somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

» অতীতের সুতায় রেখেছি বেঁধে বর্তমান (নৈমিত্তিক জীবন যাপন)(ছবি ব্লগ প্রতিযোগিতা, পর্ব-৩)

২৭ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
০১। পিকনিক =



০১। এখনকার যুগে এমন আয়োজন কমই হয় দেখলাম। বাচ্চারা আমাদের মত মিছে মিছে বালির ভাত রাঁধে না। তরু লতার সবজি কাটে না। ইটের মসলা পানি লাল করে তরকারী রান্না করে না। এখন টিভিতেই ব্যস্ত থাকে ওরা। মিছে মিছে পিকনিক বেলাগুলো খুব মনে পড়ে। আমরা ভাইবোনেরা এই মিছে পিকনিক অনেক খেলেছি।আমরা বলতাম তোফাতি। তোফাতি নিয়া কত ঝগড়াঝাটিও হইতো। ব্যস খেলাঘর এলোমেলো হয়ে যেত নিমেষেই। ফিরে যেতাম যে যার ঘরে মন বেজার করে। সেই দিনগুলো আর আসবে না। আর এমন মেলাও হয়তো আমাদের প্রজন্মের মাঝে বসবে না।

=দিনগুলো সেই..........কই কই কই?
বা‌লির ভাত আর ইট সুড়‌কির মসলা, বু‌‌নো লতাপাতার সব‌জি
আহা ঝু‌লে ঝা‌লে ইয়াম ইয়াম খে‌তাম ডু‌বি‌য়ে কব‌জি;
দিনগু‌‌লো সেই কই হা‌রি‌য়ে গে‌লো,
স্মৃ‌তির পাতায় সবই আছেে, শুধু মন এলো মে‌লো!
বা‌লির দেয়া‌লে ছোট বাড়ী, মা‌টির হা‌ড়ি পা‌তিল,
একটুখা‌নি ঝগড়া‌তেই খেলা হ‌তো বা‌তিল,
মা‌টির চুলায় বা‌লির ভাত, আর বু‌নোফুল,
ধুলায় গড়াগ‌ড়ি.....ঝগড়া খুঁনসু‌টি‌তে হারাতাম দুকূল।

০২। উনি মানুষটা খুব পরিশ্রমি। সারাদিন এই কোপাকুপির কাজ করেন। তাকে দিনে ৭০০ টাকা দিতে হয়। এই মানুষটির জন্যই আব্বা অনেকটা নিশ্চিন্তে কিছু সবজি চাষ করতে পারেন। আমি তার গায়ের শক্তি আর ধৈর্য্য দেখে অবাক। একটা মানুষ এতটা পরিশ্রম করতে পারে কীভাবে আল্লাহ জানেন। আল্লাহ তাকে নেক হায়াত দান করুন।

=মেহন‌তি মানু‌ষের ঘাম শু‌কো‌নোর আগোই দি‌য়ে দাও শ্রমের মূল্যি=
মেহন‌তি মানু‌ষের গা‌য়ের ঘা‌মে লিখা থা‌কে হালাল রু‌জি,
মেহন‌তি মানু‌ষের এক চিল‌তে হা‌সির মা‌ঝে আমি আনন্দ খুঁজি,
ছাই রঙা দে‌হের র‌ন্ধ্রে র‌ন্ধ্রে ব‌য়ে যায় শ্রমের ধারা,
দু'মু‌ঠো অ‌‌‌‌ন্নের জন্যা মেহন‌তি মানুষ গ্রী‌‌‌ষ্মের রোদ্দু‌রে থা‌কে ঠাঁয় খাড়া।
প‌রিবা‌রের হা‌সি শ্রমের মূ‌ল্যের চে‌‌য়েও দুর্মূল্য,
মেহন‌তির মানু‌ষের কা‌ছে পাহাড় সম শ্রমও তু‌লোর তুল্য ;
ছবি তোলার স্থান-পীঁরেরগাঁও মিয়াবাড়ী।



০৩। এই পাখিগুলো রোজ সন্ধ্যা হওয়ার আগেই পুকুর পাড়ে এসে মেলা জমায়। পাখির ছবি তোলা খুব কঠিন কাজ। তাছাড়া আমি ক্যামেরার কারসাজিতে ছবি তুলতে পারি না এখনো। একটা ছবি তুলতে আট দশটা ক্লিক করতে হয় সেটিংস ঠিক করতে হয় । গ্রামে গেলে ফিঙ্গে পাখি দেখতে পাই। এই পাখিদের কাছাকাছি যাওয়া যায়। ভদ্র পাখি।

=এই শহ‌রে ফিঙ্গে নেই কেন=
এখা‌নে সবু‌জের আস্ফালন নেই, ইট সুর‌কির পথ,
এখা‌নের ধা‌নের ক্ষেত নেই, ‌পিচঢালা রাস্তা,
এখা‌নে বৃক্ষ তরু'রা আকাশ ছুঁতে চায় না,
এখা‌নে বড় বড় অট্টা‌লিকা দখল ক‌রে‌ আছে ।
এখা‌নে ধা‌নের ক্ষে‌তে থই থই ঢেউ নেই, নেই প্রজাপ‌তি ফ‌ড়িঙ
‌‌নেই দো‌য়েল ‌কো‌য়েল ময়না শ্যা মা পা‌খি‌দের হুলস্থুল
ব্য স্ততার কাঁধে দা‌ড়ি‌য়ে আমি ফি‌ঙে প্রহর খুঁ‌জি,
কোথায় নেই লেজ ‌ঝোলা পা‌‌খি‌টি!



ছবি তোলার স্থান-ময়মনসিংহ, ঢাকুয়া গ্রামে, মোর হওড়বাড়ী।

০৪। বাড়ীতে গেলে একবার হলেও চা বাগানে ঘুরতে যাই। সবুজ দেখতে প্রাণ আনচান করে। প্রতিবারই এক গাদা ছবি তুলে নিয়ে আসি। কিছু পোস্ট করি আর কিছু অবহেলায় পড়ে থাকে বছরের পর বছর। চা বাগানে গেলেই এই কর্মজীবীদের দেখতে পাই। বিকেল হলেই উনাদের বাড়ী ফেরার পালা। কেউ খড়ি জড় করে বেঁধে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ী ফিরে। কেউ মাথায় কাপড়ের পোটলা নিয়ে হাঁটে। উনাদের জীবন সুখের হোক ।

=সবুজের মাঝে কর্মজীবী পাখিদের ঝাঁক=
একঝাঁক পাখি দিনরাত উড়ে চা বাগানের আকাশে,
যেখানে ওদের রুজি রুটি ওঁৎ পেতে বসে থাকে রোজ,
যেখানে খরখরে মাটিতে পা রেখে ওরা পায় দু'বেলার অন্নের সন্ধান,
ওদের মুখের হাসি আমি বড্ড ভালোবাসি।
দিনভর কর্মযজ্ঞে দেহপ্রাণ নিমজ্জন,
পায়ে হেঁটে বাড়ী ফেরার দৃশ্য.....সত্যিই অপরূপ,
কর্মজীবী মেয়েরা দলবেঁধে গল্প কথায় সুর উঠায়,
নির্নিমিখ তাকিয়ে দেখি ওদের প্রসন্ন মুখ।



ছবি তোলার স্থানঃ চুনারুঘাট চা বাগান।

০৫। শৈশবের দুরন্তপনা। কী ভালো লাগে দেখতে। বেনী করে কেউ, কারো ঝুটি বাধা চুল। কোনো দ্বিধা ছাড়াই শৈশব হাঁটতে পারে দৌড়াতে পারে। হাসতে পারে খেলতে বা বলতে পারে। শৈশবের মত যদি স্বাধীন জীবন অনন্তকাল হত কতই না ভালো হতো। দুঃখ থাকতো না মনে, চাহিদার বাড়াবাড়ি থাকতো না । বিত্ত বৈভব কামানোর ধান্ধা থাকতো না। এদের দেখলে আমি বারবারই শৈশবে ফিরে যাই।

=মন চলে যায় সেই কৈশোরে....
মন চলে যায় হাওয়ায় ভেসে, গাঁয়ের পানে সুখের রেশে
ধানের ক্ষেতে বিলের ধারে...
মন চলে যায় পাখির গানে, গায়ের পথে, মায়ার টানে
শাপলা ফুটা ঝিলের পাড়ে...
----
মন ছুটে যায় শিশির ঘাসে, মুগ্ধতা আর সুখের চাষে
মন চলে যায় বারে বারে....
মন চলে যায় আমার গাঁয়ে, ভাসতে আহা ইচ্ছের নায়ে
নৌকা যেথায় সারে সারে....



ছবি তোলার স্থান -পীঁরেরগাঁও মিয়াবাড়ী চুনারুঘাট।

০৬। এটা ময়মনসিংহের রাজবাড়ী। শশী লজ বা শশীলজ, বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত মহারাজা শশীকান্ত আচার্যের বাড়ী, যা ময়মনসিংহের রাজবাড়ী নামেও সমধিক খ্যাত। শহরের কেন্দ্রস্থলে, ব্রহ্মপুত্র নদের অদূরে, এই রাজবাড়ী অবস্থিত। ১৯৫২ সাল থেকে শশী লজ ব্যবহৃত হচ্ছে মহিলা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে। ২০১৫ সালে ৪ এপ্রিল জাদুঘর স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর শশী লজটি অধিগ্রহণ করে। (কপি পেস্ট উইকিপিডিয়া)।
ভাগ্যক্রমে ব্যাংকের ডিপ্লোমা পরীক্ষায় পরিদর্শক হিসেবে গিয়েছিলাম। খুবই ভালো লাগার সময়গুলো কেটেছে সেখানে।

=কিছুই চিরস্থায়ী নয়!
সভ্যকতা হা‌রি‌য়ে যায়, যেমন হা‌রি‌য়ে যায় মানুষ
হা্‌রি‌য়ে যাওয়া সভ্যলতা ছুঁয়ে দাঁড়া‌লেই
আমিয আমার জ‌ন্মের আগেসর অতী‌তে যাই চ‌লে,
বন্ধ চো‌খে দেখ‌তে পাই রাজা রানী প্রজা!
ইটেধর পর ইট সা‌জি‌য়ে যে রাজা প্রাসাদ গ‌ড়ে‌ছি‌লো
দামী তৈজ‌সে সা‌জি‌য়ে‌ছি‌লো তার হে‌রেমখানা
দাসী বাদীর জমজমাট আ‌য়োজ‌নে রাজা নি‌জে‌কে
ভে‌বে‌ছি‌লো জগ‌তের বাদশা, দু‌নিয়ার সুখ শুধু তার
সে রাজাকে এক‌দিন হ‌তে হ‌য়ে‌ছি‌লো নিথর
শু‌তে হ‌য়ে‌ছি‌লো স‌ফেদ বস‌নে মা‌টির অন্ধকার ঘ‌রে।



ছবি তোলার স্থান-ময়মনসিংহ রাজবাড়ী।

০৭। এটা ধলাই নদী। শুনেছি এই নদীতেও জোয়ার ছিলো। উত্তাল ঢেউ ছিলো। যৌবনাবতী ছিলো। কিন্তু এখন আর কিছুই অবশিষ্ট নাই। বর্ষায় একটু বড় দেখা যায় । শীতের দিন মনে হয় খাল। শশুর বাড়ীর সামনেই এই নদীর অবস্থান। ক্যামেরা হাতে নিয়ে নদীর পাড়ে পাড়ে ঘুরে বেড়াই আর ছবি তুলি। একই জায়গার ছবি বারবার তুলি। কারণ সেখানে গেলে আর কোথাও ছবি তোলার জায়গা পাই না তাই। ধলাই নদী এখন মরা নদী।

=নদী’রা মরে যায়=
এখানেও একদিন তুমুল ঢেউ ছিলো, পাড়ি ভাঙ্গার খেলা ছিলো,
এখানেও নৌকা ছিলো, নৌকায় বসা মাঝি ছিলো।
শুকনো মৌসুমে জেগে উঠা চর ছিলো, ছিলো চর দখলের খেলা
এখানেও মানুষ ফসলী জমিতে শ্রম দিতে-কাটাতো বেলা।
নদীর উথাল ঢেউয়ে বাস করতো টেংরা পুটি,
রুই, বোয়াল, কাতল, আইড়-জলের তলে খেতো লুটোপুটি।
নদীর উঁচু পাড় ছিলো, শীতবেলায় নদীর উপর বাঁশের সাঁকো
ছাতা মাথায় পথিক'রা হেঁটে যেতো নদীর কূল ঘেঁষে,
তোমরা কী তা আর মনে রাখো!



ছবি তোলার স্থান -ময়মনসিংহের ঢাকুয়া গ্রাম।

০৮। চিড়িয়াখানা গেলে হাঁটতে হাঁটতে জান শেষ। ত্যানাত্যানা দেহ নিয়েই হাঁটি । অন্য সবাই বসে পড়ে আর হাঁটে না কিন্তু আমি কোনায় কোনায় যাই হাটি ঘুরি ছবি তুলি। এটি চিড়িয়াখানার লেকের ছবি। এখানে এই সারস জাতীয় পাখি না হাঁস কে জানে , ভাসতে দেখা যায়। ওদের সামনে বড় বড় মাছ ঢিল মেরে দেয়া হচ্ছে আর ঠিকই লুপে নিয়ে খাচ্ছে। ভালো লাগে দৃশ্যটি।

©কাজী ফাতেমা ছবি
=প্রকৃতিকে ভালোবেসে এবার কাছে টানো সুন্দর=
সৃষ্টির অপরূপ সুন্দর কীসে নেই বলো, তুমি শুধু একবার করো অনুভব
আকাশের সীমানায় দৃষ্টি করো তাক, কোনো এক বিকেল অথবা সাঁঝে,
দেখো এক ঝাঁক পাখি কেমন করে শূন্য হাওয়ায় উড়ে, কী করে সম্ভব!
অথচ সেই অসম্ভবও সম্ভব হয় মহান আল্লাহ্ তা'লার দয়ায়, এই কিছুটা
রেখে দাও এবেলা বুকের ভাঁঝে।
বালিহাঁস বলো আর পাতিহাঁসই বলো, অথবা শুভ্র বসন গায়ে দেয়া সেই বক সারস
একবার মুগ্ধতায় তাকিয়ে ভাবো তো দেখি, একি সৃষ্টি তাঁর আহা কত সুন্দর
দুনিয়াটাই এত মনমুগ্ধকর না জানি কত মনোলোভা হবে আমার খোদার আরশ,
দুনিয়ার মোহ সুন্দর বেঁচে থাকার অপূর্ব জীবনধারা, স্বস্তিতে ভরো বলছি এবার
হৃদয় বন্দর।



(ক্যানন, স্থান-চিড়িয়াখানা, মিরপুর)

০৯। তোমরা কলাগাছের ভেলায় চড়েছো কিনা জানি না । আমরা বন্যা আসলেই কলাগাছে ভেলা বানিয়ে খেতে খামারে ছুটে বেড়াতামা। সারাদিনই শরীর ভেজা থাকতো। এই ছবিটি খোয়াই নদীতে। শীত সিজনে নদীর পানি শুকিয়ে গেলে খুবই মজা লাগে পা ডুবিয়ে হাঁটতে। আমার ছোটো ছেলে তামী খুবই মজা পায় এই নদীতে গিয়ে।

=কলাগা‌ছের ভেলা=
নদী ভাঙ্গ‌নে একদা ডু‌বে যে‌তো বাড়ীঘর, ফস‌লি ক্ষেত,
জ‌লে থই থই মাট ঘাট প্রান্তর, প্রচুর বৃ‌ষ্টিই ছি‌লো বন্যাির অশ‌নি সং‌কেত,
অথচ সেই ভয়ংকর বেলা
আমরা জ‌লে ভা‌সি‌য়ে‌ছি কলাগা‌ছের ভেলা।
পু‌রো ‌দেহ জ‌লে ভেজা, থরথর কাপু‌নি কখ‌নো, কখ‌নো হা‌সির কল‌রোল,
এখা‌নে সেখা‌নে জাল পাতা মাছ ধরার জন্যি, চা‌রি‌দি‌কে কী যে সর‌গোল;
আমা‌দের শৈশব বেলা, বন্যাায় মাঠ ডু‌বে গে‌লেই ভাসাতাম কলার ভেলা
মাছ ধরা কখ‌নো, কখ‌নো ভাইবোু‌নেরা খেলতাম জল‌কে‌লি খেলা।



(স্থান চুনারুঘাট খোয়াই নদী)

১০। ‌কোন এক আগস্ট মা‌সে ঈদ ছি‌লো, দুপুর বেলা গি‌য়ে‌ছিলাম বিমান বন্দর যাদুঘ‌রে, উফ কী যে রো‌দ, রো‌দের তা‌পে চোখ মেলা দায় ছি‌লো। কিন্তু মানু‌ষের ভিড় তো আর কম নেই। পু‌রো মাঠ মানু‌ষে মানু‌ষে সয়লাব। ঘু‌রে ঘু‌রে ছ‌বি তু‌ল‌বো কিন্তু মানু‌ষের জন্য‌ ছ‌বি তোলাও দুস্কর ছি‌লো। আগ‌ষ্টের আকাশ কেমন হ‌বে সেটা সবাই জা‌নেন। ইশ অসহ্যর সুন্দর ছি‌লো আকাশ। সাদা মেঘ নীল আকাশ। মানু‌ষে টুইটুম্বুর যাদুঘ‌রে কিছুটা সময় কা‌টি‌য়ে‌ছিলাম আমিে তামীম আর তাসী‌নের বাপ। তাসী‌নের বা‌পের পিছ‌নে হে‌টে হে‌টে ছ‌বি তুল‌ছি। আবার ‌‌দৌড়াইয়া গিয়া তা‌দের‌কে ধর‌ছি। ছ‌বিগু‌লো স্মৃ‌তি হ‌য়ে আ‌ছে এখ‌নো পি‌সির হার্ড ড্রাই‌ভে।

=এক‌দিন মেলা ব‌সে‌ছি‌লো বিমান যাদুঘ‌রে=
এত রোদ্দুর, এত উষ্ণতা, এত বিতৃষ্ণা উপে ক্ষা‌ ক‌রেও মানুষ সুখ কুড়ায়,
মানুষ দুপুর রোদ্দুর ঘা‌সে ব‌সে কিছু ক্লা‌ন্তি নীল আকা‌শে উড়ায়,
কেউ জোড়া কইতর, কেউ সন্তা‌নের হাত ধরা,
ঘু‌রে ঘু‌রে মেলায় মানুষ মুগ্ধতা পু‌রে বু‌কের ‌ভিতর, হোক সে গ্রীষ্ম খরা।
এক‌দিন আমির সবুজ ঘা‌সে রোদ্দুর ছু‌‌তে গি‌য়ে‌ছি‌লাম মানু‌ষের হা‌ঠে,
ইতি দি‌য়ে সংসার কর্ম পা‌ঠে,
রোদ্দুর ছু‌য়ে‌ছি‌লো পা আমার, আমিব ছু‌য়ে‌ছি মুগ্ধতা‌দের, চোখ ছু‌য়ে‌ছে আকাশ,
সবাই সু‌খে উ‌ড়ি‌য়ে‌ছি‌লো ইচ্ছে ফানুস, কা‌রো বু‌কে ছি‌লো না এক বিন্দু দীর্ঘশ্বাস।



স্থান : বিমান বন্দর যাদুঘর

১১। আমার শৈশব কৈ‌শোর তারুণ্যু কে‌টেছে আমা‌দের গ্রা‌মের বা‌ড়ি। আমা‌দের গ্রাম পী‌রেরগাও, বাড়ীর নাম মিয়াবাড়ী। এটা চুনারুঘাট থানা, হ‌বিগঞ্জ জেলায়। আমা‌দের এলাকা‌তে অসংখ্য্ চা বাগান আছে্। আমা‌দের জেলা খুবই সুন্দর। সবুজ গাছ পালা বনার‌ণ্যে ভরা। আমা‌দের গ্রামও খুব সুন্দর। আমা‌দের বাড়ীর সাম‌নে পিছ‌নে পিচ রাস্তা। উন্নত গ্রা‌মে ডিস লাইন ওয়াই ফাই আর সি‌লিন্ডার গ্যা স সবই আছেু। আমা‌দের বা‌ড়ির প্র‌ত্যেক ঘ‌রেই্্নে দুই চুলার সি‌লিন্ডার গ্যা স। ধা‌নের দিন কাজ বেশী থাকা‌তে সবাই গ্যা ‌সের চুলায় রান্না ক‌রে। আবার বৃ‌ষ্টির দিন লাক‌ড়ি না পে‌লেও গ্যা ‌সের চুলায় রান্না হয় এখন। আমা‌দের সময় গ্যা ‌সের চুলা ছি‌লো না। লাক‌ড়ির চুলায় রান্না হ‌তো। খরা কা‌লে শুকু‌‌নো গা‌ছের পাতা, বাশ পাতা ‌দি‌য়ে দুইমু‌খো চুলায় রান্না হ‌তো, এখ‌নো হয়। লাক‌ড়ির চুলায় রান্নার স্বাদই আলাদা। ধুয়ায় আচ্ছন্ন প‌রি‌বে‌শে গৃ‌হিনীরা সুস্বাদু খাবার রান্না ক‌রে প‌রিবা‌রের রসনার ‌যোগান দেন।

=পাতা জ্বলে চুলায়, রান্নায় উ‌ঠে আ‌সে স্বাদ=
খড়কু‌টো আর বাঁশের পাতা, শুক‌নো গা‌ছের ডাল,
মা‌টির চু‌লোর সাম‌নে শুক‌নো পাতার টাল
চুলার আগুন দিগুন, হয় রান্না ভাত, তরকারী
শুক‌নো ‌মৌসু‌মে শুক‌নো পাতা রান্নার জন্য খুব দরকারী।

দুমু‌খো চুলার আগু‌নে শুক‌নো পাতার মরমর ধ্ব‌নি, যেন নুপূর,
ঘ্রাণ ভে‌সে আসেআ মসলার, মাছ মাংস ঠিক যখন মধ্যজ দুপুর;
হলুদ ম‌রি‌চের কৌঠা, লংকা ম‌রিচ কিছু,
চু‌লোর আগুন নেয় তখন শুক‌নো পাতার পিছু।
ঘ্রা‌ণে স্বা‌দে অতুলনীয় লাক‌ড়ির চুলার রান্না
আহা এই রান্না কর‌তে যে‌য়ে ধুয়ায় রাধুনী‌দের চো‌খে আ‌সে কান্না।



১২ । রমনা পা‌র্কে তামীম নি‌য়ে আগেই প্রায়ই ঘুরতাম। তামী‌মের পছন্দ রেস্টু‌রে‌ন্টের ভিত‌রে একটা দুলনা সেটায় উ‌ঠে দোল খে‌তে। কারণ এই এক‌টি জায়গায় ভিড় কম। আমিে তামীম দুইজ‌নেই ‌‌দোল খাই সেখা‌নে। আর পু‌রো রমনা পার্ক হা‌টি মা বেটা দুজন। আর ক্যার‌মেরাখান তো সা‌থেই থা‌কে। এই দৃশ্য‌টি ব‌ন্দি ক‌রি রমনা পা‌র্কে। মানুষ কিংবা পশু পা‌খি সবার সন্তা‌নের প্রতিই অ‌থৈ মমতা। এই দৃশ্যাগু‌লো খুবই ভা‌লো লা‌গে। ‌ছোট একটা কুকুর অথচ তার ছয় সাতটা বাচ্চা হয়। দুধ খে‌য়ে এই ছয় সাত‌টি বাচ্চা ধী‌রে ধী‌রে বড় হয়। আলহামদু‌লিল্লাহ আল্লাহ তাআলার অপরূপ সৃ‌ষ্টি।

=মায়ের আদরের নেই কোনো তুলনা=
পেটে যখন সন্তান, পাহাড় বোঝা মায়ের উপর,
মা পড়ে নেয় মাথায় পেরেশানির টোপর,
শত কষ্ট দেহজুড়ে, তবুও মা ডাকার অনন্ত স্বাধ,
আহা কী কষ্ট নয় মাস কী ছয় মাস
মুখ তিতে খাবার যেন বিস্বাদ।

সন্তানের কান্নায় মায়ের সম্বিত ফিরে আসে,
হাসি মুখে সকল কষ্ট সয়ে নিয়ে মা হাসে,
পরম মমতায় সন্তান বড় করার দায়িত্ব নিয়ে মা এগিয়ে যান সম্মুখপানে
শত কষ্টের পাহাড় ডিঙিয়ে মা সন্তানকে উঠাতে চান জান্নাতের সোপানে।



(রমনাপার্ক)

হাজার হাজার ছবি আছে অথচ দেয়ার সময় মনে হয় পারফেক্ট হয় নি। বারোটা মাত্র ছবি। ইনশাআল্লাহ প্রতিযোগিতা না হোক এমনিতেই ছবিগুলো দেখার সুযোগ করিয়ে দেবো কোনো একদিন। সবাই ভালো থাকুন সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।

সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:১৮
৩১টি মন্তব্য ৩১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×