেসে অথবা সাঁতার কাটবো কখনো আনমনায়।
আমাদের ব্লগ, সামহোয়্যার ব্লগ, আমাদের মাঝে
বেঁচে থাকুক অনন্তকাল।
১। উনি আমাদের জাদিদ ভাইয়া ব্লগ নিক (কাল্পনিক ভালোবাসা)
২।
৩। বাম থেকে মনিরা আপা, লিলিয়ান আপা আর শাহিন ভাইয়া আর পিছনে ম্যাড ফর সামু ভাইয়া
৪। এটি এম মোস্তফা কামাল ভাইয়া
৫। পিঠাওয়ালা ভাইয়া
৬। বাম থেকে, নাজমা আপা (উনি ব্লগার না, আমাদের বন্ধু),আরজু পনি আপা, রাবেয়া আপা, শাহিদা তানিয়া আপা
৭।
৯। শিমুল ভাবি (নীল দার ওয়াইফ) আর লিলিয়ান আপা
৷
এগুলো মোবাইল দিয়ে তোলা। ক্যামেরারগুলো কাল।